আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বান্দরবান ভ্রমন এর খুটিনাটি: নীলগীরি থেকে জাদীপাই ঝরনা এবং ছবি ব্লগ: পর্ব ০২-বগালেক

কিবোর্ড নস্ট তাই লিথতে পারি না। বগালেক বাংলাদেশে একটি অন্যতম আকর্ষনীয় ভ্রমন স্থান। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ। বগালেকে আয়তন: প্রায় ১৫ একর নিয়ে বগালেক অবস্থান। বগালেকের অবস্থান: বান্দরবানের রুমা উপজেলায় বগালেক অবস্থিত।

বান্দারবান জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৬৯ কিলোমিটার। রুমা বাজার থেকে দুভাবে বগা লেকে যাওয়া যায়। যদি আপনি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তাহলে ঝিরি পথ ধরে হেটে যেতে পারেন অথবা চাঁন্দের গাড়িতে করে। তবে রুমা বাজার থেকে আপনাকে বাধ্যতামুলক ভাবে সাথে একজন গাইড নিতে হবে এবং রুমা আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে হবে। বগালেকের উচ্চতাঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২৭০০ ফুট ।

ফানেল বা চোঙা আকৃতির আরেকটি ছোট পাহাড়ের চুড়ায় বগা লেকের অদ্ভুত গঠন অনেকটা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের মতো। যাওয়া পথের বনর্ণা: হাঁটা পথে ধরে গেলে সময় লাগবে ৪/৫ ঘন্টার মত। হাটা পথে আপনাকে অতিক্রম করতে হবে অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়। চান্দের গাড়িতে করে গেলে সময় লাগবে ২/২.৩০ মিনিটের মত। মাঝে মাঝে চাঁন্দের গাড়ি এত বাঁকা হয়ে উপরে উঠতে থাকে যে, তখন সামনে আকাশ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না এবং আপনি যদি অতি সাহসীও হয়ে থাকেন একটু হলেও আপনি ভয় পাবেন! এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।

রাস্তায় পড়বে পাহাড়ী কলা, জুম এবং অন্যান্য নানা রকম নাম না জানা ফল ও গাছ। গিয়ে পৌছাবেন বগালেক পাড়াতে। সেখান থেকে ট্রাকিং করে উপরে উঠতে হবে যাতে আপনার সময় লাগবে ব্যাক্তি ভেদে ৩০/৪৫ মিনিট। বগালেকের ইতিহাসঃ প্রায় দুই হাজার বছর আগে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট পাহাড় চূড়ায় স্বচ্ছ জলের মনোরম পরিবেশ বগালেক। এ লেক নিয়ে অনেক কিংবদন্তী প্রচলিত আছে।

স্থানীয় আদিবাসীদের বিশ্বাস এ লেকের ভিতর ড্রাগন দেবতা বাস করে। গঠনশৈলী দেখে বিশেষঙ্গগন মৃত আগ্নেগীরির মুখ বলে মনে করেন। প্রচলিত ইতিহাসঃ বগা লেকের জন্ম নিয়ে স্থানীয়ভাবে একটি মজার তথ্য প্রচলিত আছে, যা অনেকটা এই রকম যে“কয়েক হাজার বছর আগে এখানে একটি সুরু আকৃতির পাহাড় ছিল। দুর্গম পাহাড়ে ঘন বন। পাহাড়ের বাস করত আদিবাসীরা যাদের মধ্যে ছিল,বম,ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা ইত্যাদি ।

পাহাড়ি গ্রাম থেকে প্রায়ই আদিবাসী বা ছোট বাচ্চারা এবং গবাদিপশু ওই সুরু পাহাড়টিতে হারিয়ে যেত। গ্রামের সাহসী আদিবাসীদল কারণ খুজতে গিয়ে সন্ধান পায়, সেই পাহাড়ের চূড়ার গর্তে বাস করে এক ভয়ঙ্কর বগা (আদিবাসী ভাষায় বগা অর্থ-ড্রাগন)। তারা সম্মলিতভাবে ড্রাগনটিকে হত্যা করে ফেলে। ফলে ড্রাগনের গুহা থেকে ভয়ঙ্কর গর্জনের সাথে আগুন বেরিয়ে আসে। মূহুর্তেই পাহাড়ের চূড়ায় অলৌকিক এক লেকের জন্ম হয়”........................তথ্যটি আমাদের গাইড থেকে শোনা।

বগালেকের সবচেয়ে সুন্দর হল রাত। থাকতে পারেন সিয়াম দিদির ঘরে এবং খেতে পারবেন তার হাতে রান্না করা রাতের খাবার । রাত যত গভীর হবে বগা লেকে আকর্ষন তত বাড়বে। সিয়াম দিদির সহযোগীতায় করতে পারবেন বারবেকিউ। সবসময়ই পরামর্শ একা একা কোথাও না যাবার জন্য।

সবচেয়ে আশ্চার্যজনক ব্যাপার আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে, এত উপড়ে (প্রায় ২৭০০ ফুট) কিভাবে একটি লেক হয়। যার আশে পাশে না আছে কোন ঝরনা বা কোন পানির উৎস। এখানে নাকি প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসে প্রাকৃতিক ভাবে পানি ঘোলাটে হয়। এসময় নাকি এখানে অদ্ভুত কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটে। যারা প্রথম পর্ব মিস করেছেন।

ছবি ব্লগ বান্দরবান ভ্রমন এর খুটিনাটি: নীলগীরি থেকে জাদীপাই ঝরনা: পর্ব ০১- নীলগীরি ..................................................চলবে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।