আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসএম হলে রাতভর অস্ত্রের মহড়া

সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রুম দখলকে কেন্দ্র করে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে অস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় হলে রাতভর চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা থেকে শুরু হয়ে দু'ঘন্টা ব্যাপি এ মহড়া চলে। খবর পেয়ে হল প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, ছাত্রলীগ ঢাবি ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং শাহবাগ থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ঘটনায় দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা হলেন, ইমরান (ইতিহাস বিভাগ, ২য় বর্ষ), মিশকাত (আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগ, ২য় বর্ষ), শামিম (পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডি বিভাগ, মাস্টাস) এবং মাহাবুব (বাংলা দ্বিতীয় বর্ষ)। এসময় উভয় গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা রামদা, চাপাতি, রড, খেলার স্টাম্প নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে। তবে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটার আগেই শাহবাগ থানায় অন্তত ৫০ জন পুলিশ হলে প্রবেশ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র্রনে আসে।

হল সূত্রে জানা যায়, ১২ নম্বর রুম দখলকে কেন্দ্র করে হল শাখা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক খান সুন আহমেদ সৌরভ ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের গ্রুপের সাথে হল শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, প্রচার সম্পাদক মুরাদ এবং সরিফুল ইসলাম সাগর গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। এ রুমে প্রথম বর্ষের কিছু ছাত্রলীগ কর্মীকে মেহেদী, মুরাদ ও সাগর উঠাতে গেলে অপর গ্রুপের কর্মীদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে। পরে হলে তারা সশস্ত্র অবস্থান নেয়। এভাবে দু'ঘন্টা চলার পর প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

এ ঘটনায় রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, শাহবাগ থানা ওসি সিরাজুল ইসলাম, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ওমর শরীফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান তারেক হল অফিসে বৈঠক করেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের হল কমিটি না হওয়ার হলে চেইন অপ কমান্ড নেই। তাই সপ্তাহের প্রতিদিনই হলে ছোট বড় সংঘর্ষ বাঁধে। বিশেষ করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে দলে নেয়ার প্রতিযোগীতা করতে গিয়েও মাঝে মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। সর্বশেষ ৯ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলে এ দু'গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে ৩জন গুরুহর আহত হন। বৈঠকে হল কমিটি না হওয়ার কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান তারেক আপাতত দু'গ্রপ থেকে দুই বা তিনজনকে নেতা বানিয়ে হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রস্তাব দেন। এসময় ঢাবি নেতৃবৃন্দ এ প্রস্তাবে কোন সাড়া দেননি। তবে রাতেই শাহবাগ থানা পুলিশ হলে রেড দেওয়ার কথা থাকলেও পরে রেড দেওয়া হয়নি। জানা যায়, বৈঠক শেষ হওয়ার পরও রাতভর উভয় গ্রুপে সশস্ত্র অবস্থায় হল পাহারা দেয়।

বৈঠক শেষে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের মূল কারন জেনে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, পরবর্তীতে যেন এরকম ঘটনা আর না ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তায় তিনি সে ব্যবস্থা নেবেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.