আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিল্প

শিল্পে পেলাম আমি হিমশীতে চাদর মোড়ানো উষ্ণতা। হৃদয়ের অব্যাখ্যায় সরলিকরণ, ছোট ছোট খাঁজ খুজে বের করা। মৌনতায় মগ্ন আর ভাবনার কোলাহল। এ চত্বরের চা কফিতেও আলাদা স্বাদ আছে। আকাশ পানে তাকানোটা খানিক বসে পা খুটার মতই মনে হত আগে।

কিন্তু এ শিল্প, আকাশে হাজারো রঙ লাগালো, এখন মেঘগুলোকে তোমার খোপা বাঁধা চুলের মত মনে হয়। পঞ্চমী চাঁদের বাঁকা ঢেউ আমায় ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখে। আদতে কোথাও টান লাগলে স্মিত হাঁসে সে, একি হিংসে? কল্পনা রাজ্যে অন্যের প্রবেশ বারণ করল শেষে। ক’টা জানালা আর পাহারা দেবে সে? ওকে ভয় না পেয়ে সময় পেলেই চলে আসবে। শিল্প আমায় বর্ণমালা শেখালো শূন্যলোকে ভাসার।

কিন্তু আমায় নিভৃতচারী বানালো কেন? চুপি চুপি ফোঁফাতেও বা শেখালো কেন? হয়তো ভাবনায় সুখ সেতু নির্মিত হবে। জগদ্দল পাথরে টুং টাং বেজে উঠবে। গোধুলী বেলার বিষণ্নতায় রিনরিন বাজিয়ে গেল সে। দাঁড়কাকের ডানার ঝাপটাতেও তো সুরের দ্যোতনা আসে! মৃদু বাতাসে টলমল পানি নিছক ছেলে খেলা মনে হত আগে। আর এ শিল্প? হঠাৎ সব বদলে দিল।

সেখানে এখন হৃদয়ের বৈকুণ্ঠ বাজে। নিযুত কোটি বছর পানির সাথে বেঁকে যায় ক্ষণিকের তরে। দমকা হাওয়ায় তুচ্ছ বালি উড়ে তো চলেই যাবে! ডুবিয়ে ডুবিয়ে ঝিনুক উঠানো ছেলে বেলার প্রতিযোগিতা বৈ কি! কিন্তু এ শিল্প? হঠাৎ সব বদলে দিল। বালির প্রস্থান তন্ময় স্মৃতি গাঁথে। ভাঙা গড়ার অপূর্ব এক মেলা! ঝিনুকের উঠে আসার আনন্দ দেখতে চায় বালক।

শিল্প আমায় ছেঁচে ছুলে দিল, ভাবনায় ঊষার আলো জ্বালালো। লণ্ডভণ্ড করল পুরাণের স্তুপ। যন্ত্রনার গিরিপথ থেকে আমায় উদ্ধার করল। আধো আলো ছায়ায় পষ্ট হল তার উপস্থিতি। বিজলির চমক ঝড়ের ফোঁটাগুলোর স্থান জানান দেয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।