আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একদা আমার দাড়ি ছিল

তুরস্ক এমন একটা দেশ, যেখানে মাথায় কাপড় দিয়ে কোন সরকারি অফিসে ঢোকা যায়না, আজীব! এটাকি ধর্ম-নিরপেক্ষ হল, নাকি ধর্ম-বিরোধি হল? আমরাও কম যাইনা, মাথায় কাপড় দিয়ে মেয়েরা বুয়েটে আন্দোলন করেছে কেন, সেইটা নিয়ে কপচাকপচি দেখে আমার পুরানা দিনের কথা মনে পরে। ইউনিভার্সিটির সেকেন্ড ইয়ার, ভাবে কয়েকদিন শেভ না কইরা দাড়ি বানাইয়া ফালাইলাম। সেইটা নিয়া মানুষ যেই রি-একশন দেখাইছিল, জিদ কইরা দাড়ি রাইখা দিছিলাম। একটা মানুষ দাড়ি রাখবে কি রাখবেনা, তার ব্যাপার। এমনিতে আমি মাঝে মাঝে নামাজ পড়তাম, দাড়ি রাইখা নামাজ পড়বনা, তা কেমনে হয়, নামাজ নিয়মিত করার চেষ্টা করলাম।

যে যার মত ধর্ম পালন করবে, ধর্মের ব্যাপারে কোন জোর-জবরদস্তি নাই, আমারে কেউ দাড়ি কাটতে বলার অধিকার রাখেনা (আর্মির ব্যাপার আলাদা, অইখানে দাড়ি কাটছিলাম, অইটা ড্রেস কোড)। একজন শিখকে যেমন দাড়ি কাটতে বা পাগড়ি খুলতে বলা যায়না, একজন মুসলমানকে তবে দাড়ি রাখার জন্য এত কটু কথা শুনতে হবে কেন? আজকাল বুয়েট নিয়ে এত বাজে গালাগাল শুনে আবার সেই পুরনো জিদটা মাথায় চাপতেছে, আবার মনে হচ্ছে দাড়ি রাখা শুরু করি, এই ফ্রেঞ্চ কাটে আর পোশাচ্ছেনা। দাড়ি রাখার জন্য কথা শুনা একটা আজব অভিজ্ঞতা। ১) দাড়ি রাখছস কেন? - বইলা ধমক। মনে মনে বলি, ব্যাটা তুই আমার বাপ-মা নাকিযে আমারে এমন ধমকাইয়া এইটা জিগাস... ২) হিজাবি মেয়েদের সাথে প্রেম করার জন্য দাড়ি রাখছিস? - হ, তোরে কইছে... ৩) ছ্যাকা খাইয়া দাড়ি রাখছিস? - গাধাদের কথা শুইনা চুপ কইরা থাকা ছাড়া আর কিছু করার নাই।

৪) দাড়ির মধ্যে শয়তান থাকে - আজিবতো! ৫) দাড়ি রাখলে মেয়েরা বিয়া করবেনা - এইটা মনে হয় সত্যি ৬) শিবির রিলেটেড কথাতো বইলা শেষ করা যাবে না। ৭) জঙ্গি ৮) সন্ত্রাসী ৯) আল-কায়েদা ১০) বাংলা ভাই ১১) চাইনিজ কাজি ... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।