আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুধু চেহারার নয় বরং মেয়েদের মানসিক ও শারীরিক সৌন্দর্যও একজন ভদ্র পুরুষের কাম্য।

আল্লাহর গজবের ভয় করছি !! বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয়ে ছেলে এবং মেয়েদের বিবেচনার যথেষ্ট ফারাক আছে। সুন্দরী মেয়েদের প্রতি ছেলেদের আকর্ষণ তীব্র। কিন্তু মেয়েদের বিবেচনায় বুদ্ধিমান ছেলেদের চাহিদাই এগিয়ে। সুন্দর ও বুদ্ধিমান হলে সবচাইতে ভালো। তবে সুন্দর না হলেও বুদ্ধিমান ছেলেদের বিষয়ে তীব্র আগ্রহ রয়েছে মেয়েদের।

ছেলেরা যেমন সুন্দরী মেয়েদের বিষয়ে তীব্র আগ্রহী, মেয়েরা তেমনই বুদ্ধিমান ছেলেদের বিষয়ে আগ্রহী। ছেলেরা এখনও ফর্সা মেয়ের প্রতিই তীব্র আগ্রহী। অন্যদিকে মেয়েরা ফর্সার চাইতে শ্যামলা রঙের ছেলেদের ব্যাপারে আগ্রহী। উচ্চতার ক্ষেত্রেও ছেলেরা একমুখী। তারা চায় তার স্ত্রী লম্বায় তার চাইতে খাটো হোক।

সমবয়সীকে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের কিছুটা আগ্রহ থাকলেও ছেলেরা মোটেই আগ্রহী নন। তারা বয়সে কম এবং ৩ থেকে ৭ বছর বয়সের ব্যবধান রাখতেই আগ্রহী। ঔপনিবেশ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা তাড়িত পুরুষতান্ত্রিক ভাবনা থেকে নতুন প্রজন্মের ছেলেরা খুব একটা বেরিয়ে এসেছে এ কথা বলা যায় না। বরং মেয়েদের ভাবনার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বাহ্যিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি বাস্তববাদী, বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী।

নিজের পছন্দে বিয়ে করতে অধিকতর আগ্রহী ছেলেমেয়ে উভয়েই। পরিবারের পছন্দকেও গুরুত্ব দিতে চান মেয়েরা। প্রেমিককে বর হিসেবেও পেতে চান তারা। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে অনাগ্রহী মেয়েরা। যারা এটাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের বড় অংশ মনে করেন বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক হলেও সেটা একমাত্র প্রেমিকের সঙ্গেই হতে পারে।

এক্ষেত্রে ছেলেদের অবস্থান ভিন্নতর। তারা বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে যথেষ্ট আগ্রহী। সেক্ষেত্রে তারা প্রেমিকার বাইরে একাধিক জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে যথেষ্ট উৎসাহী। এই বহুগামিতার আকাক্সক্ষা এবং প্রেম করেও তাকে বিয়ে করতে না চাওয়ার যে প্রবণতা সেটা পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সমাজ দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। সুতরাং শিক্ষায়, যোগ্যতায় বাড়লেও পুরুষ যে সেই পুরনো কর্তৃত্ববাদী ভূমিকা থেকে সরে এসেছে এই ভাবনা ভাবার সময় এখনও আসেনি।

বরং এক্ষেত্রে মেয়েদের ভাবনার অগ্রগামিতা চোখে পড়ার মতো। পুরুষ ও নারীর শারীরিক গঠনের দিকে তাকালে উপরের পরিচ্ছেদের ধারণার সপক্ষে সূত্র পরিষ্কার হয়ে পড়ে। মেয়েদের শরীরে সন্তান-ধারণ করার উপযোগী যান্ত্রিক কৌশল বিদ্যমান। শুধু তাই নয়, ভূমিষ্ঠ হলে শিশুর মুখে তুলে দেয়ার দুধও তার বুকে। ব্যাপারটা এমনও হতে পারত যে পুরুষের একটা স্তন আর মেয়ের একটা।

আবার ছেলেদেরও জরায়ু থাকতে পারত; হয়ত দশ মাস পাঁচ পাঁচ করে ভাগাভাগি হত। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ছেলেটার কোন জরায়ু স্তন কিছুই নেই। তার আছে দৃঢ় শরীর; শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে সন্তানের খোরাক জোগান তাকেই মানায় কারণ সূর্যের তাপে গতর খাটানো মেয়েদের জন্য যদি সম্ভবও হয়, তা তাদের জন্য অমানবিকভাবে কঠিন (মেয়েরা তাদের শারীরিক সৌন্দর্যের ব্যাপারে পুরুষদের তুলনায় অনেকগুন বেশি সংবেদনশীল; আর এটি আজ যেমন সত্য, গত আর আগামীকালেও সত্য। এটি বাংলাদেশে যেমন সত্য, ইউরোপে আর আমেরিকাতেও তেমনি সত্য। আর গতর খাটানো কাজ করলে মেয়েদের শারীরিক সৌন্দর্য টেকে না)।

মেয়েদের শারীরিক সৌন্দর্য অবশ্যই সব পুরুষের কাম্য, কেননা যে যত যাই বলুক, ৩০ এর পর মেয়েদের আসলে ন্যাচারাল সৌন্দর্য কমতে থাকে, কমবেই। আমার এক ঘনিষ্ঠ সাহিত্যিক বন্ধুর আবার এ ব্যাপারে সরাসরি কথা-"যে যত বড় পাহাড়ের অধিকারিণীই হউক না কেন,একসময় সেই প্রাকৃতিক পাহাড়ের ধ্বস নামবেই;কোন কসমেটিকই কোনরকম কাজে আসবে না!" এই তথাকথিত "প্রাকৃতিক পাহাড়"বলতে আসলে আমার তেমন কোন ধারণা ছিল না;এটা বলতেই উক্ত বন্ধু হুট করে কোথা থেকে যেন বের করে একটি ছবি আমার হাতে ধরিয়ে দিলো আর চড়া স্বরে ধমক দিয়ে বলল-"এই নে রামছাগল,ভালো করে দেখে নে প্রাকৃতিক পাহাড় কারে কয়!" বলাবাহুল্য,বন্ধুর ধমক খেয়ে প্রথম পর্যায়ে একটু ভড়কে গেলেও তার দেওয়া ছবিটা দেখে মনে মনে বলতে বাধ্য হলাম-"খাইছে আমারে!প্রাকৃতিক পাহাড় বুঝি এরেই কয়!!!" ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.