আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার সন্তানদের সাথে আমার সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত

I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই শিশু! দুটি মানুষের সন্তান হয়ে জন্মায় প্রতিটি মানুষ এই পৃথিবীতে, আর পৃথিবীতে প্রথম আপনজন হয় সেই দুটি মানুষ! এই মানুষ দুজনের বর্তমানে লালনকালে শিশু এদেকে দিয়েই অন্যদেরকে চিনে, বুঝতে শিখে পৃথিবী। কিন্তু কখন আমরা ভেবেছি সেই শিশুর মনে কতটা প্রভাব ফেলে জন্মদাতা-দাত্রীর সাথে তাদের মধ্যকার আচরন? একজন মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষক পিতা-মাতা। তাই আজ, কিছু সন্তানের অভিমত জানব, তারা তাদের পিতা-মাতার কাছ থেকে কেমন আচরন আশা করে। শুভ্র হয় শিশুদের মন, আর বাবা-মা এর কাছ হতে এরা পায় প্রথম শিক্ষা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই শিশুরা খুব অণুকরন প্রিয়।

আর প্রিয়জনদের কাছ থেকে শেখা বিষয়গুলো শিশুরা বেশি মনে রাখে। এর সাথে সাথে সম্পর্ক থেকে শেখা কেমন আচরন করতে হবে, তা আরেকটি সহজাত আচরন। কথা, অথবা সুচিন্তা ছোটবেলায়, এর মধ্যে আদর্শ সন্তান বলে একটি ছিল, যা সবাই হতে চাইত। কিন্তু আদর্শ পিতা-মাতা বলতে তেমন কিছুই শোনা যায়নি। খুব অবাক বিষয় মনে হলেও কিছু কিশোর কিশোরীকে করা প্রশ্ন-উত্তর দেব আজকে এই চিন্তা নিয়ে।

থাকবে বেশ কিছু মতামত, বিশ্লেষন সহ। তবে মনে রাখতে হবে, এরা মতামত! ব্যক্তিগতভাবে না নেবার অনুরোধ রইল। প্রশ্ন ছিল: বাবা-মায়ের সাথে কেমন সম্পর্ক চায় সবাই? সবচেয়ে পাওয়া উত্তরগুলো: ১. বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধপুর্ণ সম্পর্ক একটা প্রবাদ আছে, "তুমি কারো থেকে শ্রদ্ধা আশা করলে তার আগেই তা প্রদর্শন কর!" সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের এরকম একটা সম্পর্ক থাকা জরুরি। কেননা শ্রদ্ধাবোধহীন সম্পর্কে ফাটল দ্রুত ধরে। তাছারা মানুষ তাকেই বেশি বিশ্বাস করে, যে তার শ্রদ্ধার পাত্র হয়।

অধিকাংশ সময় শিশুরা বাবা-মাকে শিশুরা সত্য কথা বলতে পারেনা, যা ভয় থেকে আসে। কিন্তু এর ব্যাতিক্রম হতে পারে, যা হল শ্রদ্ধাবোধ, যেখানে ভয় থাকেনা, অথচ সম্মান থাকে একে অপরের জন্য। এবং একরম একটি সম্পর্ক সন্তানের সাথে তৈরিতে বাবা-মা শিশুকে সাহায্য করতে পারে, এবং তা হবে শিশুকে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে। শিশুর কথা মনযোগ দিয়ে শোনা, তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে চেষ্টা করা, এবং মতপ্রকাশে স্বাধীনতা দিয়ে। শিশুর ভবিষ্যতে এই আচরন তার ব্যক্তিত্ব্য গড়তে সাহায্য করে! ২. বাবা-মায়ের সাথে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক সহজ কথায় বলতে চাইলে, বাবা-মায়ের সাথে এমন একটি সম্পর্ক খুব বাঞ্চনীয়, কেননা প্রতিটি মানুষ তার বন্ধুর সাথে প্রায় সকল কথা শেয়ার করে, যাতে করে উভয়ের মধ্যকার সম্পর্কটা সুন্দর হয়।

উপরন্তু খুব ভালো মানসিকতা সৃষ্টিতে এই সম্পর্কের অবদান অনেক। ৩. অপব্যবহার (abuse) করা যাবেনা বাবা-মায়ের সাথে একটা সুন্দর সম্পর্ক কাম্য। তাই এধরনের ব্যবহার নয়। আবারো, শিশুরা অন্যদের থেকে শেখে। আজকের সন্তানরাই ভবিষ্যতে বাবা-মা হবে, তাই তাদের সুস্থ মানসিকতা তৈরিতে সাহায্য করতে হবে আমাদের।

৪. ফেবারেটিসম কাম্য নয় প্রায়ই পরিবারে বড় অথবা ছোট সন্তানটিকে বেশি স্নেহ প্রদান করা হয় অন্য সন্তানদের মনে আঘাত দিতে পারে। তাই বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের এধরনের আচরন থেকে বিরত থাকা উচিত। সকলকে প্রায় সমানভাবে বিবেচনা করা উচিত। ৫. ভালো শ্রোতা ও উপদেশদাতা হতে হবে এটা অবশ্যই প্রয়োজন, কেননা যে শুনবে, বুঝবে, তার কাছেই অধিকাংস মানুষ শেয়ার করে মনের কথা। সুতরাং সন্তানের কথা মন দিয়ে শোনার মত মানসিকতা থাকতে হবে।

উপদেশ দেবার সময় বোধগম্য, ও সথিক উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। ৬. সময় একসাথে ব্যয় করতে হবে, প্রতিদিন এটা একটা অনেক বড় উপায় সন্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরিতে। এর ফলে মধকার ভিত্তি দৃ্ঢ় হয়। স্বাভাবিকভাবে দুজন মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরিতে এটা সাহায্য করে। তার চেয়ে বেশি সত্য হল, সন্তান ভাবতে চেষ্টা করবে বাবা-মায়ের জন্য, কেয়ার করার প্রবনতা বাড়বে।

৭. ভুল করলে সঠিকভাবে শোধরাতে সাহায্য করতে হবে অনেক সময় সন্তানদের প্রহার করেন বাব-মায়েরা, যা খুব খারাপ প্রভাব ফেলে সন্তানদের মনে। ভুল প্রতিটা মানুষ করে, এজন্য শোধরাতে সাহায্য করতে হবে কাছের মানুষদের। আর তাই এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভুমিকা অপরিসীম। তাই বকাঝকা না করে বুঝাতে হবে। ৮. সন্তানের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে বাবা-মায়ের কাছথেকে বিশ্বাস পেলে সন্তানরা বেশ আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে।

এর ফলে তারা নিজেদের ব্যাপারে স্বাভাবিক বোধ করে। বাবা-মায়ের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়া খুব প্রয়জনীয়, তবে সেক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। আমাদের পৃথিবীতে সবাই সমান হয়েও সমান হতে পারেনা। হ্যা, আমাদের পাশের সেসব শিশুদের কথা বলছি, যারা মানসিক অথবা শারিরীকভাবে প্রতিবন্ধী। তাদেরকে সবার মত ভালবাসা দিতে হবে।

তাদেরকে আলাদা না করে সবার সাথে একই পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে, তারাও আমাদের একজন। কোন অবহেলা করা যাবেনা। সব শিশুই সমান, এটা বুঝাতে হবে। সর্বপরি বাবা-মায়ের সাথে ভালবাসাপুর্ণ একটা সুন্দর সম্পর্ক প্রত্যেকটি সন্তানের কাম্য।

এ বিষয়ে কিছু প্রাথমিক ধারনা তুলে আনলাম। আপনাদের নিজের মতামত আপনারা জানাতে পারেন। আর প্রশ্ন রইল আপনাদের কাছে, "আপনি আপনার পিতা-মাতা সাথে আপনার কেমন সম্পর্ক কাম্য?" আপনারা সানন্দে মতামত প্রকাশ করুন, আর সবশেষে বলতে চাই, এই লেখাটি মানুষের কিছু মন্তব্যের ভিত্তিতে লেখা, মতবিরোধ হলেও তা মন্তব্যে প্রকাশ করতে পারেন। ভালো থাকুন!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.