আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাচ্‌রা কাঁপিয়ে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের

খেলাটা যদি ফুটবল হয়, কমলা জার্সিধারী ডাচদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো চুনোপুঁটিরা কত অসহায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নিদেনপক্ষে হাফ ডজন গোল হজম করতেই পারে আফ্রিকানরা। কিন্তু খেলাটা ক্রিকেট হলে! ক্রিকেট মাঠে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। কোথায় ক্রিকেট পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা। কোথায় ক্রিকেট মাঠে শিক্ষানবীস নেদারল্যান্ড।

তবে এই শিক্ষানবীস ডাচরাই গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেতাবি ক্রিকেট পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার ভিতটা কাঁপিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচটা ৬ রানে জিতে চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছে প্রোটিয়াসরা। টানা দ্বিতীয় জয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টেনে সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টসের মধ্য দিয়েই শুরু। চলতি টুর্নামেন্টে পরে ব্যাটিং করা একটা ফ্যাশনই হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ম্যাচটা সন্ধ্যার পরে হলে তো কথাই নেই। গতকাল ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেনও তাই করলেন। টস জিতে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাঠিয়ে দিলেন ব্যাটিং করতে। হাশিম আমলা (৪৩), প্লেসিস (২৪), ভিলিয়ার্স (২১), মিলার (১৭) এবং ডুমিনির (১২) ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এই ইনিংসের ফাঁকে ফাঁকে যেসব দুর্লভ মুহূর্তের অবতারণা করেছে নেদারল্যান্ড, অসাধারণ।

প্রথম ওভারেই ডি ককের উইকেট, দুর্দান্ত সব ক্যাচের প্রদর্শনী এবং দলীয় উন্মাদনা, গতকালের ম্যাচটাতে সবই দেখিয়েছে নেদারল্যান্ড। কেবল শেষবার টান দিতে গিয়ে সুতোটা ছিঁড়ে ফেলে ডাচরা। আহসান মালিকের অতিমানবীয় বোলিংয়ের (১৯ রানে ৫ উইকেট) পর ব্যাটিংয়েও ডাচরা কিছু করে দেখাবে, এমন আশাই করছিল দর্শকরা। প্রথম রাউন্ডে আয়ারল্যান্ড ম্যাচের কথা মনে রেখে নেদারল্যান্ডও ব্যাটিংয়ের প্রথম থেকেই ছিল উৎফুল্ল। মাত্র ৫.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করার পর ডাচদের জয়টাকে খুব দূরের বলে মনে হয়নি।

কিন্তু আকাশের সীমানায় উড়তে থাকা ঘুড়ির নাটাই কখন টানতে হয়, এর অভিজ্ঞতা ডাচদের একেবারে নেই বললেই চলে। বিপরীতে প্রোটিয়াসদের চেয়ে এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আর কে হতে পারে! বিশেষ করে গত ম্যাচেই যারা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে চরম উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে! তবে আফ্রিকানদের শ্বাসরোধ করার জন্য শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার চেষ্টা করেছে ডাচরা। মিবার্গের (২৮ বলে ৫১ রান) ইনিংসটা ছাড়া বাকিরা বিশের কোটা পাড়ি দিতে পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলে ভিন্ন ফল নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো ডাচরা! ১৮.৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ড। ইমরান তাহির ২১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার খেতাব জিতে নেন।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.