আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মালয়েশিয়ার জাতীয় ফল ডরিয়ন

লিখতে পারিনা তাই চেষ্টা করি। পরিচিতি অনেকেই ফলটির সাথে পরিচিত না। কারন এই ফলটি কোন দেশে রপ্তানি করা আইনত অপরাধ তাই ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর মালয়েশিয়া ছাড়া অন্য দেশ গুলোতে এটা খুব একটা দেখা যায়না। এটি মালয়েশিয়ার জাতীয় ফল। গঠন অনেকটা বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঠালের মত।

কাঠালের থেকে ডরিয়নের কাটা গুলো একটু বড় হয় এবং ধারালো হয়। ভিতরে কাঠালের মত কোষ হয় তবে সাইজে একটু বড়। একটা ডরিয়নের ৪টা থেকে ৫ টা ফালি বা অংশ থাকে প্রথেকটা অংশে ১/২টা কোষ বা রোয়া থাকে। গাছ দেখতে অনেকটা কাঠাল গাছের মতো বড় এবং মজবুত স্বাধঃ এটা লিখে বা বলে বোঝানো জাবেনা এতো মাদকাময় একটি স্বাধ যে খেয়ে অভ্যস্ত তাকে খেতেই হবে। তবে প্রথম প্রথম এটা কোন বাংলাদেশি খেতে পারবেনা কারন এটার গন্ধটা প্রথমত বুনো মনে হয় এবং ঝাজালো মনে হয়।

কিন্তু কয়েকবার খেলে শুধু খেতে মন চায়। এই ডরিয়ন শুধু কাঠালের মত খাওয়া যায় তা নয় বরং ডরিয়ন দিয়ে অনেক ধরনে কয়ে (পিঠা) তৈরি করা হয় যা মালয়েশিয়ানদের খুব প্রিয়। ডরিয়ন বিদেশ রপ্তানি করা না গেলেও এই কয়ে বা পিঠা বিদেশে প্রচুর পরিমানে রপ্তানি হয়। প্রতিবছর এদেশে রাষ্ট্রপ্রধানের আয়োজনে ডরিয়নের উৎসব হয় সে খানে যে যতো ডরিয়ন খেতে পারে ধরনের প্রতিযোগিতা হয়। সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমত এই ফলটি গাছ থেকে পাড়তে হয়না পাকলে এমনিতেই পড়ে গাছতলায়।

একবার চিন্তা করে দেখুন আমার মতো টাক্কু লোক যদি গাছের তলাদিয়ে যায় আর বেল না পড়ে যদি ওই কাটা ওয়ালা একটা ডরিয়ন মাথায় পড়ে তাহলে আমার কি অবস্থা হবে! এখানে ই আল্লাহর রহমত দিনের বেলায় কখনও ডরিয়ন গাছ থেকে পড়েনা শুধুমাত্র রাত্রিবেলায় এই ফলটি গাছতলায় পড়ে। ছবি গুগোল মামার থেকে নেওয়া  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.