আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্বিন জাতির বিস্ময়কর খাদ্য - শুকনা হাড় ও গোবর

হায় জ্বিন, সোনালী ডানার জ্বিন,এই ভিজে মেঘের দুপুরে তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে অনেকেই জ্বীনের খাবার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, এ পোস্টের জ্বিনের খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হল। হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে উপস্হিত ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে একটি সাপ এল এবং তাঁর এক পাশে দাঁড়িয়ে গেল। আমি তাকে নবীজীর কাছাকাছি করে দিলাম। সাপটি নবীজীর কানে যেন চুপিচুপি কিছু বলতে লাগল।

নবীজী বললেন, ঠিক আছে। তারপর সাপটি চলে গেল। তখন আমি নবীজীর কাছে ব্যাপারটি কি জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, ও ছিল এক জ্বিন। ও আমাকে বলে গেল, আপনি আপনার উম্মত (মানুষ)-দের বলে দিন যে, ওরা যেন গোবর ও হাড় দিযে এসতেন্জা না করে।

কেননা ওই দুটো জিনিসে আল্লাহ আমাদের আহার্য রেখেছেন {ইবনুল আরাবী কাযী} **************** হযরত শায়খ আবদুল কাদীর জীলানী (রহঃ) হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে তার সঙ্গে তার মুরীদরাও রওনা হন। সেই সফরে তারা যখনই কোন মঞ্জিলে যাত্রা বিরতি দিতেন, তাদের কাছে সাদা পোষাক পরিহিত এক যুবক হাজির হত। কিন্তু সে তাদের সাথে কোন কিছুই খাওয়া-দাওয়া করত না। বড়পীর হযরত আবদুল কাদীর জীলানী (রহঃ) আপন মুরীদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তারা যেন ওই যুবকের সাথে কথা না বলে। এভাবে যেতে যেতে তারা এক সময় মক্কা শরীফে গিয়ে প্রবেশ করলেন এবং একটি বাড়িতে উঠলেন।

কিন্তু তারা যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন তখন সেই যুবকটি ঢুকত এবং তারা বাড়িতে ঢোকার সময় যুবকটি বের হয়ে যেত। এটা বেশ কয়েকজনের কাছে আশ্চর্য লাগলেও বড়পীরের আদেশ মতো কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে যেতে পারছিলো না। একবার সবাই বের হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু একজন তখনও থেকে গিয়েছিলেন পায়খানায়। সেই সময় সেই যুবকটি জ্বীনটি প্রবেশ করে। তাকে তখন কেউ দেখতে পায়নি।

সে ঘরে ঢুকে একটা থলি খুলে গোবর-নাদি বের করে খেতে শুরু করে। সে সময় পায়খানা থেকে যাওয়া মুরীদ ওই ঘরে প্রবেশ করে। এবং তিনি সেই জ্বীনকে দেখতে পান। তখন জ্বীনটি সেখান থেকে চলে যায় এবং এরপর আর কখনও তাঁদের কাছে আসেনি। মুরীদটি এ ঘটনার কথা বড়পীর সাহেবের কাছে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ও ছিল সেইসব জ্বীনদের অর্ন্তগত, যারা রসুলুল্লাহহ (সাঃ) এর মুখে পবিত্র কোরান শুনেছিলেন এবং সাহাবী জ্বীন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন।

(-আরজাওয়াতুল জ্বান, ইবনু ইমাদ, বাংলা গ্রন্থ জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস) ****************** কয়লা কি জিনদের খাদ্য?: অনেক ফিকাহের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়লা দিয়ে ইস্তেন্জা (শৌচ কর্ম) করা যাবে না। কারণ কয়লা হল জিনদের খাদ্য। এ প্রসঙ্গে অবশ্য একটি হাদীস এসেছে। হাদীসটি হল : قدم وفد الجن على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا يا محمد انه أمتك أن يستنجوا بعظم أو روثة أو حممة فإن الله تعالى جعل لنا فيها رزقا قال : فنهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك. الراوي: عبدالله بن مسعود المحدث: أبو داود - المصدر: سنن أبي داود - الصفحة أو الرقم: 39 خلاصة الدرجة: سكت عنه [وقد قال في رسالته لأهل مكة كل ما سكت عنه فهو صالح] জিনদের একটি প্রতিনিধ দল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসল। তারা বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মত হাড্ডি, গোবর ও কয়লা দ্বারা ইসতেন্জা করে থাকে।

অথচ আল্লাহ তাআলা এ গুলোকে আমাদের জন্য খাদ্য হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। হাদীসের বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এ সকল বস্তু দিয়ে ইসতেন্জা করতে নিষেধ করেছেন। (বর্ণনায় : আবু দাউদ) জ্বিন পালন করে দারিদ্র বিমোচন ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।