আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের মালালা, আমাদেরকে পথ দেখায় ..........।

সাহসী তরুণী মালালা। মিডিয়া তাকে সাহসী হিসেবেই প্রচার করছে। আসলেই, সে সত্যিই সাহসী ছিল। কিন্তু বয়স ছিল অপরিপক্ক। দুনিয়ার হালচাল এবং যুদ্ধে নীতি সম্পর্কে সে খুব পারদর্শী ছিল না।

সে ছিল সরল প্রাণ এক তরুণী। এই তরুণী তালেবানদের হামলা শিকার হয়েছেন। মিডিয়া এই তরুণীর জন্য কলিজ্বা ফাটানো কান্না কাঁদছে। কিন্তু আমি কাঁদছি না, আমি শুধু ব্যক্তি মালালার জন্য কষ্ট পাচ্ছি এবং হাজার হাজার শিশুদের জন্য চোখের অশ্রু ঝরায়। পাকিস্তানী তালেবানদের উপর একটু রাগও হচ্ছে, এই মেয়েটিকে কি গুলি করা খুবই দরকার ছিল? মালালা, মাত্র ৮-৯ বয়সেই খ্যাতিমান হয়ে উঠেছিল।

বিবিসি উর্দু তাকে লিখতে সুযোগ করে দিয়েছিল। মিলালার এই খ্যাতিই তার জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ালো। তালেবানরা তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন অভিযোগে। মালালা নাকি ওবামাকে তার আদর্শ মনে করে, সে চেয়েছিল পাকিস্তানী উপজাতি এলাকাগুলোতে বন্ধ স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হোক ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলোকে পাকিস্তানি তালেবানরা ভালো চোখে দেখে নি।

বিবিসি এবং অন্যরা যারা তাকে খ্যাতিমান হতে সহায়তা করছিল তারা নিশ্চই জানত এটা মালালার মত সাধারণ তরুণীর জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমরা সবাই জানি, যারা আমেরিকার পক্ষ নেই এবং তালেবানদের সিন্ধান্তের বিরোধিতা করে তাদেরকে তালেবানরা শত্রু হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু তারপরও কেন তারা মালালাকে রক্ষা করার জন্য কোন প্রস্তুতি নেই নি? এটাও কি তবে সাম্রাজ্যবাদীদের একটি কৌশল! কম বয়সী তরুণীদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মুসলিমদেরকে বর্বর জাতি হিসেবে পৃথিবীর অধিবাসীদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্যই কি তারা মালালাদের ব্যবহার করছে! তালেবানরা নাকি উপজাতি এলাকাগুলির স্কুলগুলি বন্ধ করে দিয়েছে! এইগুলি যদি সত্যিই হয় তবে আমরা কি তালেবানদের বর্বর বলবো নাকি দূরদর্শী সৈনিক হিসেবে বর্ণনা করবো? শিক্ষার দ্বার সবসময় উম্মুক্ত রাখা দরকার। কিন্তু কিছু পরিস্থিতি আসে যে সময় শিক্ষার থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা অগ্রাধিকার পায়। আমরা জানি, অনেক এলাকা যুদ্ধের আওতায় চলে এসেছে বিশেষ করে যেগুলিতে তালেবানদের প্রভাব বেশি।

স্বাভাবিকভাবেই ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের রক্ষা করা মানবাধিকারের উচ্চতম স্তর। সেসব এলাকাগুলিতে স্কুলগুলি বন্ধ করে দিয়ে সম্ভবত তালেবানরা দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে। নচেৎ, আমেরিকান সন্ত্রাসী কর্তৃক ড্রোন হামলায় শত শত শিশু নিহত হত তাহাতে কোন সন্দেহ নেই। যারা প্রমাণ আমরা পায় আফগানিস্তান, ইরাকে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক স্কুলগুলিকে আমেরিকান সন্ত্রাসীরা ব্যাঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করত।

ধারণা করা হয়, তালেবান কর্তৃক স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার এটিও একটি প্রধান কারণ। নিশ্চিত যে, মালালার মত ছোট একটি তরুণীকে আক্রমণ করে তালেবানরা অদূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে। তারা মেয়েটিকে বুঝাতে পারত (মহান আল্লাহই ভালো জানেন), মেয়েটির ফ্যামিলিকে বলতে পারত (মহান আল্লাহই ভালো জানেন)। এই সব তরুণীরা মনের অজান্তেই মিডিয়া কর্তৃক বিভ্রান্ত হয়। এই মেয়েটিও হয়ত মিডিয়া কর্তৃক বিভ্রান্ত হয়েছিল।

হতে পারে, মেয়েটির কচি মনে আমেরিকান সন্ত্রাসীরা খ্যাতির উচ্চাঙ্খাকার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। সব মিলিয়ে মেয়েটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে (হত্যার উদ্দেশ্য ছিল কিনা মহান আল্লাহ ভালো জানেন, মিডিয়াতে যেভাবে এসেছে তাতে মনে হয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্য থাকলে হয়ত মালালা বেঁচে থাকতো না, মহান আল্লাহই ভালো জানেন) আক্রমন না করে ভিন্ন পন্থা গ্রহণ করা যেত ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.