আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জানেন কি? ডিজিটাল জামায়াত কি ভাবে হামলা চালায়, কি তাদের টার্গেট? না জানলে জেনেনিন!

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। আওয়ামী সরকার ঢাক ঢোল পেটালেও, ডিজিটাল সাফল্যের শীর্ষে জামায়াত। সাইবার জগতের সব কুটকৌশল রপ্ত করা অনেক আগেই শেষ। তারা সরকারের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে সাইবার দুনিয়ায় পাল্টে ফেলছে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ইসলামী মূল্যবোধ। নিজেদের সুবিধা মত তারা পাল্টে নিচ্ছে ঐতিহাসিক তথ তথা ইসলামের নির্দেশনা গুলো।

লজ্জাজনক হলেও স্বীকার করতেই হবে তারা সফল। আর তারা এই কাজ করছে দীর্ঘ সময় ধরে। প্রযুক্তির ব্যবহার প্রথমে প্রচারনায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তারা হানাহানীতে ব্যবহার হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ঘটে গেল রামু কান্ড। সর্ব শেষ কান্ড লাগাতার দেশ ব্যপী পলিশের উপর হামলা।

এক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষনীয়। গুচ্ছ এসএমএসের মাধ্যমে দ্রুত নির্দেশনা আর ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে হামলা করার কারণে জামায়াত-শিবিরের সামপ্রতিক কর্মসূচিতে 'নাকাল' হতে হয় পুলিশ সদস্যদের। পুলিশ বলছে, হামলার সময় ও নির্দেশনা দিয়ে ওইসব 'গুচ্ছ এসএমএস' পাঠানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী পুলিশের ওপর আক্রমণ করে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। গত সোমবার বিকালে মতিঝিলে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত ও শিবিরের সংঘর্ষে অন্তত বাইশ পুলিশ সদস্য আহত হন।

মালিবাগে আহত হয় আট জন। রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও বরিশাল, সিলেট, সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রামেও ওই দুই দিন পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সারাদেশে আহত হন প্রায় দেড়শতাধিক পুলিশ। বিডিনিউজ। স্বল্প সময়ে এতো পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে রমনা বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, 'জামায়েত-শিবিরকর্মীরা ছদ্মবেশে মতিঝিল অফিস পাড়ায় বিভিন্ন অফিসে অবস্থান করে।

পরে তারা সাধারণ জনতার বেশ ধরে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ তাদের এ পরিকল্পনা বুঝতে পারেনি। ' গুচ্ছ এসএমএসের মাধ্যমে মাঠে থাকা নেতাকর্মীদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছিল বলেও জানান তিনি। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, 'তবে মোবাইল বার্তায় পাঠানো হামালার পরিকল্পনা আগেভাগে জেনে যাওয়ায় মালিবাগে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। ' শুধু 'গুচ্ছ এসএমএসের' মতো কৌশল নয়, অনেক ক্ষেত্রে 'আতঙ্কিত' মোটরসাইকেল আরোহীর বেশেও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঠে থাকা নেতাকর্মীদের নির্দেশনা পেঁৗছে দিয়েছে বলেও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

এরকম কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। রমনা জোনের পরিদর্শক (পেট্রোল) মো. শহীদ জানান, মঙ্গলবার মালিবাগে হামলার সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয় যুবক সংঘর্ষের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন ওই পথে না গিয়ে ফিরে আসে। মৌচাক মোড়ে তাদের আটক করলে তারা জানান, তারা ঠিকাদার। কিন্তু ওই সময় তাদের একজনের মোবাইলে ফোন এলে অপর প্রান্ত থেকে বলতে শোনা যায়, 'এখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

তোমরা যার যার মতো নিরাপধে চলে যাও। ' মূলত ঘটনাস্থল ঘুরে পুলিশের অবস্থান জানাতেই তারা ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন বলে জানান মো. শহীদ। ঘটনার সময় মালিবাগে একজন জামায়াতকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে থেকেই দলের নেতারা তাদের ছয় সদস্যের আলাদা আলাদা দলে বিভক্ত থাকতে বলেছিলেন, যেখানে একজন থাকবেন নেতৃত্বে। ওই নেতাই প্রতিটি দলের 'করণীয়' নির্ধারণ করে দেন। আলাপচারিতায় আনোয়ারুল হক নামে ওই জামায়াতকর্মী বলেন, 'কোন স্থানে যদি পাঁচ জন পুলিশ থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা পাঁচ জনকেই আক্রমণ না করে একজনকে টার্গেট করবো।

তখন আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে বাঁচাতেই বাকিরা ব্যস্ত হয়ে পড়বে। ' এ ধরনের হামলায় ভালো ফল পাওয়া যায় জানিয়ে তিনি বলেন, অ্যাটাক ইজ দ্য গুড ডিফেন্স। রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার নরুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের কোনো কর্মসূচি মানেই পুলিশের ওপর হামলা, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। বিগত দিনের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলেই এটা পরিষ্কার। সুত্র শিবির কর্মীদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে যে, ‘পুলিশকে গুলি করতে বাধ্য করাই ছিল হামলার টার্গেট’।

বিক্ষোভ মিছিল বের করার পর পুলিশ যাতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য ছাত্র-শিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর হাই কমান্ডের নির্দেশ ছিল। ওই নির্দেশনা মোতাবেক গত মঙ্গলবার বিকেলে মিছিল বের করেই সরাসরি পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। আর সেই দিনের হামলায় অংশ নেওয়া শিবির ক্যাডাররা পুলিশের গতিবিধি সম্পর্কে আগাম তথ্য পাচ্ছিলো মোটরসাইকেলে থাকা ক্যাডারদের কাছ থেকে। গ্রেফতার হওয়া শিবিরকর্মীরা রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এ ধরণের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম মনির-উজ-জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সুত্র  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.