আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাল্পনিক অশ্লীল গল্প সমগ্র (১৮+ এবং রাজনীতিবিদ’দের জন্য নিষিদ্ধ)

আমি আমার "বাস্তব" কর্মব্যস্ত জীবনের ফাকে একটু বিনোদনের আশায় সুধু মাত্র ফান/মজা/টাইম পাশ/বন্ধুত্ব/দুষ্টামি করার জন্যেই আমার " "ভার্চুয়াল লাইফ" ব্যাবহার করি। আমার কোনো কমেন্টে বা পোস্টে কেউ যদি আঘাত পান, তাহলে সরাসরি জানাবেন, আমি“প্রকাশ্য সরি” বলে দিব। কিছু ফাউ আলাপঃ স্টুডেন্ট লাইফে একটু আকটু যেমন “অচলীল বই” পড়তাম, তেমনি দৈনিক পত্রিকা মারফত দেশের খবরও রাখতাম। তখন থেকেই এই টাইপের টুক-টাক গল্প, অনু গল্প, কার্টুনের ক্যাপশন লিখতাম। অনেক দিন পরে আবারো এইসব লিখলাম, যদি আপনাদের ভাল লাগে ও ক্যাচাল না করেন তাহলে “কারেন্ট ইস্যু” নিয়ে লিখে মাঝে মাঝে সিরিয়াল হিসেবে দিব।

গল্পঃ ১ সে বহুকাল আগের কথা, এক দেশে এক রাজা ছিল। তাহার ছিল অনেক অনেক পাইক পেয়াদা, হাতি ঘোড়া, উজির নাজির, মন্ত্রী আর ছিল এক সেনাপতি। রাজার অনেক কিছুই ছিল কিন্তু মনে শান্তি ছিল না। কারন রাজ্যের তরুন-ইয়াং পোলাপাইন’রা সব খারাপ হইয়া যাইতেছিল। সুধু খারাপ না, খুবই খারাপ।

পোলাপাইনরা সুযোগ পাইলেই ঘোড়াকে “খাম্বার” সাথে বেধে রেখে পটু মারিত। বিভিন্ন কালারের, বিভিন্ন সাইজের, বিভিন্ন বয়সের ঘোড়াদের পটু মারিত। রাজা ভীষণ চিন্তায় পরিলেন, তখন উনি তাহার রাজ্যে এলান করিলেন “ এখন হইতে যে ঘোড়ার পটু মারিবে, তাহাকে শুলে চড়াইয়া হত্যা করা হইবে”। অনেক যুবক’কে শুলে চড়াইয়া হত্যা করার শাস্তি হইল। যাক এবার রাজ্যে শান্তি ফিরিয়া আসিল।

বেশ কিছু দিন সব কিছুই ভাল চলিতেছে। কিন্তু হটাত একদিন অভিযোগ আসিল, পাশের বনে কে একজন ঘোড়া’র পটু মারছে। আরে! আরে! এত আর কেউ নয়, স্বয়ং রাজপুত্র!!! রাজা দৌড়ে গেল মন্ত্রীর কাছেঃ মন্ত্রী আমার ছেলে কে বাচাও। আমার একমাত্র আদরের মানিক’কে বাচাও। মন্ত্রীঃ চিন্তা করিবেন না হুজুর, আমি ঠিকই ব্যাবস্থা করিব।

বিচার বসিল। রাজ্যের গন্য মান্য ব্যাক্তিরা বিচার দেখিতে আসিল। বিচার কাজ শুরু। মন্ত্রীঃ এই কে দেখেছিস আমাদের রাজপুত্রকে “পটু” মারাতে? সাহসি এক তরুনঃ জ্বি হুজুর আমি, মন্ত্রীঃ হুম। কোন দিকে তাকিয়ে উনি পটু মারছিলেন? সাহসি তরুনঃ জ্বি জনাব, উনি রাজ-দরবারের দিকে তাকাইয়া ছিলেন।

মন্ত্রীঃহুম উনি কি রঙের ঘোড়া’কে পটু মারছিলেন? সাহসি তরুনঃ জ্বি, উনি সাদা রঙের ঘোড়াকে পটু মারছিলেন। মন্ত্রীঃ তাইলে ঠিকই আছে। আইনের কোথাও “সাদা” ঘোড়ার কথা লিখিত নাই। এতএব সাদা ঘোড়া পটু মারা জায়েজ আছে। বাচিয়া গেলেন রাজ পুত্র, আর এমনি ভাবে উনি পটু মারতে লাগিলেন বছরের পর বছর।

সাধারন প্রজারা মনুক্ষুন্ন হইলেও দুঃখের বিষয় হইল ঐ রাজ্যেরই কিছু “পেইড পাবলিক” এই সাদা ঘোড়া পটু মারাকে জায়েজ বলিয়া রাস্তায় রাস্তায়, গাছের গায়ে, দেয়ালে দেয়ালে “স্ট্যাটাস” দিলেন আর অন্ধের মত রাজাকে সমর্থন দিলেন। তাই রাজ্যের প্রজারা শুধু মুখ বুজিয়া পটু মারা খাইয়াই গেলেন। গল্প ২ঃ নদীর পানি যেমন সব সময় এক ভাবে প্রবাহিত হয় না তেমনি রাজার রাজ্যও এক জনের হাতে বন্দী থাকে না। রাজা ও তার পুত্র বিভিন্ন ভাবে পটু মারা খাইতে খাইতে এক সময় সেনাপতি সাহেব বিদ্রোহ করিলেন। উনি নিজ হাতে রাজ্যের ক্ষমতা কাড়িয়া লইলেন।

দেশের সাধারন প্রজারা ছিল অত্যান্ত নিরীহ তাই তাহারা কিছু বুঝিলেন না, কিছু করারও ক্ষমতা তাহাদের ছিল না। সেনাপতি তাহার রাজ্যে সকল ধরনের পটু মারা নিষেধ করিলেন, দুধে পানি দেয়া নিষেধ, ওজনে কম দেয়া নিষেধ। দামি গাড়িতে চড়া নিষেধ, এসির নিচে বেশ্যাদের নিয়ে আনন্দ করাও নিষেধ। (তবে সেনাপতি সাহেব ও তাহার সৈন্যবাহিনীরা চাইলে উহা করিতে পারিবেন। ) সাধারন প্রজারা সবই মানিয়া লইলেন, তাহারা শুধু দুই বেলা দু মুঠ ভাত ও জীবনের নিরাপত্তা পাইলেই খুশি ছিলেন।

তাই তাহারা ধন্য ধন্য বলিয়া সেনাপতি সাহেব’কে ধন্যবাদ দিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরে প্রজাদের পেটে অসুখ দেখা দিল, মনে কস্ট পাইতে লাগিল। কারন সারাজীবন ভ্যাজাল খাওয়া জনগনের পেটে হটাত করিয়া পানি ছাড়া দুধ ও খাটি “ঘী” সহ্য হইল না। উপরন্ত যাহারা পটু মারা খাইয়া যে “রতি কর্মের” আনন্দ পাইয়াছিল তাহারা ঐ “নিষিদ্ধ শিহরণ” আবার পাইবার জন্যে আকুল হইয়া গেল। এই সুযোগ কাজে লাগাইল পুর্ববর্তি রাজাদের নিকট হইতে “তোষামোদ” করিবার জন্যে যাহারা নিয়মিত পেমেন্ট পাইতেন সেই সব সেলিব্রেটি ব্যাক্তিরা।

তাহারা রাস্তায় রাস্তায়, গাছের গায়ে, দেয়ালে দেয়ালে “স্ট্যাটাস” দিলেন, “ফিরায়া দাও আমাদের রাজতন্ত্র, ফিরায়া দাও আমাদের পরিবারতন্ত্র, ফিরায়া দাও আমাদের “যৌন কর্ম” করিবার অধিকার” ফিরায়া দাও আমাদের “পটু মারা” খাওয়ার আনন্দ। গল্পঃ ৩ রাজ পুত্রের পটু মারা, সেনাপতির বিদ্রোহ, জনগনের যৌনতার অধিকার হরন প্রভৃতি দুর্যোগ মুহুর্তে দেশের ক্ষমতা ভার পাইলেন “রাজা বাল কৃষ্ণ চন্দ্র”। প্রজারা একটু লড়িয়া চড়িয়া লুঙ্গি ঠিক করিয়া বসিলেন। নতুন রাজা, নতুন মন্ত্রী, নতুন সেনাপতি। এই মন্ত্রীদের রাজ্য শাসন করিবার অভিজ্ঞতা ছিল না।

উহারা বেশির ভাগই ছিলেন মাঝি মাল্লা। তাই প্রথম প্রথম উহাদের উলটা পাল্টা কাজ কর্ম প্রজারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখিয়াছিলেন। তবে এক জন মন্ত্রী একটু বেশি সাহসি হইয়া “রসাইয়া রসাইয়া” “চটিয়া চটিয়া” “চিবিয়া চিবিয়া” কালো বেড়াল শিকার করিবার ঘোষণা দেন। কিন্তু উনি পরবর্তিতে সেই কালো বেড়ালের হাতে আচড় খাইয়া আহত হন। প্রজারা চিতকুর মারিয়া উঠিলেনঃ হায়! হায়! মন্ত্রী সাহেব আমাদের মান সন্মান ধুলায় মিশাইয়া ফেলিলেন।

বাঘ সিংহ’র হাতে আহত না হইয়া সামান্য বিড়ালের হাতে আহত!! তাও কালো বিড়ালের!! প্রজারা ভীষণ মনকষ্ট পাইলেন। এই ভাবেই চলিতেছিল সেই হতভাগ্য রাজ্য ও তার প্রজারা। কিছু দিন পরে ঘটিল আরো বিশাল ঘটনা। ঘটনা না বলিয়া, দুর্ঘটনা বলাই উত্তম। কে বা কাহারা যেন রাজ্যের রানি কে অপহরন করিয়া লইয়া গিয়াছে।

রাজা মশাই চিন্তিত হইলেন, সভাসদ বিমুর্ত হইলেন। পরে সবাই পরামর্শ করিয়া “সাহসী দৌড়বীদ” মন্ত্রীকে পাঠান হইল রানিকে উদ্ধার করিবার জন্যে। মন্ত্রী তাহার নাদুস নুদুস ভুরি সর্বস্য দেহটাকে টানিয়া ঘোড়া লইয়া রানিকে উদ্ধারের আশায় বাহির হইলেন। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হইল, এবং অবশেষ রাত হইল। আকাশে মেঘেরা গর্জন তুলিয়া বর্ষন করিতেছে।

মন্ত্রী উপায় না পাহিয়া একটি পাহাড়ের উত্তর দিকের গুহায় প্রবেশ করিলেন। ঐ পাহাড়ের দক্ষিন দিকেও একটি গুহা মুখ ছিল। মন্ত্রী গুহায় প্রবেশ করেই হবাক হলেন, কে যেন আগে থেকেই গুহায় প্রবেশ করেছেন, আবছা অন্ধকার ও বিদ্যুৎ চমকানোর আলোয় উহাকে নারী মানব মুর্তি হিসেবেই দৃশ্যমান হচ্ছিল, এইরূপ মনে হতেই মন্ত্রীর মনে কামনা-বাসনা জাগিয়া উঠিল, গুপ্ত মাংসপিণ্ড লাফাইয়া ঊঠিতে চাইল। মন্ত্রী ঝাপাইয়া পড়িলেন ঐ নারীর উপর এবং তাকে “ডিজে রাহাতের” মত কোপাইলেন। কোপাকুপি চলল সারা রাত।

নারী’টি কিছু একটি বলার চেস্টা করিয়াছিলেন কিন্তু বাতাসের শব্দ ও মেঘের গর্জনে তা বুঝা গেল না। প্রভাত আসিল, তাহাদের ঘুম ভাঙ্গিল গেল। সুর্যের আলোয় দুজন’ দুজনাকে দেখে চমকিয়ে গেল, আরে এযে স্বয়ং রানী সাহেবা। হ্যা, গতকাল রানী সাহেবা শত্রুর হাত থেকে পালিয়ে এই একই পাহাড়ের দক্ষিন দিকের গুহা মুখ দিয় আসিয়া এই পাহাড়ে আশ্রয় নিয়া ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হইল না, নিজ দেশের মন্ত্রীর কাছেই সম্ভ্রম হারাইতে হইল।

রানী’র সন্মান মানে গোটা রাজ্যের সন্মান। আজ এই লম্পট মন্ত্রীর জন্যে রাজ্যের সম্ভ্রম লুটাইয়া পড়িল, ধুলায় মিশিয়া গেল। অতপর তাহার দুজন রাজ্যে ফিরিয়া আসিলেন, মন্ত্রী রাজার কাছে তাহার বীরত্বের কাহিনি বর্ননা করিলেন আর বলিলেন “রাজা মশাই, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল রানীকে উদ্ধার এবং সেটা যে কোনো কিছুর বিনিময়ে, আমি আমার নিজের সম্ভ্রম দিয়া রানীকে উদ্ধার করেছি, । ” রাজা সবই শুনিলেন। কিন্তু বুঝিতে পারিতেছিলেন না যে ধর্ষনের ঘর্ষনে পুরুষ মানুষের ইজ্জত হরন হইল? নাকি রানীর ইজ্জত হরন হইল? মন্ত্রী তার সম্ভ্রম বিষর্জন দিলেন? নাকি রানীর সম্ভ্রম নিয়া মজা পাইলেন? রাজা ভাবিলেন, গভীর ভাবে ভাবিলেন।

হটাত উনি চিৎকার করে কহিলেনঃ দেখ উজির, দেখ নাজির, দেখ প্রজারা, আমার মন্ত্রী কত দেশ প্রেমিক। আমার মন্ত্রী নিজের ইজ্জত দিয়া দেশের রানীকে শত্রুর হাত হইতে উদ্ধার করিয়াছেন। আমার রাজ্যে এর থেকে বড় দেশ প্রেমিক আর নাই। তোমারা সবাই জয়ধ্বনি কর। সাধারন প্রজারা চুপ থাকিলেও সেই সব সেলিব্রেটিরা তাহাদের পেমেন্ট হালাল করিবার জন্যে “অন্ধের মত” রাস্তায় রাস্তায়, গাছের গায়ে, দেয়ালে দেয়ালে “স্ট্যাটাস” দিলেন আর ধর্ষক মন্ত্রীকে দেশ প্রেমিক উপাধিতে ভূষিত করিলেন।

---------------------------X-----------X------------------------------- ---------------------------X-----------X------------------------------- ক্ষমা প্রার্থনাঃ ইচ্ছে করেই সাধু ভাষা, চলিত ভাষা, ব্লগিয় ভাষা, ইংরেজি ভাষা ও অশ্লীল ভাষার মিশ্রন করেছি আর অনিচ্ছাকৃত অসংখ্য বানান ভুল হয়েছে, ক্ষমা করে দিবেন। সারমর্মঃ একটি রাজ্যের গত ১১ বছরের কাল্পনিক অশ্লীল কাহিনি। পাদটীকাঃ এন্টিনা মুলক পোস্ট মোরালঃ “পটু মারা পাই, তাই পটু মারা খাই” এর আবার মোরাল আছে নি? বিঃদ্রঃ ইহা একটি অলস মস্তিকের “নেই কাজ তো খই ভাজ” টাইপের ফসল। উক্ত গল্পের সাথে জীবিত, মৃত বা অর্ধ মৃত কোনো ব্যাক্তির মিল নাই, যদি মিলে যায় তাহলে সেটা কাকতালীয় মাত্র। ইহা লেখার জন্যে অভ্রু ও কিবোর্ড দায়ী হতে পারে।

কোনো ভাবেই পোস্ট দাতা দায়ী হবে না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪৯৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।