আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাটির বুকে সোঁদা ঘ্রানের জীবন

সাদা কুয়াশা জ্যোস্না রাত, দেয়ালে তোমার ছায়া,আমি আঁধারে একা হেটে যাই,বুঝি না কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা মায়া গ্রামের নাম মাঝিরগাও। শুধু গ্রাম ন্য়,মাঝির গাও বাজার শত বছর পুরানো একটি বাজার। ধারনা করা হয় বঙ্গোপসাগরের শেষ সীমানা ছিল এই গ্রাম। এখানে বসবাস ছিল মাঝি-মাল্লাদের ও তাদের পরিবারে্র। আর সে কারণেই এই গ্রামের নাম মাঝিরগাও।

এই গ্রামের ই পাশের গ্রাম কাশিম নগর। এই গ্রাম ডোবা, নালা,খাল-বিল,আর পুকুরে ভরা। মতির মা এই মাত্র পুকুর থেকে অযু সেরে মাগরিবের নামায পড়তে যাবে। মতির বাবা এই সময়ে হাঁক দিয়ে ডাক দিলো। কই গো মতির মা প্রদিপ টা জ্বালাইয়া দিয়া যাও।

এই গ্রাম কেন,আশে পাশের দশ গ্রামে ও বিদ্যুৎ নেই। মহকুমা শহরে কিছু বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে। পাট দিয়ে বানানো এক ধরনের প্রদীপ দিয়েই চলে। অবশ্য বেশিক্ষন জ্বালানোর দরকার হয় না। সবাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে।

কেরোসিন কিনতে আবার মাঝিরগাও বাজারে যেতে হবে। এবার মতির মা,হাক দিলো মাগরিবের নমায শ্যাষ করি আই। মতির বাবা আবার কইলও ,দু গা গুড় মুড়ি দি যাইও, বই বই চাবাই। মতির মা নামায শেষ করে, প্রদীপ নিয়ে ঘরে ঢুকল। আন্নে যে এরুম হুতি হুতি থান।

সংসার চলে কেম্নে?কেরোসিন শেষ?ঘরে রান্ধনের কিছু নাই? এই লন আন্নের গুড় মুড়ি। আইজ জাল বাইতে যান নো কিল্লাই?আজ শরীর ডা বেজায় খারাপ গো। তোয়ার হুত কই? মতি যাত্রা দেখবার গেছে। ডাঙর হোলা কাম কাঈজ নাই? খালি যাত্রা দেয়?আইজ আহুক মতি......। আই হুতি গেলাম।

আন্নে মতি আইলে দরজা খুলি দিয়েন। বালা করি দুয়ার লাগাইয়েন। কাইল রাইত বেহারি গো ভিডাত চোর হান্দাইছে,মতির মা কইলও। কামাইল্লা চোরা অনো বালা হয় নো,কেন? গত সালিশে ৩৬ বেত মারনের হরেও বালা হয়নো। এল্লাই কয় ময়লা যায় না কয়লা ধুইলে, অভ্যাস যায় না মইল্লে।

মতির বাবা এর আগে এক বিয়ে করেছেন। তয় কন্যা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় অই বঊ। মেয়ে গুলোর সবার বিয়ে হয়ে গেছে ১২-১৩ বছর বয়সেই। মতির বাবা যানে,মতি আজ বাড়ি ফিরবে না। সারা রাত যাত্রা দেখে ভোরে বাড়ি ফিরবে।

তাই সে ঘুমিয়ে পড়ল। এই গ্রামে গুটি কয়েক পরিবারের বাস। শীল,দাশ,বেপারি,মালের বাড়ি,ও শেখ পরিবার। মোতালেব শেখ হচ্ছে এই গ্রামের মাথা। শ্রীরামপুরের জমিদার রাজা উদিত নারায়ন এর পক্ষে মোতালেব শেখ খাজনা আদায় করেন।

মধ্য রাতে হঠাত শীল বাড়ি থেকে কান্নার আওয়াজ। এই বাড়ি থেকে প্রায়ই কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। বছর দু এক আগে সৎ মা নাকি গলা টিপে তার সৎ মেয়েকে হত্যা করেছে। লাশ পাওয়া যায় ডোবায়। সেই থেকে কাচারি ঘর থেকে পাওয়া যায় এক অদ্ভুত চিৎকারের শব্দ।

অই সৎ মা ও এখন পাগল। মতি সকালে ঘরে ফিরে। মতির মা মতি কে পাঠায় বেপারি বাড়িতে মতি, বেহারি বাড়িত তন যাই দু গা হেইজ লই আন। তোর বাপে ইছা মাছ আইনছে। রান্ধি দু গা খাই।

মতি গেলো বেহারি বাড়িত। বেহারি বড় মাইয়া কুলসুম ডাক হুনি বাইরে আই জিগায়,কি মতি বাই কিল্লাই আইছেন? মতি উত্তর দেয়, মায় কইছে দু গা হেইজ দিতা। দু গা কেন,এই লন, আন্নের আম্মারা আর সেলাম দিয়েন। এই বলে কুলসুম দুষ্টু একটা হাসি দেয়। কুলসুম রে মতির বালা ই লাগে।

ডোরা ডোরা চোখ, কই লম্বা চুল, মাইডারে মতির মনে ধরে। ওরে নিয়া ঘর বান্ধনের স্বপ্ন দেহে। হাকিম মাঝি জ্বাল বাওয়া শুরু করছে। গভীর সাগরে ডিঙ্গি বাইয়া বাইয়া মাছ ধরতে অয়। আইজ কুদ্দুস মাঝি, জোতি মাঝি, মালেক মাঝি সবাই জ্বাল বাইতাছে।

আইজ আবোয়া ডা একটু বালা। কাইল রাইতে আকাষে তারা আছিলো। তার মানে আইজ বৃষ্টি বা ঝড় বাদল হোওনের সম্ভাবনা নাই। কুদ্দুস বাই শুনছেন নাকি, জমিদার নাকি মাছ চাইছে। হ দুপুরে জমিদার বাড়িত কমান্ডার আইবো।

এই ভর দুপুরে কপালের ঘাম ঝর ঝর করছে মাঝিদের। হাকিম মাঝি গান ধরে, ওরে নীল দরিয়া, আরে আরে দে রে দে ছাড়িয়া। জোতি মাঝি কয়, হুনছনি মিয়ারা কাইল বলে ডেগ ভাসি ঊঠছে। সমর দেহি ত দিছে চিতকুর। কতক্ষণ বাদে আই দেয় ডেগ ডুবি গেছে।

কামাল মিয়ার হরে আর কেঊ ডেগ তুলতে হারে নো। এই গ্রামে চলিত আছে,কাইল্লা বিলে ডেগ ভেসে ঊঠলে তার ভিতর থাকে অনেক সোনা দানা। কামাল নামে যে লোক পেয়াছিল,ডাকাত রা তাকে খুন করে সব নিয়ে যায়। কুদ্দুস মিয়া,হাসি মুখে মাঝির গাও বাজার থেকে ১২ টাকার মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে বাড়িতে যায়। কীগো,মতির মা কই গেলা।

ভাত দেও। ক্ষদায় হেড জ্বলি যায়। মতির মা মতির বাবাকে ভাত বেড়ে দেয়। খাওয়া শেষে কুদ্দুস মিয়া আবার হাঁক দেয়,তামুক কই? তামুক দেও। মতির মা,তামুক এনে দেয়।

তামুক জ্বালিয়ে,সুখ টান দেয় তামুকে। মতির মা পাশে এসে বসে। বুজছ,মতির মা দেশ নাকি। ভাগ হইয়া যাইবে। মারামারি আর গেঞ্জাম শুরু হইছে।

শুনলাম হিন্দুরা সব এই দেশ ছাড়ি ছলি যাইবো। সময় ১৯০৫,বংগভংগ করলেন কারজন সাহেব। তার দুই বছর পর ক্ষুদিরাম তরুণ বিপ্লবী বোমা ফাটালেন সরকারী অফিসে। তিনজন মারা গেলো। ক্ষুদিরামের ফাসি হলো তার বয়স যখন ১৮ বছর।

তার কাছে জানতে চাওয়া হল, তার শেষ ইচ্ছা কি? সে বলল,সময় থাকলে সবাইকে বোমা বানানোর কৌশল জানিয়ে দিতে চাই। ক্ষুদিরাম এর ফাঁসি হল। মতি, কুলসুম দের বাড়ির আশে পাশে ঘুর ঘুর করছে। কুলসুম এর বাবা রশিদ বেপারি ব্যাপারটা খেয়াল করলেন। কি রে বাবা মতি,ইয়ানো কি? বাইত যাও।

না কাগা আন্নেরে দেখতে আইছি। হুইনছি আন্নের শরীর খারাপ। না বাবা ঠিক আছি। তো তোয়ার বাবা মা বালা আছে নি। জী,কাগা আছা বালাই।

তো কাগা বাইত যাই। খাই যাও। না কাগা,অঈন্য এক দিন। কাইল্লা বিলে পাশে দাঁড়িয়ে কুলসুম। পুরো বিল জুড়ে শাপলা ফুল ফুটে আছে।

বিল টা কে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। এর মধ্যে শরতের ঝকঝকে আকাশ। পিছন থেকে মতি ডাক দেয়,কি গীত গাও কুলসুম?কই গীত গাই না তো মতি ভাই। বিল দেই। বিল কান কি সুন্দর লাগে দেকছেন নি মতি বাই।

মতি কুলসুমের দিকে তাকিয়ে থাকে,আর মনে মনে ভাবে বিলের চেয়ে তুমি অনেক সুন্দর। যে ভূখন্ড নিয়ে বর্তমান এ এলাকা অবস্থিত তার আদি চিত্র এ রকম ছিল না। অধিকাংশ স্থানে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গমালা ক্রীড়ায় মত্ত থাকত। বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ তাঁর ‘সিউতী’ নামক ভ্রমণ বৃত্তান্তে ‘কমলাঙ্ক’কে সমুদ্র তীরবর্তী বলে বর্ণনা করেছেন। ‘কমলাঙ্ক’ বর্তমানে কুমিলা ও পূর্ববর্তী ত্রিপুরা জেলার প্রাচীন নাম।

কবি কালিদাস তাঁর ‘রঘু বংশ’ কাব্যে ‘সুষ্মি দেশকে’ ‘তালিবন শ্যামকণ্ঠ’ বলে অভিহিত করেছেন। এ এলাকাকে ‘সুষ্মি দেশ’ বলে বুঝিয়েছেন। প্রাচীনকাল থেকে এ এলাকা সমূহে প্রচুর তালবৃক্ষ জন্মে। কথিত আছে, ত্রয়োদশ শতকের প্রথম দশকের গোড়ার দিকে ভুলুয়া রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বস্বর শুর মুর্শিদাবাদ থেকে চট্টগ্রামে (চাটগাঁও) নৌকা যোগে চন্দ্রনাথ তীর্থ দর্শনে যাবার পথে এ অঞ্চলে আসেন। এটি ছিল নিশ্চিতই নতুন জাগা চর।

বর্তমানে এ এলাকার অধিকাংশ ভূমি, নদী বা সমুদ্র গর্ভ থেকে ক্রমশ চর বা দ্বীপ হিসেবে জেগে উঠে। এ জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকার নামে সাথে চর, দ্বী, দি, দিয়া যুক্ত হয়। যে সব এলাকার সাথে পুর বা গঞ্জ যুক্ত হয়েছে সেগুলিও প্রাচীনতম নয়। নতুন বসতি স্থাপনকারিগণ এসব যুক্ত করেছেন। মাত্র ২ শত বছর পূর্বে এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করে স্কটিশ ভ্রমণকারী ড. ফ্রান্সিস বুকানন লিখেছেন (২ মার্চ ১৭৯৮) ‘‘সম্ভবত বিভিন্ন সময় চর ছিল অথবা এমনও হতে পারে এ অঞ্চল নদীর বালুকা নিয়ে গড়ে উঠেছে।

সব জায়গায় মাটি নরম, ঢিলেঢালা; তার সঙ্গে মিশ্রিত আছে অভ্রাল বালু কণা এবং এ মাটির স্তর বিন্যস্ত নয়। তাছাড়া কাদামাটি এখানে নেই বললেই চলে। (৫ মার্চ ১৭৯৮) পাতা হাট এবং মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে রকম চাষাবাদ করা হয়েছে, এ এলাকার মধ্যবর্তী এলাকা অতটা আবাদি নয়। গাছ গাছালির ফাঁকে ফাঁকে গ্রামীণ মানুষের বসত বাড়ি বেশ ছাড়া ছাড়া এবং অনেক অঞ্চল এখনও প্রাকৃতিক অবস্থায় পড়ে আছে। পাতা হাটের তুলনায় এখানকার জমিন নিচু এবং প্রত্যেক ডোবা সুন্দরবনের গাছ গাছালিতে ভরা।

’’ এ এলাকা ছিলো ভুলুয়া রাজ্যের অধীনে। চুতর্দশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ ভুলুয়া জয় করেন। এখানে তিনি পূর্বাঞ্চলীয় রাজধানী স্থাপন করেন এবং একজন শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। মেঘনা উপকূলীয় সীমান্ত রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী নৌ-ঘাটি স্থাপন করা হয়। তখন প্রমত্তা মেঘনা নদী ফরাশগঞ্জ ও ভবানীগঞ্জের উপর দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত ছিল।

ব্রিটিশ রা এখানে একটি নৌ ঘাটি স্থাপন করে। যার অধীনে থাকতেন একজন কোম্পানি কমান্ডার। সেই কমান্ডার আসছেন শ্রীরাম পুর জমিদার বাড়িতে। আইজ জমিদার বাড়িত খাওন দিব। কেলা হাতাত করি ভাত আর গরু ভুনা।

গেরাম বাসি গেছে খালি হায়ে,কুত্তা গাত দি,জমিদার বাড়ী। কাইল্লা খাল হাড়ি দি,১ মাইল হাডন লাগে জমিদার বাড়িত যান লাগে। মতি বিল হাড় বই রিছে। কুলসুমের লাই হরান হইরতেছে হেতার। কবে এই কাঈল্লা বিলে কুলসুম রে লই নোকা বাইয়ূম,কুলসুম শাপলা তুঈলবো আই গান ধইরুম।

মতি, খেয়াল করে, কাল কোত্তা হরা এক লোক খাড়াই রইছে। আগে কনও এতেরে দেই ন। কোন গেরামের। ইয়ানো কি আরে?ও বাই,ইমুই আইয়েন? হেতের নাম জ্যোতি বসু। হতেন মুরশিদাবাদ তন চাটগাঁও যাওনের লাই নদী হথে ইয়ানো আইচে।

জ্যোতি ক্ষুদিরামের বন্ধু। ওরা সবাই একসাথে বোমা বানানোর ট্রেনিং নিয়েছে। জ্যোতি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কথা বুঝিয়ে বলল। জ্যোতি তার কাছে থাকা দুটি বোম দেখালো। তার টারগেট এই নৌঘাটী উড়িয়ে দেয়া।

মতি,তার যুয়ান বয়সের টগবগে রক্তের আলড়নে রাজি হয় গেলো। সে জ্যোতি কে থাকার ব্যবস্থা করে দিল,তাদের কাচারি ঘরে। রাজবাড়িতে মানুষে সরগরম। এ বছর খাজনা বেশি আদায় হওয়ায় কোম্পানি কমান্ডার খুশি। মতি আর জ্যোতি পরেরদিন বোটে করে, রওনা হলো........।

মতি, বলল জ্যোতি বাই,ইয়ান তন দু ঘন্টা বোটে, তার হর ,হাডি যাইত হইব। জ্যোতি সায় দিল,মাথা নেড়ে। তারপর রাত ১১ টায়, জ্যোতি বাই, ইয়ানে ঢুকবেন কেম নে? চাইর দিকে তো সিপাই। রাইত ৩ টা,মতি জিগায়, জ্যোতি বাই, ঘুমাইতেন ন? মতি, সিপাই সব ঘুমিয়ে পড়েছে। এখনী বোম ফাটাতে হবে।

কন কিয়া, জ্যোতি বাই,দেন আর কাছে বোমা এক কান দেন। আই ভিত্রে হান্দাই,বোমা হাডাই দি আই। মতি এগিয়ে যায়,বোমা ফাটাতে, বিকট বিস্ফোরনের শব্দ কেঁপে ঊঠে কোম্পানি কমান্ডার এর বাংলো। মতির নিথর পড়ে থাকে। জ্যোতি কে গুলি করে মারা হয়।

হোলা গা যে কন্ডে গেলো?মতির বাবা হোলারে খোঁজে...... আর হোলা হোলা কোনাইরে...আর হোলারে আনি দে তোরা...মতির মার আহাজারিতে কেঁপে উঠছে কাশিমনগর গ্রাম...............আর আকাশ-বাতাশ। (এই গল্প ইতিহাসের কোনো সত্যি কাহিনী নয়.........। এটি ইতিহাস থেকে নেয়া কিছু কাকতলীয় চরিত্রের সম্মিলনে বাঁধানো ফ্রেমে বাধা একটি বিচ্ছিন্ন গল্প মাত্র। কোনোরুপ ইতিহাস বিকৃইতি কারও দৃষ্টি গোচর হলে ক্ষমা সুন্দর ভাবে দেখবেন। ) (উতসর্গ ; ক্ষুদিরাম বসুকে) লিংক; http://en.wikipedia.org/wiki/Khudiram_Bose  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.