আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামু ট্র্যাজেডি || উভয়পক্ষের সহমর্মিতা কাম্য

তুমি আমার জল-স্থলের মাদুর থেকে নামো.....তুমি বাংলা ছাড়ো !!! আজ সারাদিনই প্রায় সকল ধরণের গণমাধ্যম ও কমিউনিটি'তে আলোচিত হচ্ছে 'রামু ট্র্যাজেডি'র কথা। আমি জানি ট্র্যাজেডি শব্দটার সাথে অনেকেই একমত হবেন না। তবুও সামগ্রিক অর্থে শব্দটা ব্যবহার করলাম। যেকোন বাদ-বিবাদেই প্রধাণত দুইটি পক্ষ দেখা যায়। এখানেও তাই।

ঐ অঞ্চলের অধিবাসী 'উত্তম বড়ুয়া'র ফেসবুক আইডি তে ইসলাম ধর্মের অবমাননামূলক কিছু ফটো ট্যাগ করা হয়। আর অনেকেই এটার সাথে তার সরাসরি যোগসাজশ আছে মনে করে হামলা চালান তার পল্লীতে এবং ভাংচুরসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। ঐ পেজটার নাম ছিল 'ইনসাল্ট আল্লাহ্' (যতদূর জানা যায়)। ঐ ঘটনার পর থেকেই দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভার্চুয়াল মিডিয়াতেও দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষ বা রেশারেশি দেখা যায়। আমি যতদূর দেখলাম সবার কথাতেই যুক্তি আছে।

একদল বলছেন, এটা মুসলিমদের চিরায়ত স্বভাব, আবার অনেকে বলছেন এটা একটা অমানবিক কাজ। সবই বুঝলাম। কিন্তু, এ ব্যাপারে কি আমরা নিশ্চিত যে ঐ কাজে উত্তমের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিলনা। অথবা ট্যাগ করা ছবিতে তার কোন অশ্লীল কমেন্ট থাকতেও পারে....! আবার, অনেকেই বলছেন যে এটা ছিল মুসলমানদের চাপে ফেলাতে একটা উষ্কানিমূলক ষঢ়যন্ত্র। এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

যায় কি? সর্বোপরি, আমাদের উচিৎ সহমর্মি হওয়া। আমাদের নবীজি মক্কা বিজয়ের পর কোন ইহুদীর ঘর পুড়িয়েছিলেন কি? আমরা তো আর তার থেকে বড় ঈমানদার নই...! আর হওয়ার চেষ্টা না করাই ভাল.......! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.