আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দয়া করে পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠাবেন না ।বিজ্ঞানী কাদির খান বলছেন পাকিস্তানের সামাজিক অবস্থা ভালো নয়

তোমার সাথে আমার মতের অমিল হতে পারে কিন্তু তোমার মতের সম্মানার্থে আমি আমার জীবন দিতে পারি -ভলতেয়ার ভূতের নাকি পেছনে পা থাকে । ভূতের তাকে কি না জানি না তবে আমাদের বর্তমান বিসিবির পেছনে পা আছে যা দিয়ে হামাগুড়িঁ খেয়ে পেছনে যেতে চায় । সমগ্র দেশবাসির সাথে এক প্রতারণায় মেতে উঠেছে বর্তমান ক্রিকেট কমিটি । এদের বিরোদ্ধে এখনও গর্জে উঠতে হবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করে ,যেন ক্রিকেট কমিটি এই আত্মঘাতি দেশ ঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় । এখনই এবং এখনই … ফারুক নওয়াজের ‘ভূতের বাড়ি পাকিস্তান ” নামে একটি গল্প আছে ,সেই ভূতের বাড়িতে আমরা আমাদের এই সম্পদ ,পরিবারের সদস্যদের পাঠাতে একমততো নই বরং এ রকম কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে গর্জে উঠবো ।

সেখানে কে বা কারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের বিবেচ্য বিষয় না এনে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তারও জবাব চাওয়া হবে । এবং জবাব দিতেই হবে । সাকিব ,তামিম,মাশরাফি এরা আর তাদের পরিবারে সন্তান নন এই ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের প্রতিটা বাঙালি ঘরের সন্তান ,আদরের সন্তান । এমন কোন পরিবার নেই যারা বাংলার এই রত্নদের নিয়ে মতামাতি না করে একটি দিন কাটিয়ে দিয়েছে । ।

সেই প্রতিটি ঘরের আপনজনদের নিয়ে কোন ছলচাতুরি করা হলে বাংলার প্রতিটি পরিবার থেকে এর প্রতিবাদের বিস্ফুরণ উঠবেই । আমিরা চাই না সেই পাগলা দেশে আমাদের প্রিয় দলকে পাঠানো হোক । এরকম একটি অদ্ভুদ সিদ্ধান্ত থেকে ক্রিকেট বোর্ডের দ্রুত এবং এখনই সরে আসা উচিত । নইলে আমরা এর জবাব দেবই । আমরা খেলা পাগল ,ক্রিকেটারদের মনের গভীর থেকে ভালবাসি ,তাই এদের রক্ষায় বুলেট , রিমান্ডে পুলিশের গরম ডিম যেকোন ভয় দেখালেও আমার পিছ পা -হব না ।

কেন ফাকিঁস্তানে আমরা আমাদের দলকে যেতে দিতে চাই না । কারণ একটাই সেই দেশে কোন নিরাপত্তা নেই । দেশটা যে জঙ্গিবাদের উর্বর ভূমি তা আর নতুন করে বলার কোন দরকার আছে বলে আমার ইচ্ছা নেই । সেখানে হরদম বমাবর্ষণ ঘটে । বমাবর্ষণ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং এটি পাকিস্তানের নিত্য নৈমিক্তক ব্যাপার ।

বস্তুত বমা-বর্ষণ না ঘটলে যে পাকিস্তানের নাম-গন্ধ বহির্বিশ্বে লোপ পাবে সেই উদ্দেশ্য মাঝে মাঝে সরকার প্রত্যক্ষ যোগসাজশেও এমনটা হয়ে তাকে । কারণটাও খুবই সিম্পল —যেন সরকার জঙ্গি নিদনের কথা বলে বিশ্বব্যাংক ,দাতা গোষ্ঠির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আসতে পারে ,এবং অবশেষে সেখানে বাগ বসাতে পারে । পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ত্ব আছে বটে ,কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে দেশটির নেতৃত্ব দেখলে বা একটু চিন্তা করলে বুঝা কোন পাগলেরও কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে সার্বভৌমত্ত্বের প্রশ্নে দেশটার অবস্থান এখন কোথায় । গলে বছর সেনাবাহিনীর নাগের ডাগায় আল-কায়দা নেতা লাদেকে হত্যা করা হলো পাকিস্তান সরকারকে না জানিয়ে বরং বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে । এখানে দুটো প্রশ্ন আসে… এক.যেহেতু পাকিস্তান সরকারকে না জানিয়ে মার্কিন বাহিনী লাদেন কে হত্যা করে তাই স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে ,হয়ত মার্কিন বাহিনী জানে পাকিস্তান সরকার জেনে গেলে বাধঁ সাধবে কারণ সরকার নিজেই লাদেনের মদদ পুষ্ট ।

তাই সরকারকে না জানিয়ে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে । দুই .দুই ধরে নিলাম সরকারের কোন হাত নেই তাহলে কেন সরকারকে না জানিয়ে মার্কিন বাহিনী এমন কাজ করতে পারে । একটি রাষ্ট্রের এই যখন হয় জঙ্গীদের লাল-পালন ,জামাই আদর অথবা সার্বভৌমত্ত্বের নড়ে বড়ে অবস্থা ঠিক এই সময় সেই রাষ্ট্রে একটি দেশের কোটি মানুষের আশার আলো ,সম্পদকে সেই দেশে পাঠানো কতটা যৌক্তিক তা একবার নয় হাজার বার ভাবা দরকার সংশ্লিষ্ট মহলকে । বিবিসির খুঁড়া-অজুহাত দল পাকিস্তান না পাঠালো পাকিস্তান তাদের চরিত্রহীন ,টাকার প্রতি নীতিহীন লোভ ক্রিকেটারদের কে বিপিএল আসরে পাঠাবে না । হাসব না কাদব বুঝতাছি না ,কি অদ্ভুদ আর খোড়া-অজুহাত ।

আইপিএলে পাকিস্তান দলের খেলওয়াড়রা খেলছে না তাতে কি আইপিএলের কোন ক্ষতি হয়েছে বা খেলার গুরুত্ব এতোটুকু কমেছে ? না তার কিছুই হয় নি বরং আইপিএলের জনপ্রিয়তা শাঁ শাঁ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন কে দিন । এখানে বিবিসিকে কানে কানে একটি উদাহরণ দিয়ে সুখবর দিতে চাই ,কারণ বিবিসির হর্তাকর্তারা কোন কিছু বিবেচনা না করে সিদ্ধান্ত নেন । একটু আগ পিছ ভাবলে সাপও মরবে না লাঠিও ভাংবে না …হ্যাঁ বাংলাদেশ দল না গেলেও পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা তাদের পিসিবিকে বাধ্য করবে তাদের বিপিএলে পাঠাতে । টাকার প্রতি যাদের নীতিহীন লোভ আছে তারা কি আর এতো সহজে সেই সুযোগ হাতছাড়া করবে । অন্তত টাকা আয়ে পাকিস্তানের খেলওয়াড়রা সেই ভুল করবে না আমি হলফ খেয়ে বলতে পারি ।

২০০৭ সালের জুলাই থেকে ২০০৮ সালের অক্টোবর—এই ১৫ মাস পাকিস্তান দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জিওফ লসন। পাকিস্তানের মিডিয়া বা বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে বড় ধরনের কোনো বিতর্কে জড়াতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে পাকিস্তানের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা যে লসনের জন্য সুখকর ছিল না, বলতে গেলে বিভীষিকাময় ছিল, তা স্পষ্ট হলো তার একটি সাক্ষাৎকারে । ব্রিটিশ দৈনিক সানকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে লসন বলেন, ‘পাকিস্তানের দায়িত্ব পালন করার সময় অবিশ্বাস্য কিছু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। এক ম্যাচের আগে দলের অধিনায়ক আমাকে তাঁর কক্ষে ডেকে নেওয়ার ঘটনাটি কখনোই ভুলতে পারব না আমি।

’ ঘটনার বিবরণ দিয়ে লসন বলেন, ‘সেদিন সকালে একজন ক্রিকেটার, যাঁকে আমরা দলে রাখিনি, আমাকে এসে বলে, কালকের ম্যাচ খেলছি আমি। আমি তাঁকে বলি, তুমি খেলছ না, নিশ্চয়ই কেউ তোমাকে ভুল তথ্য দিয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় অধিনায়ক আমাকে তাঁর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি, ক্রুদ্ধ মুখে একজন নির্বাচক বসে আছেন। সেই নির্বাচক আমাকে বলেন, যাকে দলে নেওয়া হয়নি, সেই খেলোয়াড়কে আগামী কালের ম্যাচে রাখতে হবে, না হলে তোমার মেয়েকে অপহরণ করা হবে।

কোনো দিনই আর মেয়ের মুখ দেখতে পারবে না। ’ এরপর লসন বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রথমে আমরা দুজনই হেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু পরক্ষণেই বুঝতে পারি, সিরিয়াসভাবেই হুমকিটা দিয়েছেন সেই নির্বাচক। বোর্ড প্রেসিডেন্ট বিষয়টি ফোনে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে জানান। কয়েক দিন পর শুনি, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।

’ এখন দেখেন বিপিএলে খেলার সুযোগ না দেওয়া হলে তারা এনটা করবে না তার গ্যারান্টি বা কই । বরং টাকার প্রতি তাদের যে লোভ তারা এমনটাই করবে নিশ্চিত । তাহলে ক্ষতিটা যেহেতু আর হচ্ছে না তাহলে কোন অজুহাতে দলকে পাকিস্তানে পাঠানো হবে । বলা হচ্ছে দলকে প্রেসিডেন্টসিয়াল নিরাপত্তা দেওয়া হবে । মা-না গেল না যেহেতু শ্রীলঙ্কান দলকেও এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ।

তখন হামলার সময় নিরাপত্তা রক্ষীরা কোন রূপ পাল্টা আক্রমণ না করেনি বরং যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছে তারা পালাতে গিয়ে মারা গেছে । আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ,এই তথাকথিত প্রেসিডেন্টসিয়াল নিরাপত্তা কিন্তু বেনজির ভুট্টকেও দেওয়া হয়েছিল । বরং বলা চলে এই নিরাপত্তার আগে বনজির বিবি ভালোই ছিলেন । তাই এদের কোন নিরাপত্তায় আর বিশ্বাস নেই । এইতো সেদিন পাকিস্তানের ‘আলোচিত পরমাণুবিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান বলেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা ১৯৭১ সালের চেয়েও খারাপ।

তিনি সতর্ক করে বলেন, সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান না হলে আবারও ভেঙ্গে যেতে পারে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’ পত্রিকার মতামত কলামে আজ সোমবার ‘ইভেন্টস অব ১৯৭১’ শিরোনামে এক নিবন্ধে কাদির খান এ মন্তব্য করে’(দৈনিক প্রথম আলো ) এরপরও কি আমাদের অর্থব বিসিবি বলবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্তা ভালো ? যারা নিরাপত্তা দেবে তাদের কোয়ার্টারের নিরাপত্তা নিয়েই তারা দিনকে রাত করে সেখানে অন্যরা !! আহারে বিসিবি কেন বুঝ না । দ এইতো দুদিন আগে ''আত্মঘাতী বোমা হামলায় পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বশির আহমেদ নিহত হয়েছেন। শনিবারের ওই হামলায় আরও সাতজন নিহত হয়েছে। ''(বাংলানিউজ২৪.কম)।

তাছাড়া যে দেশে পোলিও টিকা দেওয়া হয় পুলিশ পটেকশনে ,সেই দেশে আমার প্রিয় দল যাবে না । যেতে দেব না এটাই আমাদের শেষ কথা । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.