আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষের নেশায় পাপের ফোঁটা

আমার ভাবনাগুলোর চিত্ররূপ হলো আমার চলচ্চিত্র আর বর্ণরূপ হলো এই ব্লগ॥ যতোদিন আবজানো থাকে নিষেধের দুয়ার, ততোদিনই জীবন, আর জীবন জুড়ে থাকে কিছু অন্তত স্থিতি। আসক্তি কাছে এসে ছুঁতে চেয়েও অবশেষে ফিরে যায়। লাল রক্ত বিষে বিষে নীল হতে চেয়েও ব্যর্থ হয়। ধমনীতে সজাগ থাকে টগবগে শোণিত। আমাদের এইসব সংযম আমাদের ভালোবাসার এবং ভাবনার ক্ষমতাকে জিইয়ে রাখে।

চোখ জুড়ে শ্যামল সবুজ স্বপ্ন না দিক, সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অন্তত হতাশা উধাও করতে জানে। এতদিন যার প্রয়োজন শূন্যের কোঠায় ভেবে নেয়া যেতো অনায়াসে, একবার তার বিবৃদ্ধিই আমাদের পতন ত্বরান্বিত করে। যে যুবক মিছিলে না গিয়ে প্রেমিকার হাত কিংবা মায়ের আঁচল ধরে বসে থাকতে ভালোবাসে, তার কিন্তু দেশ উদ্ধারের দায়িত্ব সীমিত কিংবা নেই-ই বলা চলে। তাকে ছাড়াই নিয়মিত মিছিল আসে মধুর ক্যান্টিন হতে লেকচার থিয়েটার হয়ে কলাভবনের সামনে; কখনও কখনও প্রেসক্লাব অথবা সচিবালয়ের দিকে। শ্লোগানে কাঁপিয়ে তোলে আকাশ এবং মাটি।

সে যুবক যে উদাসীন, সমাজের প্রতি- তার কিছু যায়, না আসে? অথচ কোনোদিন নিজের ওপর প্রবল অভিমানে সে-ই হয় আত্নঘাতী, তাকেই দেখা যায় মিছিলে সম্মুখভাগে। একে একে হাত বাড়িয়েছে হয়তো কেউ নানান দিকে ফিরিয়ে দিয়েছে তাকে পছন্দের সমস্ত নারী। অনেকেরই কিছুমাত্র পরিবর্তন আসে না তাতে, আবার অনেকেরই তো আসে। ভোগের নেশায় যদি একবার উন্মত্ত হয় মানুষ, সে পশু হতে পারে; হতে পারে নিষ্ঠুর পিশাচ, শকুন। একবার থেকে শত শত বার এভাবেই বেড়ে যেতে থাকে আসক্তি, বেড়ে যেতে থাকে পাপ।

মানুষ তার নিজের জীবনের নিজেই সৃষ্টি এবং ধ্বংস কর্তা। প্রয়োজন ভাবলেই প্রয়োজন সবকিছুর, অভ্যস্ত হয়ে গেলেই মাত্রা বেড়ে যায় সব কু-অভ্যাসের। ছোট থেকে যাত্রা হয় বড়'র দিকে শুরু। বিড়ির আগুন ধরার হাতে, যেমন উঠতে পারে সংসার পোড়ানোর পেট্রোল। নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধই থাকুক, আবজানোই থাকুক নিষেধের দুয়ার।

কেননা, কোনোদিন ভেঙে গেলে হুট করে কখনও সেই নিষেধের তালা, পরিণাম ভালো নয়, ভালো হতে পারে না কারোরই বেলায়। ঘর থেকে বেরিয়ে এলে বাইরেই কেটে যায় সমস্ত বেলা। গন্ধমের কোনো খাদ্যগুণ নেই- বিষের নেশায় কেবল পাপের ফোঁটা॥ - মেহ্‌দী খান জেহাদ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।