আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনবে না ডিজনি ওয়াল্ট

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তর বিনোদন প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাভারের ট্র্যাজেডির পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা নামীদামি অন্যান্য কোম্পানিও ডিজনির পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডিজনি কর্তৃপক্ষের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিজনির ব্যবসায়িক অংশীদারেরা যেসব দেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনে, সেই তালিকা থেকে গত মার্চে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহার করা হয়।
ডিজনির ঠিকাদারেরা মাত্র ১ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন কারখানা থেকে উত্পাদন করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির স্যানফোর্ড স্কুল অব পাবলিক পলিসির সহযোগী অধ্যাপক কোরি ক্রাপ বলেছেন, ‘বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এখন বিকল্প রাস্তাটি হলো বাংলাদেশ থেকে স্রেফ ব্যবসায় গুটিয়ে নেওয়া। ভিয়েতনাম কিংবা কম্বোডিয়ায় চলে যাওয়া। তাই যদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ একটি শিক্ষা লাভ করবে। ’
তবে সাংসদ ও প্রভাবশালী পোশাক কারখানার মালিক মোহাম্মদ ফজলুল আজিম বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোকে এ দেশ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এ দেশে বহু কারখানা রয়েছে, যেগুলোতে নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করা হয়। ’
বৃহস্পতিবার পশ্চিমা বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, তারা এ দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে না।

বরং বিভিন্ন কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কিছু কোম্পানি আবার বিভিন্ন কারখানার নিরাপত্তার পরিদর্শনে কড়াকড়ি আরোপ ও অনিরাপদ কারখানা ভবন সংস্কারে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
এদিকে ওয়াল-মার্ট স্টোর ইনশিউরেন্স (ডব্লিউএমটি) ও জেসি পেনি কোম্পানি (জেসিপি) গত সোমবার ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প-সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের প্রতিনিধি পাঠায়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। জার্মানির করপোরেশন সার্ভিস (জিআইজেড) এই আলোচনার আয়োজন করে।

বৈঠকে পোশাক কারখানার নিরাপত্তার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কানাডার লোবলোস কস (এল) জো ফ্রেশ এবং লন্ডনভিত্তিক প্রাইমার্ক ব্র্যান্ড সাভারে ধসে পড়া পোশাক কারখানায় তাদের পণ্য উত্পাদন করছিল। ব্র্যান্ড দুটি বাংলাদেশে কারখানার নিরাপত্তা কর্মপরিবেশ উন্নয়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। পাশাপাশি ভবনধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পরিবারকে তারা ক্ষতিপূরণ দেবে।
ওয়াল-মার্টের মুখপাত্র মেগান মুরফি বলেছেন, কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশের সরকার, শিল্পগোষ্ঠী ও পরিবেশকদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।


এদিকে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইইউ। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন ও ট্রেড কমিশনার কারেল দা গুছ গত বুধবার এক যৌথ বিবৃতি এ হুঁশিয়ারি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল সাভার ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা ও ভবনটি নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি এখন সারা বিশ্বে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এতে আরও বলা হয়, ইইউ বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শ্রম অবস্থা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। —নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান ও টরন্টো স্টার।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.