আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছয় ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সায়াদ ইবনে মোমতাজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয় ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ দাবিতে আজ বুধবার বেলা একটার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা প্রশাসনিক ভবন ও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।

প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন উপাচার্য মো. রফিকুল হক।

তাঁর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে চলে যান। তবে প্রশাসনিক ভবন ও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে এখনো তালা ঝোলানো রয়েছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানা গেছে।

সায়াদ ইবনে মোমতাজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয় ছাত্রকে আজ বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। এ ঘটনায় গঠিত কমিটির তদন্ত সাপেক্ষে এবং গতকাল মঙ্গলবার আবাসন ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশে আজ সিন্ডিকেট কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।



বহিষ্কার হওয়া এই ছয় ছাত্র হলেন ফিন্যান্সের স্নাতকোত্তর বিভাগের মো. রেজাউল করিম, মাত্স্যবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সুজয় কুমার কুণ্ডু ও রোকনোজ্জামান, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র নাজমুল শাহাদাত ও দেওয়ান মুনতাকা মুফরাদ এবং পশুপালন অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর চৌধুরী। এর মধ্যে প্রথম তিনজনকে আজীবন, পরবর্তী দুজনকে চার বছর বা আট সেমিস্টারের জন্য ও শেষের জনকে দুই বছর বা চার সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৩০ মার্চ চতুর্থ বর্ষের ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিকস বিভাগের একটি কোর্সের ক্লাস পরীক্ষাটি শিক্ষককে বলে পেছানোর জন্য সায়াদকে চাপ দিয়েছিলেন সুজয় ও রোকন। তাঁদের চাপে একপর্যায়ে তিনি পরীক্ষা হবে না বললেও পরীক্ষা হয় এবং মাত্র দুজন অংশ নেন। শিক্ষক আবার পরীক্ষা নিতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সুজয়ের সঙ্গে সায়াদের বাগিবতণ্ডা হয়।

এর জের ধরে পর দিন সন্ধ্যায় হলের ২০৫ নম্বর কক্ষে সায়াদকে ডেকে নিয়ে রড, লাঠি, হকিস্টিক দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়। পিটুনিতে সায়াদ বমি করেন ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। ওই কক্ষে তখন সুজয়, রোকনসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ওই রাতে সায়াদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে তিনি ময়মনসিংহ শহরের ট্রমা সেন্টারে মারা যান।



সায়াদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে মামলা করা, দোষী ব্যক্তিদের আজীবন বহিষ্কার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তাঁরা।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।