আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোটা মুক্ত বাংলাদেশ চাই। চাই অপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ

আমি কোন কবি কিংবা সাহিত্যিক নই। হয়ত কথা গুলা গুছিয়ে বলতে পারব না। ব্লগ লিখি খুব বেশীদিন হই নি। আমার স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আমার আছে। সবার দৃষ্টি এক না।

আমার দৃষ্টিতে যেটি ঠীক মনে হচ্ছে তা অন্নের দৃষ্টিতে ভুল ও হতে পারে। মুল ঘটনায় যাওয়ার আগে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ভুল হলে তা কমেন্ট এ তুলে ধরবেন দয়া করে । আসুন মুল ব্যাপার এ যাওয়া যাক আজকাল টিভি চ্যানেল কিংবা পেপার খুল্লেই দেখা যায় অমুক যায়গায় খুন তমুক জায়গায় খুন । নেশার টাকা যোগার করতে গিয়ে বন্ধু কে খুন। কিন্তু কেন এটা হচ্ছে তার কারন টা আমরা সবাই বলতে পারি সেটা হল বেকারত্ব।

শুধু তাই নয় আমি পাশাপাশি আরেকটা কারন দাড় করাতে পারি আর তা হল কোটা। এখন কোটা নিয়ে একটু কথা বলি । যে কোন সরকারি চাকুরিতে অনেক গুলা কোটা থাকে তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা মহিলা কোটা আনসার কোটা হাবিযাবি। সেই সাথে আরো আছে মামা চাচা কোটা। এখন কথা হচ্ছে এই যে কোটা ভিত্তিক বৈষম্য এটাই অপরাধ প্রবনতার মুল কারন।

সবকিছুই মেধাভিত্তিক। এসব কোটার কারনে প্রকৃত মেধাবিরা তাদের মেধার সঠিক ব্যাবহার করতে পারে না। আমি দাম্পত্য কলহ দিয়েই শুরু করি। আমরা ছোটবেলা থেকেই জানি পরিবারের প্রধান হচ্ছে বাবা। এর মানে পরিবারের প্রধান হচ্ছেন একজন পুরুষ।

ধরা যাক এই কোটা ভিত্তিক যোগ এ স্ত্রি আয় করেন আর স্বামী এই কোটা ভিত্তিক যুকে কোন কোটায় ই ঠায় পান নাই। এর মানে স্বামী বেকার কোন কাজ নেই। এভাবে কতদিন চলা যায়!! একজন পরিবারের প্রধান যদি বেকার থাকেন তবে সেই পরিবারে কিভাবে সুখ শান্তি থাকবে? আর স্ত্রি হয়ত প্রথম প্রথম কিছু বলবেন না কিন্তু কিছুদিন পর ই স্ত্রির মুখ এ কটু কথা শুন্তেই হবে। এর ফলাফল হিসাবে কি হবে? স্বামী অবশ্যই হতাশা গ্রস্থ হয়ে পরবেন। আর এটা আমরা সবাই জানি বেশিরভাক সময় হতাশাগ্রস্থ লোক নেশায় আসক্ত হয়ে পরেন।

আর অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা। আর একটা পরিবার এর সবাই নির্ভর করে পরিবার প্রধান এর উপর। আজ বৃদ্ধ মায়ের অসুখ ,মা কার উপর ভরসা করবেন? অবশ্যই তার ছেলের উপর । বৃদ্ধ বাবার ওষুধ কিনতে হবে ,উনি কার উপর নির্ভর করবেন? তার ছেলের উপর । বোনের বিয়ে দিতে হবে বিয়ে বাবদ খরচ কে করবে? অবশ্যই তার ভাই ।

এখন সেই ভাই টি যতি নির্ভর করে তার স্ত্রির উপর তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে তা আপনারাই বলুন। আরে ভাই চাকরি বাকরি হবে মেধার যোগ্যতায়। সেটা ছেলে হোক ,মেয়ে হোক কিংবা মুক্তিযোদ্ধার ছেলেই হোক। পৃথিবীর আর কোন দেশ এ এমন আইন আছে কিনা আমি জানি না। আর যখন মেধাবি একজন কোন কাজ কর্ম পায় না তখন সে অনেক ভয়াবহ অপরাধ করতে পারে ।

কারন অপরাধ করতেও মেধা লাগে। একজন হতাশা এবং নেশা গ্রস্থ কেউ যখন তার নেশার টাকা মেনেজ না করতে পারে তখন তার দ্বারা সব কিছুই সম্ভব কারন সে উন্মাদ। সে সব ই হারিয়েছে হারানোর আর কিছু নাই। বন্ধু বান্ধব আত্তিয় সজন তার কাছে অনেক তুচ্ছ মনে হবে এটাই স্বাভাবিক। এবার আসি পরবর্তী ধাপে।

ধরা যাক অপরাধের করনে সাস্তি ভোগ করার পর সে বেরিয়ে আসল । তার পর সে কি হবে ? সেটা আমাদের সবার ই জানা। তখন সে বড় বড় অপরাধ করতে পিছ পা হবে না। একটা কথা আছে কাউকে এক বেলা মাছ খাওয়ানের চেয়ে মাছ ধরাটা শিখিয়ে দাও তাহলে সে সারাজিবন মাছ খেতে পারবে। আজকাল পেপার পত্রিকা খুল্লেই দেখা যায় অনেক উচ্চ শিক্ষিত লোক অপরাধ কাজে জরিয়ে পরেছে।

কেন জরিয়ে পরছে? এর কারন সে তার চাহিদা মত চলতে পারতেছে না ,হয়ে পরছে দিশেহারা। জন শক্তির সঠিক ব্যাবহার না করতে পারলে যা হয়। তাই বলি ঠেং থুয়ে লাঠি ধরে লাভ নেই। অপরাধ প্রবনতা কমাতে অবশ্যই অবশ্যই কোটা মুক্ত চাকরির বেবস্থা করতে হবে। আপ্নারা আবার কেউ এটা মনে করবেন না যে আমি নারিদের কে ছোট করে দেখছি।

হ্যাঁ নারিরাও কর্ম ক্ষেত্রে আসবে সেটা মেধার জোরে কোটার জোরে নয় । পরিশেষে একটা কথা বলে শেষ করি কেউ ইচ্ছা করে সখের তাড়নায় উন্মাদ নেশাগ্রস্থ কিংবা অপরাধী হয় না। তার পিছনে কিছু যোক্তিক কারন থাকে। মেধার সঠিক মুল্লায়ন করতে না পরলে দেশ ধিরে ধিরে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরবে। আর যারা অপরাধ করছে তারা আপনার আমার মাতই মানুষ জন্ম থেকে অপরাধ করার স্বীকৃতি নিয়ে আসে নি।

এর দায় বদ্ধতা আমাদের কেউ নিতে হবে। হাজার হাজার মেধাবি বেকার কে আমার এই লেখা উৎসর্গ করলাম। ভালো থাকবেন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.