আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের নিম্ন শ্রেণীর লোকদের নিয়ে আমার তিনটি কথা।

আমার ব্লগ আমি আমার ডায়েরীর মতো করে ব্যবহার করি। এখানে আমি একটা গল্প অথবা কবিতা লিখতে পারি, অথবা আজকে কিসের তরকারী দিয়ে ভাত খেলাম, সেইটাও লিখতে পারি। । কথা ১ একটা শিশু। যার এই বয়সে গাল ফুলিয়ে বাবা-মায়ের কাছে নানা রঙের খেলনা দাবী করার কথা, বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে সারাদিন ঠাটা রোদের মাঝে, ঝর-বৃষ্টির মাঝে ঠেলাগাড়ি ঠেলে ঠেলে সন্ধায় দু'টা পয়সা নিয়ে ঘরে ফেরে।

দু'টা চাল ফুটিয়ে ছোট্ট বোন আর মাকে নিয়ে খায়। যেই শিশুটি একটা দিন অসুস্থ থাকলে চুলোয় চাল ফুটেনা, ছলছলে চোখে রোগা মা এদিক-সেদিক তাকায়, ছোট্ট বোনটি মলিন মুখে ক্ষুদা পেটে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার চাইতে অভাগা আর কে আছে? অথচ আমরা একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু এইসব অভাগার ভাগ্যটা পরিবর্তন করে দিতে পারি। ওদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি। সব দায়ভার সরকারের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে আমরাও ওদের পাশে দাড়াতে পারি।

সরকার যাদের ভালো চায়না তাদের ভালো তো আমাদেরই চাইতে হবে তাইনা? কথা ২ কিছুকিছু মানুষকে দেখে মনে হয়, রিক্সাওয়ালাদের গালটা তৈরীই হয়েছে তাদের চড় খাওয়ার জন্য। কারো দামী পাজেরোর সাথে একটা রিক্সার আচর লাগলো। দামী পাজেরোর কোথাও রঙ গেল উঠে। দু'হাত লম্বা দাগ পরে গেল চকচকে গাড়িতে। ব্যস! ভদ্রলোক গাড়ি থেকে নেমেই রিক্সাওয়ালার গালে ঠাশ করে একটা দিয়ে বসলেন।

কলার টেনে কিছুক্ষণ হুমকি-ধামকি দিলেন। কিন্তু একটিবারও চিন্তা করবেন না, তার গাড়িতে আচর পরায় তিনি যেই কষ্ট পেয়েছেন, রিক্সার সামনের চাকাটা ভেঙ্গে যাওয়াতে রিক্সাওয়ালার কষ্টটা তার চাইতে কোন অংশেই কম নয়। গাড়ি দেখে হয়তো অনেকে মুখ কালো করে, চোখ বড় বড় করে বলবে, "ইশ! এত সুন্দর গাড়িটার এই অবস্থা কিভাবে হলো!" আর বাবার রিক্সা দেখে রিক্সাওয়ালার ছোট ছোট বাচ্চা দুইটার দুই জোরা চোখ ছলছল করে উঠবে। হয়তো কথা বলার ভাষাটাও হারিয়ে ফেলবে। কোন কষ্টটা বেশি? তার জিবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম রিক্সাটার এই অবস্থা করে দেয়ার অপরাধে আপনিওতো একটা চড় খাওয়ার দাবীদার।

কথা ৩ #বেসরকারী স্কুলগুলোতে সাংসদদের জন্য কোটা বরাদ্দ করা হচ্ছে। তাদেরকে এক শতাংশ নাকি দুই শতাংশ কোটা দেয়া হবে, তা নিয়ে কথা চলছে। এই সমস্ত কোটা প্রথার চরম বিরোধীতা করি আমি। মেধাবী ছেলেটা রিক্সাওয়ালার ঘরে জন্ম নিয়ে কি তাহলে ভুল করলো নাকি? অথবা সুজোগটা তো সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীকে দেয়ার কথা ছিল। #বাংলাদেশ যদি কখনো রাজতন্ত্র হয়, তখন তো সাংসদদের উত্তরসূরীরাই সাংসদ হবে।

আর বাংলাদেশের সাংসদেরা কি মূর্খ্য হবে নাকি? তাদেরকে এখন থেকেই মানুষ বানানোর চেষ্টা করা হউক। সাংসদদের জন্য একশ ভাগ কোটা বরাদ্দ করা হউক। দেশের স্বার্থে ৭১ এ জীবন দিয়েছি, আর এইটাতো কয়েকটা সিটের ব্যাপার স্যাপার মাত্র। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.