আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবনের সংজ্ঞা

পৃথিবীতে জীবনের শুরু কিভাবে হল সে কথা বলতে গেলে প্রথমে জীবন বলতে আশলে কি বোঝায় তা ভাল করে জানা প্রয়োজন। জ্ঞান বিজ্ঞান অনেক অগ্রগতির পড়ও এখন পর্যন্ত জীবনের গ্রহণযোগ্য কোণ সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া কঠিন। চোখ খুললেই আমারা আমাদের চারপাশে ছোট বড় অনেক প্রানি দেখতে পাই। আশলে কি আমরা খালি চোখে সব জীবকে দেখতে পারি? না, আমারা সব জীবদেরকে আমারা খালি চোখে দেখতে পারি না যেমন; ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি। যদি মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার না হত তাহলে এইসব জীবদের অস্তিত্ত আমাদের কাছে থাকত না।

আমারা চোখে দেখতে পারি বা না পারি এই সব জীবের মধ্যে একটা বিষয়ে মিল খুজে পাওয়া যায় তা হল এরা সবাই বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। আমারা যদি মানুষের কথা চিন্তা করি তাহলে দেখতে পাই যে আমারা সবাই জন্ম নেয়ার পর আশ্তে আস্তে বড় হই, বিয়ে করি তারপর সন্তান উৎপাদন করি এবং একসময় মারা যাই। সন্তান উৎপাদনের মুল কারন হচ্ছে আমারদের জীবন পরিচালনার জন্য তথ্য ধারন করার যে বস্তুটি আছে তা যেন আমাদের মৃত্যুর পরও থেকে যাই। তাই পৃথিবীর সকল জীব সৃষ্টির মুল কারন হিসেবে বলা যেতে পারে তার ডিএনএ র অনুলিপি তৈরি করা। জীবণকে যদি আরও একটু অন্যভাবে দেখি তাহলে দেখা যাই জীবণ হচ্ছে একটা chemical system যে নিজে নিজে তার অনুরুপ আর একটা system তৈরি করতে পারে।

কিন্তু এই সংজ্ঞারও সিমাবদ্ধাতা আসে। বর্তামান প্রজুক্তির উন্নয়েনর ধারা বজায় থাকলে হইত কোন একদিন এমন শুক্ষ শুক্ষ রোবট তৈরি করা সম্ভব হবে যা কিনা নিজে নিজে তার অনুরুপ রোবট তৈরি করতে পারবে। তাহলে কি আমরা সেইসব রোবট কে জীব অথবা জর কোন দিকে ফেলব তা নিয়ে একটা দ্বিধা থেকে যায়। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি র অগ্রগতির সাথে সাথে biological, chemical, mechanical, electrical system এর মধ্যে পার্থক্য করা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ছে। আর এ কারনেই জীবের বংশ বৃদ্ধির বৈশিষ্টের সাথে আরও একটি বৈশিষ্ট যুক্ত করা প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।

আর শেই বৈশিষ্টটি হল বিবর্তন। জীব ডিএনএ র অনুলিপি করেনের মাধ্যমে তার নিজের মত দেখতে বংশধর তৈরি করে, কিন্তু এই ডিএনএ র অনুলিপি তৈরি করাটা সম্পূর্ণ নিখুত নয়। আর এই ত্রুটিপূর্ণ অনুলিপি করন জীবের মধ্যে কিছু নতুন বৈশিষ্টর সূচনা করে যা তার পরবর্তী বংশধরদের নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মিলয়ে নিতে সাহায্য করে। তাই বিবর্তন হচ্ছে জীবের এমন একটি ক্ষমতা যা ডিএনএ র গঠনএ পরিবরনতের মাধ্যমে জিবকে নতুন কোন বৈরি পরিবেশের সাথে খাপ খায়িয়ে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। এখন পর্যন্ত এই বৈশিষ্টটি জীব কে জর থেকে সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রিথাক করেতে সমর্থ হয়েছে।

তাহলে জীবনকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলতে পারি যে, জীবন হচ্ছে এমন একটি কেমিক্যাল সিস্টেম যা নিজে নিজে বংশ বৃদ্ধি করতে পারে এবং নিজেকে বিবর্তনের মাধ্যামে এমন ভাবে বিকশিত করে যেন তাদের বংশধররা ভবিৎশতে নিজেকে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকতে পারে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.