আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পঞ্চম শ্রেণীর পড়াশোনা

আজকের আলোচ্য বিষয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধ্যায় থেকে সংক্ষিপ্ত ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর এবং ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে শূন্যস্থান ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নাবলী। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর১.     ঘনবসতি এলাকায় বায়ুদূষণের কারণ কী?    উত্তর : ঘনবসতি এলাকায় আবর্জনা ও মলমূত্র নিষ্কাশনের তেমন ভালো ব্যবস্থা না থাকায় বায়ু দূষিত হয়। ২.     কীটনাশক কিভাবে পানি দূষিত করে?    উত্তর : জমিতে ব্যবহƒত কীটনাশক বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে বা পুকুর ডোবা, খাল বিল ও নদীর পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। ৩.     দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে কী হয়?    উত্তর : দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে যেমন আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি জলজপ্রাণীও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৪.     প্লাস্টিক, পলিথিনের কারণে কীভাবে মাটি দূষিত হয়?    উত্তর : প্লাস্টিক পলিথিন মাটিতে মেশে না, তাই প্লাস্টিক পলিথিনজাতীয় পদার্থ মাটিতে না মিশে মাটিকে দূষিত করে।

৫.     আর্সেনিক কিভাবে পানি দূষিত করে?    উত্তর : প্রকৃতিতে মাটির নিচে আর্সেনিকের খনিজ থাকে। আর্সেনিক ভূগর্ভের পানির স্তরের সংস্পর্শে এলে তা পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। ৬.    রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে কখন এবং কীভাবে পানিকে বিশুদ্ধ করা হয়?    উত্তর : অনেক সময় বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের কারণে পানি ফুটানো সম্ভব হয় না। তখন ফিটকিরি, ব্লিচিং পাউডার, হ্যালোজেন ট্যাবলেট ইত্যাদি পরিমাণ মতো মিশিয়ে পানি জীবাণুমুক্ত করা হয়। ৭.     বায়ুতে যে সব উপাদান আছে তার কয়েকটির ব্যবহার লিখ।

    উত্তর : বায়ুতে নানা ধরনের উপাদান যেমন : হাইড্রোজেন, অক্সিজেন নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড মিশ্রিত থাকে। এদের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। যেমন :    অক্সিজেন : শ্বাসকার্যে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। উঁচু পর্বতারোহী ও হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের রোগীদের সিলিন্ডারে করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। এ ছাড়া পানির নিচে ডুবুরিরাও অক্সিজেন সিলিন্ডারে করে ব্যবহার করে।

    নাইট্রোজেন : ইউরিয়া সার প্রস্তুতিতে, বিভিন্ন প্যাকেটজাত ও টিনজাত খাদ্য সংরক্ষণে নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়।     কার্বন ডাই-অক্সাইড : বিভিন্ন কোমলপানীয় বোতলে উচ্চচাপে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ভরা হয় পানীয় স্বাদ ঝাঁজালো করার জন্য। অধ্যায়-৬ : শূন্যস্থান১.    খাদ্যের উপাদান ৬টি। ২.     বয়স ও কাজ করার ধরন অনুযায়ী দেহের চাহিদা ভিন্ন। ৩.     যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে তাদের বেশি শক্তি প্রয়োজন।

৪.     বরফ জমানো ঠাণ্ডা তাপে খাদ্যে জীবাণু জš§ায় না। ৫.     রোদে শুকিয়ে খাদ্য সংরক্ষণ একটি প্রাচীন পদ্ধতি। ৬.     খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করলে লিভার ও কিডনি আকার্যকর হয়। ৭.     বার্গার, পটেটো চিপস জাঙ্ক খাদ্য। ৮.     ফ্রুট লুপস্ জাঙ্ক খাদ্য।

৯.     গলদা চিংড়ি হিমায়িত করে সংরক্ষণ ও বিদেশে রপ্তানি করা হয়। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর১.    জাঙ্ক ফুড কী?    উত্তর : যে সব খাদ্যে এক ধনের কৃত্রিমতা থাকে এবং যাতে চর্বি, লাবণ, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে তাকে জাঙ্ক ফুড বলে। ২.     খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করলে কী হয়?    উত্তর : খাদ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফরমালিন ও স্যাকারিনসহ আরও বিষাক্ত পদার্থসমূহ মেশালে শরীরের নানারকম ক্ষতি হয়। এদের মধ্যে কিডনি ও লিভার অকার্যকর হয়, অ্যাজমা হয় এবং শরীরের বৃদ্ধি কমে যাওয়াসহ ক্যানসার হয়। ৩.     মাংস, তরকারি ও ফল রোধে শুকানো যায় না কেন?    উত্তর : মাংস, তরকারি ও ফল ইত্যাদিতে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় উহা শুধু রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায় না।

নৈর্ব্যক্তিক১.    কোনটি উচ্চতাপে জীবাণু ধ্বংস করে সংরক্ষণ করা যায়?    ক. ডাল      গ. মাংস   খ. চাল     ঘ. পনির২.     কি কারণে উদ্ভিদ ও প্রাণী সংখ্যা হারিয়ে যাচ্ছে?    ক. জনসংখ্যা বৃদ্ধি    গ. কলকারখানা কাটা    খ. বনজঙ্গল কাটা    ঘ. বসতি স্থাপন৩.     পেটের পীড়া বা আর্সেনিক কোন ধরনের রোগ?    ক. ছোঁয়াচে রোগ    গ. বায়ুবাহিত রোগ    খ. পানিবাহিত রোগ    ঘ. বংশানুক্রমিক রোগ৪.     সালোকসংশ্লেষণ চলাকালীন সময়ে উদ্ভিদ কোন গ্যাস ত্যাগ করে?    ক. অক্সিজেন    গ. কার্বন ডাই-অক্সাইড    খ. নাইট্রোজেন    ঘ. হিলিয়াম৫.     তুমি জানতে পারলে তোমার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু ধূমপান করে, এখন তোমার করণীয় কী?    ক. তার ইচ্ছামতো চলতে বলবে    খ. এর কুফল সম্পর্কে সচেতন করবে    গ. তার মার কাছে নালিশ করবে    ঘ. তোমরা একসঙ্গে খাবে বলে তাকে জানাবে। ৬.     বাংলাদেশের জলবায়ু কী রূপ?    ক. ভেজা ও আর্দ্র     গ. গরম ও শুষ্ক    খ. শীতল ও গরম    ঘ. উষ্ণ ও আর্দ্র৭.    জলস্রোতকে ব্যবহার করে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাকে বলে-    ক. স্থিরবিদ্যুৎ    গ. জলবিদ্যুৎ    খ. সৌরবিদ্যুৎ    ঘ. চলবিদ্যুৎ৮.    নিচের কোনটি কার্বন দিয়ে গঠিত?    ক. সোডিয়াম ক্লোরাইড খ. ন্যাপথালিন        গ. হীরক         ঘ. সাবান    উত্তরমালা : ১.ঘ ২.খ ৩.খ ৪.গ ৫.খ ৬.ঘ ৭.গ ৮.গ।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।