আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবন ধ্বংস করার জন্য বাজেট বড়, নাকি জীবন বাঁচানোর বাজেট বড় হওয়া উচিত....?

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... গতকাল থেকে টেলিভিশনের পর্দায় সাভারে উদ্ধারকাজ যেভাবে দেখানো হয়েছে, তাতে যে কোন নাগরিকের লজ্জ্বা পাওয়া উচিত - দেশের বয়স ৪২ বছর হয়েছে, কিন্তু ভান্ডারে কি জমা হলো? খালি হাত দিয়ে টেনে টেনে মানুষ স্লাব সরাচ্ছে, খালি হাত দিয়ে রড বাঁকা করছে, কাঁপড় দিয়ে মানুষ বেয়ে বেয়ে নামছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলছে, তারপরেও কয়েক শ মানুষ আহত অবস্থায় জীবন-মরণের মাঝখানে এখনো আটকা পড়ে আছে। অথচ, ঠিকমত ইকুইপমেন্ট থাকলে ৪/৫ ঘন্টার ভিতরেই পুরো বিল্ডিংয়ের ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে ফেলা যেত। চট্টগ্রামে বদ্ধারহাটে ফ্লাইওভার ধসের পর স্লাব কাটার মেশিন খুঁজতে ৫ ঘন্টা লেগেছে। আগুন লাগলে শুনি অত তলার উপর উঠার ক্রেন নাই, বড় ক্রেন সীমিত, চিকন গলিতে ঢুকার ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নাই।

লঞ্চ ডুবলে শুনি- হামজা/রুস্তম নিজেরাই অক্ষম...অথচ, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বিরোধী মত মারার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড, পিপার স্ফ্রে, বিশেষ ধরণের লাঠি, অগণিত টিয়ার শেল, রাবার বুলেট, মেটাল বুলেট, শর্টগান, আর্মড কার কোনটারইতো কমতি নেই। মাঝে মাঝে সম্পর্ক রক্ষার জন্য বন্ধু দেশ থেকে হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্রও কেনা হয়, যদিও সেসব কতটুকু প্রয়োজন ছিল বলে বিতর্কের শেষ থাকেনা, অথচ, জীবন বাচানোর অতীব জিনিসগুলি স্বাধীনতার ৪২ বছরেও কতটুকু জমা হয়েছে ভান্ডারে? জীবন ধ্বংস করার জন্য বাজেট বড়, নাকি জীবন বাঁচানোর বাজেট বড় হওয়া উচিত? জাতির বিবেকের কাছে আজ আমার প্রশ্ন -শতকোটি টাকার মিগ-২৯ জঙ্গীবিমান কেনার সামর্থ্যআছে -রাশিয়া থেকে ৮০০০ কোটি টাকার অস্ত্র কেনার সামর্থ্য আছ -হাজার কোটি টাকার টিয়ারশেল, বুলেট, পিপার স্প্রে কেনার সামর্থ্য আছে -ভারতকে ৩০০ কেজি ইলিশ মাছ গিফট দেবার সামর্থ্য আছে -ভারতীয় কোম্পানীকে দয়া দেখিয়ে বিনাশুল্কে বাণিজ্য করতে দেবার সামর্থ্য আছে -শতকোটি টাকা খরচ করে বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করার সামর্থ্য আছে অথচ, কয়েকলাখ টাকার কাটিং মেশিন কেনার সামর্থ্য নেই???!!!!! অন্যদিকে, দেখেছি শাহবাগে খাবার, ওয়াইফাই, মিডিয়া কভারেজ, সিকিউরিটি কিছুর অভাব হতে দেয় নাই শেখ হাসিনা। এমন কি মোবাইল টয়লেট পৌঁছে গেছে সেখানে, মাথা গোজার জন্য এমন কি তাবুও। কিন্তু সাভারে? সেখানে ওষুধ জোগাচ্ছে সাধারণ মানুষ, অক্সিজেন দিচ্ছে সাধারণ মানুষ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সাধারণ মানুষ, খাবার আর পানি নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সেখানে সাহায্য পৌঁছনো তো দূরে থাক, উল্টো গতকাল আসল খুনীর প্রকৃত পরিচয় গোপন করছে, আর এক পাচাটা উম্মাদকে বসিয়ে রেখেছে চেয়ারে যার তত্ত্ব হচ্ছে বিএনপি কর্মীরা স্তম্ভ ঠেলে ভবন ধ্বসিয়ে দিয়েছে।

সত্যি কি বিচিত্র এই দেশ.......  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.