আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“দুর্জন বিদ্যান হইলেও যেমন পরিত্যজ্য তেমনি জামাত ভদ্র হইলেই বিষধরঃ" সামাজিক বিপ্লব প্রয়োজন জামাতের থাবা হতে মুক্ত হতে।

আরেকটা যুদ্ধ কি সম্ভব এই দেশে? না কখনোই না। একাত্তরে যেই চেতনা এবং একাত্মবোধ থেকে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছি সেটি কি এখন আর নেই। কেননা অসাম্প্রদায়িক বাঙ্গালী জাতিয়তাবোধের চেতনা থেকে যে জাতির উদ্ভব সেই জাতির ভিতরে এখন আর সেই চেতনা নেই আছে শুধু বিভক্তিতে ভরা সাম্প্রদায়িক চেতনা। এই দৃশ্য কিন্তু এই মাটির কখনোই ছিল না এর রুপকার হল স্বাধীনতার বিপক্ষে থাকা সেই জামায়াত ই ইসলাম। এদের কিছু বহিরপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন সময় যেমন ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলায়, ৬৪ টি গেলায় সিরিজ বোমা হামলা ,রামুর স্রহিংসতা, কিংবা হুমায়ন আযাদের উপর হামলা।

এইগুলি এদের সামাজিক দৃঢ় অবস্থানের কারনেই নিস্তার পেয়ে গেছে। আর সেই কারনেই আজ এরা এসব এর বিচারের জন্য জনমনে ক্রোধ দেখছেনা । আমাদের সমাজ জীবনে আজ জামায়াত এমন ভাবে বিস্তৃত যে এদের চাইলেই আমরা উঠিয়ে ফেলে দিতে পারব না,সম্ভবই না। তাই অন্য আর সব কিছুর সাথে এদের সামাজিক অস্থিত্ত বিলীন করতে হবে তাহলেই সম্ভব এদের প্রস্থান। মসজিদ শুধুমাত্র আমাদের ইবাদতের স্থানই নয় বরং আমাদের ঐতিহ্য যা সাক্ষী দেয় অন্তত সৌদি আরবের চেয়ে এই দেশে ধর্ম প্রান মুসল্লি বেশী।

কিন্তু আজকে ওই স্থানটি সম্পূর্ণভাবে বেদখল করে আছে জামায়াত আর শিবির তার রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে। যদিয়ও ইমাম সাহেবগনের উপর আমার আস্থা রয়েছে যে তারা এসব অধার্মিক ভণ্ডদের প্রশ্রয় দেন না । তবে কোথাও যদি এরুপ সামাজিক ও ধর্মীয় স্থানে জামাতি প্রোপাগান্ডা চলে তবে সেটা অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে । বায়তুল মাল,জানে সদ্গা এবং আরও বহু নামে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে শিবির এবং কিছু জামাতি নিন্মবরগের সঙ্ঘথনগুলি। এতে যদিয়ও কিছু পরিমানে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন তবে তার চেয়ে বহু গুনে সামাজিক মমত্ব, ভ্রাত্তিত্ব,সম্পর্ক এবং গ্রহণযোগ্যতা গড়ে তোলে সাধারন মানুষদের সাথে।

যা মুলত এক প্রকার ভদ্র চাঁদাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে এদের লক্ষ্য হল মানুষের দোর গোরায় পৌঁছান নিজেদেরকে এবং তাদের একটি সাদা ও পরিস্কার রুপ প্রকাশ করা এলাকার মানুষদের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়া গুলি সামাজিক অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য জামাতকে বিশেষ সহজগিতা করছে এতে কোন সন্দেহ নেই। বিভিন্ন পেজ, আইডি, ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে এরা এদের প্রপাগান্দা মানুষের কাছে পউছে দিচ্ছে। যেখানে আমাদের পেইজ গুলিতে আমাদের দেশের পক্ষে কোন কার্যক্রমই করিনা আর সেখানে এদের পেইজে থাকে দেশ বিরোধী সব কার্যক্রম সুতরাং দেখতে হবে যে আসলে আমাদের ভিতরে পার্থক্য কিন্তু বেশী না।

সামজিক সিম্পেথি পাওয়ার আরেকটি কুট কৌশল হল ক্লাসের মেধাবীদের শিবিরের সাথী বানিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করা। এভাবে এদের কিন্তু সব এলাকাতেই একধরনের সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা আছে যেখানে আমাদের অন্যদল গুলি পুরাপুরি ব্যারথ । যাক এদের এরুপ কাজে আমি সমর্থন দিতাম যদি না এদেরকে দেশ বিরোধী কাজে না লাগাত। সুতরাং জেনে শুনে কিন্তু আমাদের মেধাবীদের আমরা দেশের বিরুদ্ধে যেতে দিতে পারিনা। উপরে উল্লেখিত নানা কাজ ছাড়াও আরও অনেক কাজ এরা করে শুধুমাত্র সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য।

আর আমরা সেটা হতে দিচ্ছি আবাল নাগরিকের মতন। যাই হোক রুখে দাড়াতে পরিবারগুলিকে কেননা এদের টার্গেট হল ছোট থেকে শুরু করে বড়। পিতামাতা কে খেয়াল রাখতে হবে যে কাদের সাথে তার ছেলে বা মেয়ে চলাফেরা করে তা নাহলে হয়ত কোন একদিন তারা নিজেরাই তাদের ছেলে মেয়েদের ব্যাগে বই খাতার বদলে বোমা বা চাপাতি দেখতে পাবেন। জামাতের অর্থনৈতিক আগ্রাসনের উপর লিখাঃ জামাত নিধন অসম্ভবঃ কেননা আমাদের সরিষার ভিতরেই যে ভুত !!!! জামাতকে অর্থনৈতিকভাবে বর্জন করুন । ধন্যবাদ!! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।