আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভটিজিং এর কে দায়ী?

আহমাদ ইউসুফ আজকাল ইভটিজিং নিয়ে বেশ তোড়জোড় চলছে। ইভটিজিং বর্তমানে একটি চলমান ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে। অনেকে মনে করেন ইভটিজিং এর জন্য নারীর পোষাক কোন গুরুত্ব বহন করেনা। এটা যে অমূলক ও বিভ্রান্তিকর তা বলাই বাহুল্য। ইভটিজিং এর জন্য নারীর পোষাকই একমাত্র কারন সেকথা আমিও বলতে চাইনা।

তবে অশালীন পোষাক ইন্ধন যোগায় একথা সর্বৈব সত্য। আর শালীনতা বোধ সব সময়ে সব সমাজের জন্যই মঙ্গলজনক। পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান ইসলামে রয়েছে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা ফরজ করা হয়েছে। নারীরা তাদের আপাদমস্তককে লম্বা ও ঢিলেঢালা পোষাক দিয়ে ঢেকে রাখবে আর পুরুষরা তাদের নজরকে সংযত করবে।

কেউ যদি তা অস্বীকার করতে চায় বা কোন বিকল্প চিন্তা করে সে দায় তার ব্যক্তিগত। বাস্তব ক্ষেত্রে হয়তো দেখা গেল ইভটিজিং এর শিকার মেয়েটির পোষাকের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ কোন ভুমিকাই নেই। তারপরও সে ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে। এটা একটা পরোক্ষ কারন। মডেলিং ও ফ্যাশন জগতের কিংবা শহুরে আধুনিক সমাজের ছেলেমেয়েদের একত্রে খোলামেলা চলাফেরা ও মেলামেশা একজন ইভটিজার কে প্রভাবিত করতে পারে।

সেও চাইতে পারে পছন্দের মেয়েটির সাথে অন্তরঙ্গ হতে। আর মেয়েটি যখন ছেলেটির প্রস্তাবে সম্মতি দিবে না, ছেলেটি জোর করতে চাইবে । আর তখনই সেটা হবে ইভটিজিং। এছাড়াও পর্নোগ্রাফি তরুন মস্তিষ্ককে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। পর্নোগ্রাফির ব্যাপক প্রচলন মোবাইলের ব্লুটুথ প্রযুক্তির মতো এক তরুন থেকে অন্যদের মাঝে ইভটিজিং এর ভূত সওয়ার করে।

এছাড়াও মন-মানসিকতার পার্থক্যের জন্য ইভটিজিং হয়। যে সব তরুন ছোটবেলায় নুন্যতম ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা পায়নি। যে তরুন বস্তি কিংবা এতিমখানায় বড় হয়েছে। যে ছোটবেলা থেকেই মারামারি ও ঝগড়ার মধ্যে এক অসুস্থ্য পারিবারিক পরিমন্ডলে বড় হয়েছে। কার কাছ থেকে তো আপনি ভালো কিছু আশা করতে পারেন না।

ইভটিজিং কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা আমাদের সমাজের সার্বিক পরিস্থিতির একটি খন্ডচিত্র মাত্র। আমাদের সমাজের সর্বত্রই অসংগতি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও, কোন কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে না। এর কারন হিসাবে অনেকেই আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অভাব, মূল্যবোধের অভাব, সুষ্ঠু বিনোদনের অভাব, আর্থিক অসচ্ছলতা, অশিক্ষা ও সামাজিক অসচেতনতা ইত্যাদি হাজারো কারন উপস্থাপন করবেন।

কিন্তু এসব কারনের পিছনে একটা গুরুত্বপূর্ন কারন নিহিত আছে। আর তা হল ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাব। আধুনিকতা আমাদের মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। ধর্মের পবিত্র বানী আমাদের অন্তরকে আজ আর স্পর্শ করেনা। ভাল ও খারাপের সুষ্পষ্ট পার্থক্য আমাদের চোখে ধরা পড়েনা।

আহমেদ ইউসুফ ঢাকা, ০১ অক্টো ২০১২ ইং। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.