andharrat@জিমেইলডটকম
আজকে কেক খাওয়া যেতেই পারে কারন আজ আমার “ইয়ে” বার্ষিকী। বেশ লোভনীয় ডিজাইন ও ফ্লেভারের কয়েকটি পেস্ট্রি নিয়ে আসন গাড়লাম। একটু একটু করে কেটে মজা করে খেলাম। আরো ঘন্টা দুই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলাম, বসলাম, মানুষজনকে পর্যবেক্ষণ করলাম। বিশেষ করে তরুনীদেরকে মনোযোগ দিয়ে দেখলাম।
ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি ফ্যাশনমুখী মনে হল। অনেক মেয়েকে দেখলাম মাথায় চমৎকার করে স্কার্ফ বাধা কিন্তু বুক ও নিতম্ব “উদ্ধত মম শির” তাহলে স্কার্ফের কি দরকার, হিসেবটা মিললোনা।
রাতের খাবারের জন্য ভিন্ন একটি রেস্টুরেন্ট খোঁজে বের করলাম, অবশ্য বেশি খুঁজতে হয়নি। জ্বলজ্বলে সাইনবোর্ডে লেখা ‘হামিদ’স’। পা বাড়ালাম।
অনেক ধরনের মুরগী ভূনা, মাছ, ডাইল, ভাজি ইত্যাদি প্রদর্শন করে রাখা আছে। ‘নাসি’ও আছে। জানা গেল এখানে ৪/৫ জন বাংলাদেশী 'বয়' হিসাবে কাজ করছে। একজনের এই সময় ডিউটি ছিল। খবর পেয়ে এলো।
বাড়ী বরিশাল, আছেন ৩ বছর থেকে। তার সাথে পরামর্শ করে ভাত মুরগী নিলাম। খেতে খেতে অন্যান্য মানুষজনকে লক্ষ্য করলাম, কে কি খাচ্ছে? সবার খাবারের পাশেই ড্রিংক্স আছে, বরফ মেশানো চা’ও আছে। আমার কেন জানি হাসি পেল, মনে মনে বললাম, ‘ছাগল নাকি?’ এখানে খেয়াল করলাম বড় গ্লাসে ড্রিংক্স দিলেও তার অর্ধেকই থাকে বরফ। তার মানে ড্রিংক্স অর্ধেক।
আমরা লেমন ড্রিংক্স নিলাম বরফ ২ টুকরো দিতে বল্লাম। নরমাল পানিও নিলাম। বেশ সুস্বাদু খাবার। মালয়ী টেস্ট। খাওয়া দাওয়া শেষ।
ঢেকুর তোলে বসে আছি বিলের অপেক্ষায়।
বিল এলো।
ঘুরে এলাম মালয়েশিয়া-০৪ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।