আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ‘পোলিওমুক্ত’



বৃহস্পতিবার ভারতের নয়া দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই ‘পোলিওমুক্ত সনদ’ দেয়া হয়।  
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক সনদ কমিটির সদস্য অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এই অর্জন এ অঞ্চলের জন্য একটি মাইলফলক। ” 
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ ১১ দেশের প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ অঞ্চলের ‘পোলিওমুক্ত’ বাকি দশ দেশ হলো- ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুর।
গত তিন বছরে এই দেশগুলোতে একজনও পোলিও রোগী পাওয়া যায়নি।

এই প্রেক্ষাপটে এ অঞ্চলকে ‘পোলিওমুক্ত’ সনদ দিল ডব্লিউএইচও।
এর মধ্য দিয়ে এ সংস্থার ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে চারটিই ‘পোলিওমুক্ত’ সনদ পেল।
ডব্লিউএইচওর আফ্রিকা ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশ যদি টানা তিন বছর পোলিওমুক্তি থাকতে পারে, তাহলে পুরো বিশ্বকেই ‘পোলিওমুক্ত’ ঘোষণা করা সম্ভব হবে।   
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে এখানো পোলিওর প্রকোপ রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত থাকায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জন্যও এ দুটি দেশ ঝুঁকি তৈরি করছে।

 
ডব্লিউএইচও বলছে, পোলিও টিকা খাওয়ানোর কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালিত হওয়ার কারণেই এই মাইলফলকে পৌঁছাতে পেরেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো।   
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০০৬ সালে ১৮ জনের দেহে পোলিও ভাইরাস সনাক্ত করা হয়। সে সময় বলা হয়েছিল, ভারত থেকে এ ভাইরাস বাংলাদেশে এসেছে।   
তার আগে বাংলাদেশে ২০০০ সালে একজন, ১৯৯৯ সালে ২৯ জন, ১৯৯৭ সালে পাঁচজন এবং ১৯৯৬ সালে ১৬ জনের দেহে এ ভাইরাস সনাক্ত করা হয়।
পোলিও নির্মূলে বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রশংসিত হয়েছে।

তবে সনদ পাওয়ার পরও বাংলাদেশে এই কর্মসূচি চলবে কি-না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।  
ডব্লিউএইচওর টিকা বিভাগের কর্মকর্তা ডা. জয়নাথ লিয়ানেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পোলিও টিকা খাওয়ানোর কর্মসূচি আরো চলবে কি-না, নিজেদের ও আশেপাশের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বিশেষজ্ঞ কমিটিই সে সিদ্ধান্ত নেবে।     
বাংলাদেশে ডব্লিউএইচওর প্রতিনিধি ডা. তুষারা ফার্নান্দো এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ‘পোলিওমুক্ত’ সনদ পেলেও আরো কিছুদিন টিকা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া উচিৎ, কেননা পাশের অঞ্চলের কয়েকটি দেশ এখনো পোলিও নির্মূল করতে পারেনি।    
তবে এতোদিন যেভাবে এ কর্মসূচি চলে আসছিল, তাতে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে আভাস দেন তিনি।    
“আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশেই পোলিও টিকা খাওয়ানোর বদলে ইনজেকশনের মাধ্যমে দেয়া শুরু হয়েছে।

এতে টিকা দেয়ার পর শিশুদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে আনা যায়। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.