আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বাঁচার আকুতি

আলো অন্ধকারে যাই... সাভারে ভবন ধসের ২৪ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বহু মানুষ, উদ্ধারকর্মীদের কাছে যারা ক্ষীণ কণ্ঠে জানাচ্ছেন উদ্ধারের আকুতি। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। কিন্তু পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চলে ধীরগতিতে। আটকে পড়া অনেকের কাছে পৌঁছতে পারলেও তাদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে কণ্ঠ শুনতে পেরে হামাগুড়ি দিয়ে কাছাকাছি যান উদ্ধারকর্মী হারুনুর রশীদ।

তিনি জানান, ভেতরে একটি বিমের নিচে কোমর পর্যন্ত চাপা পড়ে আছে সুরুজ নামের একজন। ক্ষীণ কণ্ঠে তিনি জানাচ্ছেন। হারুনুর রশীদ জানান, পাশেই ধসে পড়া ছাদের নিচে চাপা পড়া আলতাফের দেহেও প্রাণ আছে। তাদের পেছনেও আরো কয়েকজনের কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতার দ্বিতীয় দিনে ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেকের নিথর দেহের অংশবিশেষ বেরিয়ে আসছে।

কংক্রিটের বড় টুকরো সরিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করতেও গলদঘর্ম হতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। বুধবার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা অনেকেই জানান, অনেকে চাপা না পড়লেও ভবনের পিলারের আশপাশে আছে। তারা বাঁচার জন্য আহাজারি করছে। ভবনের ষষ্ঠতলায় ঈথার টেক্সটাইল লিমিটেডে কাজ করছিলাম সেলিম। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, “আমি ছয়তলায় কাজ করছিলাম। আমার ফ্লোরে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন আটকা পড়েছে। অন্য ফ্লোরেও লোক ছিল। ” ভেঙে পড়া ভবন থেকে বেরিয়ে আসা এক গার্মেন্ট কর্মী জানান, ভবনের সপ্তম তলায় নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড কাজ করছিলেন তিনি। তাদের কারখানায়ই সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজ করছিলেন।

দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার ফাটল ধরার পর বুধবার সকালে ধসে পড়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নয় তলা ‘রানা প্লাজা’, যার বিভিন্ন তলায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন ঘটনার সময়। সুত্র: Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।