আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু ভিন্নধর্মী উত্তেজনাময় কাজ। যারা নতুন ক্যারিয়ারের খোঁজ করছেন কিংবা গতানুগুতিক কাজ থেকে যারা মুক্তি পেতে চান।

আমি একাই পৃথিবী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম http://www.facebook.com/kalponikvalo যারা গতানুগতিক কাজের বাইরে ভিন্নধর্মী কিছু কাজের সন্ধান করছেন, তাদের জন্য আজকেই এই পোষ্ট। সম্প্রতি সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু কর্তৃপক্ষ একটি জরিপ চালিয়ে বিশ্বের কিছু ভিন্নধর্মী উত্তেজনাময় কাজ এর তালিকা তৈরি করেছেন। আপনাদের জ্ঞাতার্থে সে তালিকা এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সম্ভবনাময় নতুন কিছু পেশার কথা এখানে তুলে ধরেছি। ইয়াহু কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত তালিকার প্রথমেই আছে, অপরাধ রহস্য উদঘাটনকারী বা গোয়েন্দাদের কথা।

উত্তেজনার মাপকাঠিতে এর অবস্থান প্রথম। এবং রেটিং ১০/১০। যারা এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত হতে চান তাদেরকে criminal justice বা Criminal physiology নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে। উন্নত বিশ্বে এই বিষয় থেকে পাস করলে আপনি সরকারী কোন বাহিনীতে অপরাধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতে পারবেন কিংবা ব্যাক্তিগত ভাবেও কাজ করতে পারবেন। বাংলাদেশ পুলিশও মাঝে মাঝে বিভিন্ন অপরাধ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে থাকে।

কিন্তু আমাদের দেশে এই নিয়ে পড়ার সুযোগ না থাকায় তারা বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সাহায্যই বেশি নিয়ে থাকেন। আপনি যদি এই বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন তাহলে সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বিশেষ অনুমূতি সাপেক্ষে আপনি কাজ করতে পারবেন। দ্বিতীয় স্থানে আছে, ইভেন্ট বা মিডিয়া প্ল্যানিং। এর রেটিং ৯.৫/১০। উন্নত বিশ্ব এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই পেশাটি এখন বেশ জনপ্রিয়।

এটি স্বাধীন একটি পেশা। যারা ইভেন্ট বা মিডিয়া প্ল্যানিং এর সাথে জড়িত তারা মূলত কোন একটি ইভেন্ট তা ছোটই হোক আর বড়ই হোক,কিভাবে তা প্রথাগতভাবে সম্পন্ন করা যায় সেটার দায়িত্বে থাকেন। অনেক সময় অনুষ্ঠানের ধরনের উপর ভিত্তি করে কাজের গতিবিধি পরিবর্তন হয়। এখন বাংলাদেশে এখন প্রচুর ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট ফার্ম দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে যারা ইভেন্ট বা মিডিয়া প্ল্যানিং একটি জনপ্রিয় Exciting পেশাতে পরিনত হয়েছে।

এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট হবার জন্য আপনার সুনিদির্ষ্ট কোন বিষয়ের উপর পড়াশুনা করতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন, মার্কেটিং এবং ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করা থাকলে সহজে এই পেশাতে ভালো করা যায়। তৃতীয় স্থানে আছে মার্কেটিং স্পেশালিষ্টরা। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং পেশা। এর রেটিং ৯/১০।

একটা কোম্পানীর প্রোডাক্ট প্রমোশন, মার্কেটিং প্ল্যান, এ্যাড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন কাজ মার্কেটিং স্পেশালিষ্টদের উপর নির্ভর করে। একজন মার্কেটিং স্পেশালিষ্টকে গতাগুনতিক ধারনার পাশাপাশি নতুন ধারনা নিয়েও কাজ করতে হয়। সামাজিক, আঞ্চলিক, মানুষের আবেগ এবং অনেক সময় ধর্মীয় প্রেক্ষাপটকে কাজে লাগিয়ে তারা নতুন প্রডাক্ট প্রমোশনের কাজ করে থাকেন। এই পেশার সাথে নিজেকে জড়াতে হলে মার্কেটিং নিয়ে পড়াশুনা থাকতে হবে। যত বেশি পড়াশুনা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকবে তত বেশি ভালো করার সম্ভবনা থাকবে।

বাংলাদেশে এই পেশায় ভালো করার অনেক ভালো সুযোগ আছে। চতুর্থ স্থানে আছে, শেফ। এর রেটিং ৮/১০। রন্ধনশিল্প পৃথিবীব্যাপী একটি ভিন্নমাত্রার আকর্ষনীয় পেশা। অনেক দেশে শেফরা সেলিব্রেটির মর্যাদা পায়।

একজন রন্ধনশিল্পী, শুধু মাত্রা খাবার তৈরিই করেন না বরং খাবারের গুনগত মান, পরিবেশন এবং পুষ্টিজ্ঞান নিয়েও কাজ করেন। একজন আন্তর্জাতিক মানের রন্ধন শিল্পী হতে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত ব্যাবহারিক পড়াশুনা করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশে এই বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ আছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনে বেশ ভালো কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেখান প্রতি বছর কয়েকশ ছাত্রছাত্রী পাস করে এই পেশার সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের অনেক শেফ বিদেশে অনেক নাম করেছেন।

কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রচুর সম্ভবনাময় হওয়া স্বত্তেও, বাংলাদেশের সামাজিক প্রক্ষাপটে কাজের শ্রেনীবিভাগ থাকায়, উচ্চ আয়ের এই পেশাটি এখনও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে নি পঞ্চম স্থানে আছে, প্যারালিগাল বা উচ্চ পর্যায়ের আইনবিদের সহকারীর কাজ। এর রেটিং ৭.৫/১০। এদের প্রধান কাজ হলো উচ্চ পর্যায়ের আইজীবীদেরকে কেস রিলেটেড বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা। এদের কাজের প্রক্রিয়া অনেকটা গোয়েন্দাদের মতই। এরা কেসের প্রয়োজনে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন এবং প্রধান আইনজীবী বা ক্ষেত্র বিশেষে বিচারককেও সহযোগিতা করে থাকেন।

বাংলাদেশে এই ধরনের সুযোগ আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এই পেশাটি ইদানিং আমেরিকা এবং ব্রিটেনে বেশ ভালো চাহিদা সৃষ্টি করেছে। এই পেশার সাথে নিজেকে জড়াতে হলে আপনাকে আইন নিয়ে পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই। এরজন্য একটি প্যারালিগাল ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেটই যথেষ্ট। মনে রাখবেন, প্যারালিগাল ডিপ্লোমা দিয়ে আপনি আইন পেশা চর্চা করতে পারবেন না।

ষষ্ট স্থানে আছে ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ। রেটিং ৭/১০। একটি বহুল আলোচিত এবং প্রচলিত পেশা। বর্তমানে ইন্টানেট দৈন্দনিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন এর গ্রহনযোগ্যতা এবং কর্মপরিধি বেড়েই যাচ্ছে।

তাই যারা ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ করে থাকেন তাদের কাজের পরিধিও ব্যাপক। এক এক ধরনের ক্লায়েন্ট এর উপর ভিত্তি করে তাদেরকে ওয়েব সাইট ডিজাইনিং কাজ করতে হয়। নিজের তৈরি করা ওয়েবপেজ সবাই ব্যবহার করছে, অন্য রকম একটি অনুভিতির সৃষ্টি করে। বিদেশে এই পেশার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই পেশার সাথে নিজেকে জড়াতে হলে, কম্পিউটার প্রোগামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর উপর ডিগ্রী থাকতে হবে।

সপ্তম স্থানে আছে, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। রেটিং ৬.৫/১০। যদিও গতানুগতিক ভাবে একটি অফিস জবের মতই শোনায়, কিন্তু একজন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকে নানারকম প্রতিকূলতা, অনেক ক্ষেত্রে নাটকীয়তা এবং দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠানের কর্মদক্ষ ব্যক্তিদের আস্থা অর্জন এবং ধরে রাখার কাজ করতে হয়। প্রচুর মানুষ থেকে যোগ্য এবং প্রয়োজনীয় মানুষ খুঁজে বের করার কাজ একজন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকেই করতে হয়। এই পেশাতে কাজ করতে হলে আপনাকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়া শুনা করতে হবে।

আমাদের দেশসহ বিশ্বের নানা দেশে একজন দক্ষ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপকের অনেক চাহিদা আছে। অষ্টম স্থানে আছে, সামাজিক কাউন্সিলিং। যদিও এর রেটিং জানা যায় নি, তবে উন্নত বিশ্বে এটি একটি জনপ্রিয় পেশা। যদি আপনার নিজস্ব বিবেক বুদ্ধি থাকে এবং আপনি মনে করেন আপনার পরামর্শ অন্যদের কাজে আসে এবং কেউ উপকৃত হয়েছে তাহলে আপনি এই পেশার সাথে জড়াতে পারেন। কাউন্সিলিং এর উপর একটি ডিপ্লোমা নিয়েই আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারেন।

তবে, যারা সাইকোলজি নিয়ে পড়াশুনা করছেন, তারা এই বিষয়ে কাজ করলেই ভালো। মনে রাখবেন, এখানে কোন ওষূধের প্রয়োগ আপনি করতে পারবেন না। এটা শুধু মাত্র আপনার মুখের কথা দ্বারা, আপনার মানসিক সহমর্মিতা দ্বারা অন্য একজন সমস্যা গ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করা। তবে বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে এই পেশাটি সেভাবে প্রচলিত নয়। নবম স্থানে আছে, ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার।

এর রেটিং জানা যায় নি। তবে নিঃসন্দেহে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। যারা বন্য প্রানীর ছবি বা ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফী করতে চান, তাদের জন্য এই পেশা। প্রতি মূহুর্তে এই পেশাতে আছে এ্যাডভেঞ্চার এর হাতছানি এবং বিখ্যাত হবার সুযোগ। ফটোগ্রাফি না শিখে এই পেশাতে কাজ করা ঠিক নয়।

দশম স্থানে আছে, ল্যান্ড স্কেপ ডিজাইনিং । এরও রেটিং জানা যায় নি। যারা এই পেশাতে আসতে চান, তাদেরকে অবশ্যই সঠিক ট্রেনিং নিয়ে আসতে হবে। নিজের ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে এই পেশা। বাড়ির বাগান, কোন হাইরাইস বিল্ডিং এর ছাদ, রাস্তা ইত্যাদি সাজানোর কাজ করে থাকেন এই পেশার মানুষজন।

বাংলাদেশেও এর ভালো চাহিদা রয়েছে। প্রিয় পাঠক, আপনিও চাইলে বেছে নিতে পারেন এই কিছু ভিন্নধর্মী উত্তেজনাময় কাজ। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে প্রবেশ করতে পারেন নতুন কোন পেশাতে। ------------------------------------------------------------------------------------- ** তথ্যগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগ্রিহীত। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.