আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও গণতন্ত্র

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হয়েছে। এখানে কমিটি গঠনের ক্ষমতা যাদের দেওয়া হয়েছে তারা কেউই নির্বাচিত নন। প্রধান বিচারপতি ও এটর্নী জেনারেল ( পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের সভাপতি ) কে প্রদত্ত সদস্য মনোনয়নের দায়িত্ব প্রত্যাহার করে সুপ্রীম কোর্ট ও বার কাউন্সিলের উপর দায়িত্ব দেবার আহ্বান জানাই। সুপ্রীম কোর্টের ‘ফুল কোর্ট’ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তারা প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন । এই ক্ষমতা সব সময় সুপ্রীম কোর্ট সর্ব সম্মতিক্রমে প্রয়োগ করবেন।

কোন ব্যক্তি বা কমিটির উপর অর্পন করবেন না। একই ভাবে বার কাউন্সিলও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এটাই হবে গণতান্ত্রিক। গত মে মাসে বার কাউন্সিলের সনদ নিয়ে যে পরীক্ষা হয় তাতে অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজগনের অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আমরা অনির্বাচিতদের হাতে এই দায়িত্ব না দেওয়াটাই ভালো মনে করি ।

অগণতান্ত্রিক পথ জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। জনগণ ক্ষুব্ধ হলে অগণতান্ত্রিক সব কিছুই তচনচ হয়ে যায়। আমরা বার কাউন্সিলে গণতান্ত্রিক সুস্থ ধারা প্রবর্তন করতে চাই। তাই প্রস্তাবিত আইন পূনর্বিবেচনার আহ্বান জানাই। সবাই এগিয়ে আসুন।

লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.