আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হযরত শাহ জালাল রা এর বাকি অংশ [কেরামতি ]

হজরত শাহ জালাল রা এর আশ্চর্য কেরামতের সংকিপ্ত বাকি অংশ গউর গবিন্দ রাজ্য প্রতাব প্রতিপত্তি সব হারিয়ে এবার ছলনার আশ্রয় নিল । শাহ জাজাল রা কে একনজর দেখার জন্য এক সাপুড়ে টিক করে সাপের বাক্স মধ্য লুকিয়ে রইল । সাপুড়ে যে খানে মুসলিম ঘাটি বর্তমান মেজর টিলা সেথা অবস্থান নিয়ে সাপ খেলা দেখাতে লাগল । শাহ জাজাল রা দূর থেকে ডাক দিলেন হে রাজা ছলনা পরিত্যগ করে বেরিয়ে এস । রাজা অবাক হলেন , কেমন মানুস তিনি যে না দেখেই সব আচ করে ফেলল ।

গুর গুবিন্দ আবার পালাল । হজরত শাহ জালাল রা একটি মসজিদ নির্মাণের আদেশ দিলেন । এবং সেথা আস্তানা বা থাকার উপযোগী আবাস্থল নির্মাণ করে সেথা ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করলেন । তিনি অযু বানানোর জন্য পাশের বিশাল এক দিঘি ছিল সেথা অবস্থান নিলে গউর গবিন্দের লোকেরা এক রমনিকে উলঙ্গ করে রাখে , তিনি আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ জানান , সাথে সাথে উলঙ্গ রমনি সহ বালু কনা এসে পুকুর টি ভরাট হয়ে যায় । এ ঘটনায় শত শত হিন্দু অধিবাসি হেদায়েত এবং মুসলমান হয় ।

সিলেটে এসেই হযরত শাহজালাল রা জানলেন ভারতের কোন এক প্রদেশে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার আস্তানা । তিনি দুত মারফত অলিত্তের চিহ্ন পাটান , এক টুকরা তুলার ভিতরে একটা জলন্ত অঙ্গার পুড়ে সেথা পাটিয়ে দেন , জবাবে নিজাম উদ্দিন আউলিয়া শাহজালাল ইয়েমেনই রা নিকট এক জুড়া কবুতর ও নানা রসদ মসলা পাটিয়ে তার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন । অলির সান্নিধ্য অলি হয় , তার ভাগ্নে শাহ পরান রা একদিন তার মামার অবর্তমানে কবুতর জুড়া খেয়ে ফেলল । কবুতরের খুজ নিলে ভাগ্নে শিকার করে যে জবাই করে খিদে মিটানোর কথা । মামা উপহার সামগ্রি কথা জানালে ভাগ্নে রাগে কবুতরের পাখা সংগ্রহ করে তাতে ফু দেয় ।

আল্লাহর রহমতে হাজার হাজার কবুতর সৃষ্টি হয়ে আকাশে উড়তে থাকে । এবং তারনাম দেওয়া হয় জালালি কবুতর । চিনের গভর্নর শাহ জালাল রা এর নিকট একটি সুন্দর জামা প্রস্তুত করে উপহার দেন । কিন্তু পথিমধ্য জামাটি লুটতরাজের হাতে হস্তগত হয়ে ইরান চলে যায় । আল্লাহর ক্ষুত্রতে এক বছর পর আবার শাহ জ্বালাল রা এর দরবারে চলে আসে এবং সেই দিন চিনের গভর্নর শাহ জালাল রা এর দরবারে উপস্থিত ছিলেন ।

ঘটনার তাৎপর্য জানতে চাইলে আল্লাহর অলি বলেন নিশচই উপহার দাতা নিজে যখন আসলেন তখন উপহার টিও ততদিন সফরে ছিল এবং আজি তার মালিকের হস্তে সেটা আমার নিকট এল । এক হয যাত্রি শাহ জালাল রা এর সমাধি তে এসে যমযম কুপের উৎস খুজে পান এবং পরীক্ষা মুলক ভাবে ঐ কুপে ১০০ স্বর্ণ মুদত্রা বেধে সেথা নিক্ষেপ করে হযে চলে যায় । হজে গিয়ে সেথা ৫০ টি স্বর্ণ মুদ্রা আবার যম যমে নিক্ষেপ করে । দেশে ফিরে আসে । ১১ মাস পর আবার যমযম কুপে নেমে দেখে মক্কা থেকে নামাংকিত আশ্রি বা স্বর্ণ মুদ্রাগুলু অবিকল এখানে পাওয়া গেল ।

কিন্তু এখানের পুতলাটি পাওয়া যায় নি । এতে বুঝা যায় মক্কার যমযম কুপের সাথে এ কুপের সরাসরি যোগাযোগ বা মিল ছিল । বর্তমানে হয়ত উৎস মুখটি বন্ধ হয়ে গেছে । চলবে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.