আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশী মুসা ইব্রাহিম আদালতে!!!

বিশ্বের সর্বোচ্চ পাবর্ত্য শৃঙ্গ এভারেস্ট-এ প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে পা রেখেছেন মুসা ইব্রাহিম। ২০১০ সালের ২৩শে মে তিনি এভারেস্ট চূড়ায় ওঠেন। আর ২০১১সালের ২১শে মে এমএ মুহিত এভারেস্ট জয় করেন। এরপর ২০১২সালের ১৯শে মে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন নিশাত মজুমদার। তার পরের মাসেই সে কৃতিত্ব অর্জন করেন আরেক বাংলাদেশি নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন।

এটা সবার জানা, কিন্তু প্রথম এভারেস্ট জয়ী কে- তা নিয়ে মুসা ইব্রাহিম আদালতে কেন? লিংক : Click This Link খবরে প্রকাশ : একটি প্রবন্ধে প্রথম এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশি হিসেবে এম এ মুহিতের নাম থাকায় ওই সঙ্কলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন আরেক এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহীম। সোমবার সকালে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজীর আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আরজিতে বলা হয়, ‘সকাল বেলার পাখি’ নামে একটি প্রবন্ধ সঙ্কলন প্রকাশ করেছে চন্দ্রাবতী একাডেমী, যাতে ইনাম আল হকের লেখা ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ হিমালয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন এম এ মুহিত। ” বাজারে ওই সঙ্কলনের যতো কপি আছে তা বাজেয়াপ্ত করার আবেদন করেছেন মুসা ইব্রাহিম। পাশাপাশি ‘প্রবন্ধটি’ সংশোধনের জন্য আগ পর্যন্ত সঙ্কলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়েছেন।

বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রাকিং ক্লাবের (বিএমটিএ) সভাপতি ইনাম আল হক, ‘সকাল বেলার পাখি’ সঙ্কলনের প্রধান সম্পাদক সুবল কুমার বণিক, উপদেষ্টা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সম্পাদক রহীম শাহ, অতিথি সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাস, সম্পাদনা সহকারী আরিফ নজরুল ও প্রকাশক কামরুজ্জামান কাজলকে বিবাদী করা হয়েছে এ মামলায়। ইনাম আল হক রচিত ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ হিমালয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, “বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রাকিং ক্লাব (বিএমটিসি) গড়ে আমরা হিমালয়ে অভিযানের পরিকল্পনা করেছিলাম ২০০৩ সালে। সেখানে মুসা, মুহিত, মিলন, ইমরান, বাবু, এনাম, সাগর, সজল, সম্পা ও আরও অনেকে ছিলেন। ’ কিন্তু ওই প্রবন্ধের কোথাও মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের কথা উল্লেখ নেই। এম এ মুহিতের ছবিসহ ক্যাপশানে উল্লেখ করা হয়েছে, মুহিতই প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী।

জামাই বাবুর অভিমত : মুসা ইব্রাহিম প্রথম এভারেস্ট জয় করেছে এটা জানি, কিন্তু ইনাম আল হক মনে হয় বিষয়টি জানেন না তাই তিনি তার প্রবন্ধে মুসা ইব্রাহিমের বদলে মুহিতের নাম বসিয়েছেন। আবার মুসা ইব্রাহিম হয়তো কোন কারণে ইনাম সাহেবের সাথে বেয়াদবি (!) করেছেন, আর বেয়াদবকে (!) তো আর এত বড় স্বীকৃতি দেয়া যায় না। তিনি হয়তো মুসা ইব্রাহিমকে নিয়ে মাতামাতি পছন্দ করেননি। এত এত বড় মিডিয়া কাভারেজ, আলোচনার ঝড়, অনুষ্ঠান-উৎসব- এসব হয়তো বাড়াবাড়ি হয়েছে। তাই ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে মুসা ইব্রাহিমকে আড়াল করা প্রয়োজন মনে করেছেন!! যাই হোক, ইনাম আল হককে আমরা সজ্জন-প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে জানি!! কেন মুসা ইব্রাহিমকে বাদ দিয়ে মুহিতকে প্রথম এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশী বলেছেন, সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন. বলবেন কী না জানি না, তবে দ্রুত তার বক্তব্য দেখতে চাই, জামাই হিসেবে এটুকু দাবি করতেই পারি।

যাই হোক, বেশি কথা বললে আদর শেষ হয়ে যেতে পারে, আর ঘর জামাই হিসেবে শশুরপক্ষের লোকজনের বিপক্ষে কিছু বলতে নেই. তার আর কিছু না বলে এখানেই শেষ করছি!!! আবারও বলছি, জামাই মানুষ- ভুল হলে মাফ করে দেবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.