আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেসিপিঃ বিফ ককটেল (ব্যাটারী স্টাইল, শুক্রবারের রান্না)

সাহাদাত উদরাজী www.udrajirannaghor.wordpress.com [রেসিপি ভাল না লাগলে প্রবেশ করবেন না, যারা রেসিপি পছন্দ করেন তারাই ওয়েলকাম] শুত্রবার বাংলাদেশের জাতীয় সপ্তাহিক ছুটির দিন। এই দিনে পরিবারের সবাই বাসায় থাকেন এবং দুপুরের খাবার সাধারণত সবাই মিলে খেয়ে থাকেন। এই দিনে প্রায় প্রতিটা পরিবারে ভাল রান্না হয় বা চেষ্টা করা হয়। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে শুক্রবার মানে ভাল খাবারের দিন, শিশুরা এই দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সবাই মিলে নানান খোশ গল্প করে খাবার খায় এবং কিছুটা রেষ্ট নিয়ে বিকালের দিকে ঘুরতে বের হয়।

হাতে তেমন সময় নেই। চলুন এই শুক্রবারের জন্য একটা রান্না দেখিয়ে দেই। সাধারন পোলাও এর সাথে এই রান্নাটা বিশেষ ভাল লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই রান্নাটা আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি এবং রেসিপির রান্নাটা আপনাদের জন্য বিশেষভাবে করা হয়েছে। এটি আমার ব্যাটারীর রান্না, যাকে আমি বলি ব্যাটারী স্টাইল, আর তিনি নিজেই এটার নাম দিয়েছেন “বিফ ককটেল”।

আশা করি আপনারা একবার বানিয়ে দেখতে পারেন। রান্নার রং দেখেই খেতে মন চাইবে। আর বিফ তো অনেকেরই প্রিয় খাবার! চলুন দেখে ফেলি, আর অপেক্ষা নয়। উপকরনঃ - গরুর গোসতঃ ৭৫০ গ্রাম (হাড় ছাড়া, পাতলা স্লাইস করে কাটা) - রসুন বাটাঃ ২ টেবিল চামচ - আদা বাটাঃ দেড় টেবিল চামচ - ভিনেগারঃ ১ চা চামচ - সয়াসসঃ ১ চা চামচ - টমেটো সসঃ ৩ টেবিল চামচ - ওয়েষ্টার সসঃ ১ টেবিল চামচ - লাল মরিচের গুড়াঃ ১ চা চামচ (ঝাল বুঝে) - চিনিঃ হাফ চামচ - লবনঃ পরিমান মত - তেলঃ এক কাপের কম - পানি (পরিমান মত) * লক্ষনীয় যে, পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয় নাই। যারা পেঁয়াজ খান না তাদের জন্য বেশী ফিট হবে।

প্রনালীঃ বিফ বা গুরুর গোসতকে পাতলা স্লাইস করে কেটে পরিস্কার করে রাখুন। পানি/তেল ছাড়া সব মশলাপাতি দিয়ে মাংশের সাথে মাখিয়ে রাখার জন্য তৈরী হউন। সামান্য লবন দিতে ভুলবেন না (সসে লবন থাকে তাই বুঝে, প্রথমে খুব অল্প, সঠিক পরে করা যাবে)। ভাল করে মাখিয়ে এক/দেড় ঘন্টা রেখে দিন। মারিনেট।

এবার কড়াইতে তেল নিয়ে গরম করুন এবং মিশিয়ে রাখা মাংস ঢেলে দিন। ভাল করে ভেঁজে নিন। দুই কাপ পানি দিন (যে পাত্রে মাংস রেখেছিলেন সেটা ধুয়েও দিতে পারেন)। এবার ঢাকনা দিয়ে মাধ্যম আঁচে যতক্ষন না গোসত নরম হয় ততক্ষন জ্বাল দিন। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিন।

পানি লাগলে আরো দিতে পারেন। এবং এক পর্যায়ে রান্নাটা ঝোল শুকিয়ে এমন হয়ে যাবে। ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন। না লাগলে ওকে বলুন। পোলাউএর সাথে খুবই চমৎকার ভাল লাগবে।

ছেলে মেয়ে বুড়ো বুড়ি সবাই আশা করি এই রান্না খেয়ে তারিফ করবেই। আরো ডিটেইলস দেখতে আমাদের সাইটে ক্লিক করতে পারেন, গল্প ও রান্না সবাইকে শুভেচ্ছা। সপ্তাহের এই একটা দিনে পরিবারের সবাই মিলে আনন্দে থাকুন। কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.