আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেশি চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয়---ভুল সবই ভুল ... আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে কিছু প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা----

আমি তোমাকে এত বেশি স্বপ্ন দেখেছি যে তুমি তোমার বাস্তবতা হারিয়ে ফেলেছো... ভ্রান্ত ধারণাঃ ডায়াবেটিস ছোয়াঁচে সত্যঃ ডায়াবেটিস কোন জীবাণু ঘটিত রোগ নয়। অন্যান্য অসুখ যেমন হাঁচি কিংবা কাশির মতো ছোয়াঁচে নয়। ভ্রান্ত ধারণাঃ বেশি চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয় সত্যঃ বেশি চিনি খাওয়ার সাথে ডায়াবেটিসের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। ডায়াবেটিস টাইপ-১ এর কারন বংশগত এবং ডায়াবেটিস টাইপ-২ এর কারন জীবন ধারন পদ্ধতি ও আংশিক বংশগত। তবে সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে চিনি জাতীয় পানিয় যেমনঃ এনার্জি ড্রিঙ্কস, কোমল পানিয় যা আপনার ওজন বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস টাইপ-২ এর সাথে কিছুটা সম্পর্কিত।

ভ্রান্ত ধারণাঃ ডায়াবেটিস শুধুমাত্র বয়স্কদেরই হয় সত্যঃ ডায়াবেটিস বয়স নিরপেক্ষ। ডায়াবেটিস বয়স্ক কিংবা তরুন যে কারও হতে পারে। ভ্রান্ত ধারণাঃ যদি বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকে তবে বাচ্চাদেরও ডায়াবেটিস হয়। সত্যঃ সবসময় সত্য নয়। ডায়াবেটিস কিছুটা বংশগত।

ডায়াবেটিসের শতকরা ৯০ ভাগ কারন অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন পদ্ধতি আর অবশিষ্ট ১০ ভাগ বংশগত। ভ্রান্ত ধারণাঃ ডায়াবেটিস হলে ভাত খাওয়া যায়না সত্যঃ ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত পরিমানে ভাত খেলে কোন অসুবিধা হয়না। ভ্রান্ত ধারণাঃ চিনি খাওয়া বন্ধ করলে ডায়াবেটিস সম্পুর্ন আরোগ্য হয় সত্যঃ চিনি খাওয়া বন্ধ করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়ক হয়; আরোগ্য হয়না। ভ্রান্ত ধারণাঃ ডায়াবেটিস আয়ু কমিয়ে দেয় সত্যঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করলে একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তি একজন স্বাভাবিক মানুষের মতই আয়ু লাভ করতে পারেন। ভ্রান্ত ধারণাঃ যেহেতু আমি ডায়াবেটিস এর ওষুধ খাচ্ছি তাই সবকিছু খাওয়ার ব্যাপারে কোন নিষেধ নেই সত্যঃ অনিয়ন্ত্রিত খাবার ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে; আপনি যে মাত্রার ওষুধই খান না কেন।

ভ্রান্ত ধারণাঃ ডায়াবেটিস আক্রান্ত মহিলাদের গর্ভধারন নিষেধ সত্যঃ ডায়াবেটিস আক্রান্ত মহিলাদের গর্ভধারনে কোন বাধা নেই। গর্ভাবস্থায় রক্তে চিনির পরিমান স্বাভাবিক রাখা গেলে মা ও বাচ্চা উভয়েই সুস্থ থাকে। ভ্রান্ত ধারণাঃ স্থুলতা ও মাত্রাধিক্য ওজন থাকলেই ডায়াবেটিস হবে সত্যঃ মাত্রাধিক্য ওজন ডায়াবেটিসের একটি কারন। কিন্তু অন্যান্য কারন যেমনঃ পারিবারিক ইতিহাস, বয়স, জীবন-যাপন পদ্ধতি ইত্যাদিও ডায়াবেটিসের অন্যতম কারন। বেশিরভাগ স্থুলকায় মানুষের কখনই ডায়াবেটিস হয়না আবার অনেক স্বাভাবিক ওজনের ব্যক্তিও ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত।

ভ্রান্ত ধারণাঃ ডায়াবেটিস হলেই ইনসুলিন নিতে হবে সত্যঃ আপনি যদি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক অবস্থায় থাকেন তবে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও কায়িক পরিশ্রমের পাশাপাশি মুখে খাওয়ার ওষুধেই রক্তে চিনির পরিমান স্বাভাবিক রাখতে পারেন। তবে যেহেতু ডায়াবেটিস একটি ক্রম অগ্রসরমান অসুখ সেহেতু বয়স বাড়ার সাথে সাথে শুধু মুখে খাওয়ার ওষুধেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয় না। তাই মুখে খাওয়ার পাশাপাশি অথবা শুধু ইনসুলিন নিতে হয়। অ.টঃ এটি একটি সচেতনতামূলক পোষ্ট; বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নয়। তবে নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে অনুবাদকৃত।

যেমনঃ American Diabetic Association ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.