আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি জাতির অধঃপতনের ইতিহাস, কিংবা একটি ভয়াবহ জঘন্য গণহত্যার বয়ান




একটি জাতি, চরম উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে গেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে তাদের জয়জয়কার। সারা পৃথিবীর লিডিং পর্যায়ে তারা আছে। সকল সুখ-স্বাছ্যন্দ আর সমৃদ্ধি তাদের পাশে ভীড় করে আছে। কিন্তু যেকারনে তাদের এতো উন্নতি তারা সেই ন্যায় ও সত্যের পথ থেকে বিতাড়িত হয়ে পড়েছিলো।

ভোগের রাজ্যে তাদের শুরু হয়ে গেল অবাক বিচরন।

আমি স্পেনে মুসলমানদের ইতিহাসে কথা বলতে শুরু করেছি।

হরিণের মাংশ যেমন তার সবচেয়ে বড় শত্রু, তেমনি এই প্রাচুর্যই ছিলো তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। অন্ধকার আর অভাবগ্রস্থ ইউরোপ আর ক্রিশ্চিয়ান সভ্যতা চাইছিলো এইসব ভোগ করতে, দখল করতে। তাই #ক্রুসেড নামে তারা শুরু করলো ভয়াবহ এক যুদ্ধ।



আমি মুসলমানদের অধঃপতনের কথা বলছি।

কিন্তু তাদের যতটা সাবধানী হওয়া দরকার ছিলো,প্রতিরোধী হবার দরকার ছিলো। তারা তা হয়নি। বিলাসিতা আর বিপথগামীতা তাদের আরাধ্য হয়ে পরেছিলো। উদাসীন ছিলো নিজেদের ধর্মের প্রতি, আল্লাহ্‌ ও তার রাসুলের প্রতি।

অবশেষ তাদের বরণ করতে হলো নির্মম পরাজয়।

আমি মুসলমানদের হেরে যাবার গল্প বলছি।

জয়ী ক্রিশ্চিয়ানরা সবসময় চেয়েছে পৃথিবী থেকে ইসলামের নাম মুছে দিতে। আর স্পেনের মত একটা টেকনিক্যাল পয়েন্টে, নিজেদের ঘরে তো তারা বিষ ফোড়াটা রাখবে না। তারা চাইলো সব মুসলমানকে নির্মুল করে দিবে- ইচ এন্ড এভরি মুসলিম।

তারা মুসলমানদের বলল, তোমরা সবাই মসজিদে আশ্রয় নাও, কিংবা জাহাজে চলে যাও, তবে তোমরা নিরাপদ থাকবে।

আমি মুসলমানদের বোকামির ইতিহাস বলছি।

তারা ভুলে গিয়েছিলো আল্লাহর কিতাবের কথা, রাসুল (সা) এর বানীর কথা। ভুলে গিয়েছিলো প্রকাশ্য শত্রুর কথা। ডুবন্ত মানুষ যেমন খড়কুটোকে আশ্রয় করে বাচতে চায়, তেমনি তারাও বাচতে চাইলো।

কী নির্মম। তাওহীদের সার কথা-আল্লাহ ছাড়া কোন সাহায্যকারী নেই-ভুলে গিয়েছিলো।

আমি পৃথিবীর জঘন্যতম গণহত্যার কথা বলছি।

সকল মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া হলো, ভিতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় কাদছিলো মানবতা। শিশু-নারী-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আর মানসিকভাবে দুর্বল পুরুষেরা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছিলো।

মাংশ পোড়ার গন্ধে নগ্ন-আদিম-নোংরা খেলায় মেতেছিলো সেদিনের বিজয়ী ক্রিশ্চিয়ানরা। জাহাজের সাথে ডুবে যাচ্ছিলো ইতিহাস, সমৃদ্ধি আর বিজ্ঞানের অপার সব আবিস্কার।

আমি মুসলামানদের পিছিয়ে পড়ার ইতিহাস বয়ান করছি।

যে স্পেন ছিল, গত ৮০০ বছর মুসলমানদের রাজধানী। যে স্পেনকে তারা সাজিয়ে ছিলো তিলোত্তমা করে, সুরম্য মসজিদ, অট্টালিকা আর উদ্যানে।

যে স্পেন থেকে একজন হাসান ইবনে হাইসাম আলোর তত্ত্ব নিয়ে দুনিয়া মাতিয়ে দিয়েছিলেন, যে স্পেন থেকে ভেসে আসত আযানের সুমধুর ধ্বনি সে স্পেনে আযান দেয়ার জন্য একটা মানুষও আর বেচে রইলো না। তাদের পোড়া ছাইয়ে উর্বর হলো স্পেন, ইউরোপ আর ক্রিশ্চান সভ্যতা। আর ছাইয়ের নিচে চাপা পরলো একটি জাতির উন্নতির ইতিহাস, স্বাধিনতার ইতিহাস।

আপনি কি নিজের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করবেন, নিজের ধর্মকে রক্ষা করবেন না স্রোতে গা ভাসিয়ে দিবেন- সেটা আপনার ইচ্ছা।
আপনি কি সেই ইতিহাসের সাথে আজকে আপনার অবস্থানের মুল্যায়নে করে দুঃখিত হবেন না আত্মতুষ্টিতে ভোগবেন- এটা আপনার বিবেক।


 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.