আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদ্ভূত ঘুম

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি ৪৭: বদলে যাওয়া সময়ের সাথে অনেক কিছুই বদলাতে থাকে। যেমন আমিও বদলে গেছি। তবে এসএম হল এখনো বদলায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ হলটি ঘিরে আছে আমার অনেক স্মৃতি। রাত জেগে আড্ডা আর অনেক দিন ঘুমিয়ে কাটিয়েছি এখানেই। খাবারের জন্য পর্যন্ত বাইরে যেতে হয়নি। এসএম হলের বিশাল মাঠ। ভেতরে বাইরে সবখানে খোলামেলা।

এই হলে থাকতো আমার বন্ধু শামীম, তৌহিদ ও দানেশ। প্রথম দুজন সাংবাদিক, বাকিজন ছাত্র নেতা। এই হলে যার সাথে আমার বেশি আড্ডা চলতো তিনি সাইমুম ভাই। মজার মানুষ। এ রকম আনন্দময় মানুষ আমার চোখে কম পড়েছে।

ছাত্রদলের এই নেতা সব সময় আন্তরিকতার সাথেই কথা বলেন, সে সময়ও বলতেন। আমরা বহু রাত আড্ডায় এক সাথে কাটিয়েছি। এই আড্ডায় হেন বিষয় নেই যে তা উঠে আসত না, তবে রাজনীতির চেয়ে ছেলেরদের আড্ডায় যে ধরণের আলাপ হয় সেগুলো বেশি হতো। সাইমুম ভাইয়ের একটা অসাধারন গুণ হলো মানুষকে হাসাতে পারতেন। এখনো পারেন ,নিশ্চয়।

তবে সে রকম আড্ডা এখন আর দেয়া হয় না। কারণ আমরা এখন সবাই বিচ্ছিন্ন। সাইমুম ভাইয়ের সাথে আড্ডা আনন্দটা আমি এখনো মিস করি। ক্যাম্পাস লাইফে শামীম এবং আমি, বেশ আড্ডা দিতাম। অনেক রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থাকতাম।

শেষ রাতে হলে ফেরা। বেশির ভাগ সময় এসএম হলেই থাকা হতো। এভাবেই বেশ চলছিলো। ক্যাম্পাসে আমার দীর্ঘ ঘুমের স্মৃতি এসএম হলে। আমরা একদিন রাতে ঘুমালাম, পরদিন সন্ধ্যায় উঠে সিরাজের দোকান থেকে খাবার এনে খাইলাম।

আবার ঘুম। তার পরের দিন উঠলাম। ভালই ছিল আমাদের সে সময় গুলো। শামীমের সাথে আমার পরিচয়টা ক্যাম্পাস লাইফের মাঝামাঝি সময়ে। ২০০২ সালের দিকে মহসিন হল শিশির ভাইয়ের হাতছাড়া হয়ে যায়।

সে দিনই ওর সাথে আমার পরিচয়। ওরা কয়েকজন হলের সামনে নোটবুক হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে বসে সময় কাটাচ্ছে। সে সময় আমাকে একজন পরিচয় করিয়ে দিলেন শামীমের সাথে। সে সময় ও আল আমিন পত্রিকায় কাজ করতো। পরে ইনডেপেনডেন্ট হয়ে এখন রেডিও টুডেতে কাজ করছে।

শামীমকে আমি খুব যৌক্তিক ছেলে মনে করি, কিন্তু কোথাও কোথাও যে সে আবার গোল্লা মেরেছে সেটি সামনের কোনো এক কিস্তিতে বলবো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।