আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনুপ্রবেশকারী ও জ্ঞানপাপীদের বয়ান এবং অপরিণত রাজনীতি

তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল বিশ্বজিতকে যারা হত্যা করেছে তারা আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের মাঝে অনুপ্রবেশকারী। যারা বাসে আগুন দিয়েছে তারা বিএনপি বা ১৮ দলীয় জোটে অনুপ্রবেশকারী। রাজনীতিক রা হলেন ধোয়া তুলসী পাতা। তাদের কোনো দোষ নেই।

অপকর্ম যা হচ্ছে তা হচ্ছে অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা। এর দায় রাজনীতিক দলগুলো কেন নেবে? ওপরের কথা শুনে আমাকে অনেকে গালমন্দ করতে পারেন এবং তাতে কোনো আপত্তি নেই। কারণ জনগণ আমরা এতোই ভোদাই যে, নেতাদের ওই কথা গুলো বিশ্বাস না করলেও বিশ্বাস করার ভান করি। কাল রাতে প্রবীণ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহও বললেন-- বিএনপিতে অনুপ্রবেশ কেউ করবে না এমন তো কোনো কথা নেই! আবার আওয়ামী নেতারা তো বিশ্বজিত হত্যার দায় অনুপ্রবেশকারীদের উপর চাপিয়ে ই দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলো আসলে অনুপ্রবেশকারীর নিয়ন্ত্রণে।

তাহলে যে দল অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারে না সে দলগুলো তার দায় নেবে না কেন? পরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর এই রাজনীতিটাই চলছে এখন সারা দেশে। যে রাজনীতি দেশটাকে স্বাধীন করলো-- যে রাজনীতি ভাষা আন্দোলন করলো, যে রাজনীতি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলো, সেই রাজনীতি এখন অনুপ্রবেশকারীর দখলে। আমার তো মনে হয় শুদ্ধ রাজনীতির দিন শেষ। এখন অনুপ্রবেশকারীরাই রাজনীতি করবে। খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনাও যে তাদের দলে অনুপ্রবেশকারী নয় তারই বা গ্যারান্টি কই? এরা দুইজনই বঙ্গবন্ধু বা জিয়ার আদর্শ অনুসরণ করছে এমনটি মনে হয় না।

অপরিণত রাজনীতির কারণেই দলে ভিন্ন ভিন্ন মতাবলম্বীদের অনুপ্রবেশ ঘটে-- সেটা হালুয়া রুটির ভাগের জন্য। আর নেতারা তো নিজেরাই টুক টাক ব্যবসায় করে কালো টাকার পাহাড় গড়েন, অতএব অনুপ্রবেশকারী ছাড়া তাদের চলেই না। অতএব শুদ্ধ রাজনীতিকরা নয়, অনুপ্রবেশকারীরাই এখন রাজনীতির ভাগ্যবিধাতা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.