আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ষক আমরাই, ধর্ষিত আমরাই।।

কবঠ ধর্ষন শুনতে শুনতে অস্থির হয়ে উঠেছি। কেন এমন হচ্ছে। ধর্ষক আর ধর্ষিতা দুজনেই আমাদের পরম আত্নিয়। ধর্ষক যদি আমার ভাই, চাচা, মামা বা ভগ্নিপতি হন তো ধর্ষিতা আমার বোন, মেয়ে, খালা কিংবা মামী। এই যখন অবস্থা, এই অবস্থার জন্য দায়ী বিষয় গুলিকে চিহ্নিত করতে পাড়লেই ধর্ষন মুক্ত একটি পরিবেশ আমরাই র্নিমাণ করতে পারি।

সেটা কিভাবে সম্ভব। ডিজিটাল বিশ্বায়নের সুযোগে আমাদের অলক্ষ্যেই, আমাদের পরিবার গুলিকে ভেঙ্গে ফেলছে খুব ধীরে ধীরে। নৈতিক মুল্যবোধ গুলি হাড়িয়ে ফেলছি আমরা। পরিবার প্রথাগুলির মধ্যেই ঢুকে পড়ছে অনৈতিক কার্যকলাপ। মার প্রশ্রয়ে ছেলে তার বিবাহিত স্ত্রীকে দিয়ে করাচ্ছে দেহ ব্যাবসা।

মাও জরিয়ে পরছেন এইসব অনৈতিক কার্যকলাপে। তখন পরিবারটি আর পরিবার থাকে না, হয়ে উঠে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। র্ধামিক সাজতে গিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছি দেহব্যাবসার কেন্দ্রগুলি। কিন্ত যারা এই ব্যাবসার সাথে যুক্ত ছিল তারা কোথায় গেল, এই বিষয়টি নিয়ে ভাববার আবকাশ আমাদের থাকে না। তারা ঠিকই কোন না কোন উপায়ে আমাদের মাঝেই কোন এক কোনা কাঞ্চিতে জায়গা করে নিচ্ছো।

তাই অযথাই ধর্ষন ধর্ষন বলে না চেচিয়ে, আমরা প্রত্যেকে যদি নিজের নিজের পরিবারটিকে সামাজীক নুনতম মুল্যবোধগুলি দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারি তাহলেই এই ব্যাধীটা আমাদের সমাজজীবন থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পরিবারের ছোটরা বড়দের দেখে শিখবে এটাই নিয়ম। বাংলায় একটি প্রচলিত প্রবচন আছে " বড় লাঙ্গন যে দিকে যায় ছোট গুলিও সেদিকেই যায়"। তাই বড়দের ভুমিকাটি যে কতটা মূল্যবান তা আর বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। বড়দের উচিত ছোটরা কি করছে না করছে সেখানে তার খবরদারিটা জারি রাখা।

তাহলে শুধু ধর্ষন নয় সমাজের অন্যান্য ব্যাধীর প্রকোপও কমে যাবে। একমাত্র নৈতিক জীবন ব্যাবস্থাই সমাজীক সুস্থ্যতা নিশ্চিত করতে পারে। এই সমস্ত অপরাধের সাথে যুক্ত অপরাধীর বিচারে যাতে কোনরুপ শৈথিল্যর প্রকাশ না ঘটে সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে সবাইকে। আর নারীদের পোশাক পরিচ্ছদের ব্যাপরে নারীদের আরো সচেতন হতে হবে। নারী যদি পুরুষের ইচ্ছায় নিজেকে পন্য সাজতে চায় সেখানে নারীর সেচ্ছাচারীতার দায় তাকেই নিতে হবে।

আবার বিশিষ্ট মনো- বিজ্ঞানী ফ্রয়েড বলেছেন নারীর ইচ্ছার সহজ পরিনতি এই ধর্ষন। আমাদের ধর্মেই আছে পাচ বছরের কন্যার সাথে এক বিছানায় শোয়ার অধিকার পিতার নেই। মামা, চাচা বা খালুর সাথেও শোয়া উচিত নয়। কারন তারাও তো পুরুষ। অন্ধকারে সবই কালো।

সেখানে সর্ম্পকের কোন মুল্য নেই। মুক্তবুদ্ধির চর্চা মানে নৈতিক জীবনবোধ থেকে বেড়িয়ে যাওয়া নয়। ভাল জিনিস গুলির গ্রহন আর খারাপ জিনিস গুলি বর্জনি তো সভ্যতা। আর সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছে ধর্মের মাধ্যমেই। নারীর শারীরিক সৌন্দরয্য পুরুষের জন্য হলেও তা যে সার্বজনিন নয়, সেকথাটাও নারীকেই মনে রাখতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।