আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি ফ্লাইওভার আর ঘেউ ঘেউ-এর গল্প

জনদুর্ভোগ কাকে বলে তা দেখতে চাইলে যেতে হবে গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ি অথবা যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে গুলিস্তান। বুঝতে পারবেন কষ্ট কাকে বলে কত প্রকার কী কী? সুদে-আসলে বুঝে পাবেন ঢাকায় থাকার মজা। যারা আমাদের মতো নিয়মিত প্যাসেঞ্জার বাসের যাত্রী, তাদের দুর্ভোগ আর নিত্য বকাবকির ধকল আপনাকেও ছুয়ে যাবে!!! বর্তমান সরকারের নেয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি হলো এ ফ্লাইওভার প্রকল্পটি। এটি চলতি বছরের ১৬ই ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন এমন ঘোষণা ছিল সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু নির্মাণ কাজের শম্বুকগতি দেখে উদ্বোধনের তারিখ বদলাতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

নতুন তারিখ ২০১৩সালের ২৬শে মার্চ। সেটাও সম্ভব কিনা সে শংকা এখন মানুষের মনে। এতবড় প্রকল্প নিয়ে অব্যবস্থাপনা খুব বেশি দেখার সুযোগ হয়নি। দাবি করা হচ্ছে, প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন কাজেরও ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

তারপরও ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এই ফ্লাইওভার চালু করা নিয়ে প্রবল সংশয় রয়েছে। ১৫ই জুনের মধ্যে ওয়াসা, বিটিসিএল, তিতাস গ্যাস ও ডিপিডিসি থেকে ফ্লাইওভার এলাইনমেন্টের মধ্যে থাকা তাদের সব সেবা সংযোগ অপসারণ করতে বলা হয়। কিন্তু যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি কোন সংস্থায়। সময় বেশি নিলেও বর্তমান অধিকাংশ সেবা সংযোগ সরানো হলেও এখন দেখা যাচ্ছে, ঢাকা ওয়াসাকে যে সব লাইন অপসারণ করতে বলা হয়েছিল তার কোনটিই তারা অপসারণ করেননি। সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের ১৬০০ মিলিমিটার লাইন, স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইন, পয়ঃনিষ্কাশন লাইন সবটাই রেখে দিয়েছে।

সাতটি স্থানে ওয়াসার লাইন থাকায় র‌্যাম্প করা হচ্ছে না। এতে মেইন স্ট্রাকচার করা ও এলজি মেশিন নেয়া হচ্ছে না। র‌্যাম্প নির্মাণ করা না গেলে পূর্ণাঙ্গ ফ্লাইওভার নির্মিত হবে না। টিকাটুলি এলাকায় দখল বুঝে না পাওয়ায় সেখানেও কাজ শুরু করা যায়নি। তাই যথাসময়ে দুর্ভোগের অবসানের সম্ভাবনা সুদূর পরাহত!! তাছাড়া, ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়, তাতে মনে হয়েছিল দ্রুত কাজ শেষ করতেই একসাথে সবখানে কাজ শুরু হচ্ছে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিভিন্ন এলাকার মানুষকে দেখানো হলো সরকার ফ্লাইওভারের কাজ শুরু করেছে। আর দুর্ভোগের সূচনা এখানেই। যত্রতত্র খোড়াখুড়ি, টিনের বেড়া আর ব্যারিকেড, নির্মাণ ও খনন যন্ত্রের উপস্থিতি এ এলাকার মানুষকে দুর্ভোগের বারোভাজায় ফেলেছে। এখন অনেক জায়গায় ব্যারিকেড সরানো হলেও সড়কের বেহাল দশায় চলাচল করা দায়। আমরা যারা এ পথ ব্যবহার করি, প্রতিদিনই মানুষকে গালাগালি করতে শুনি।

যদি সরকারের কান থাকতো তাহলে তা ফেটে যেতো অথবা দ্রুত কাজ শেষ করে নিষ্কৃতি পেতে চাইতো। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তাই দুর্ভোগ সীমাহীন। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের বক্তব্য হলো, ভিক্ষা চাইনা কুত্তা সামলাও!!! Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.