আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হারামজাদা

যে মুখ নিয়ত পালায়......। । ঠাকুরগাঁওয়ে মজুতদার ও চালকলের মালিকেরা ফড়িয়াদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কেনা শুরু করেছে এ রকম একটা খবর পড়লাম। ঋণ পরিশোধের জন্য কৃষকেরা কম দামে বেচতে বাধ্য হচ্ছেন। এই ধান থেকে চাল করা হবে।

পরে বেশী দামে সরকারী খাদ্যগুদামে যাবে। এভাবেই লাভ উঠিয়ে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী মজুতদারেরা। এক কৃষক জানান, "হাটে ধান নিয়ে গেলেই পাইকারেরা ঘিরে ধরে। সবাই মিলে একটাই দাম হাঁকায়। এখন অবস্থা এমন হয়েছে, ফড়িয়ারা যদি ধানের দাম ৩০০ টাকা মণ বলে, তা-ও আমাদের বিক্রি করা ছাড়া উপায় নাই।

" আজ প্রচুর গরম পড়েছে। এই গরমে ঘরে থাকাও আপদ মনে হচ্ছে। কঠিন সত্য এই রকম অনেক কাঠফাটা গরমের দিনে কৃষকেরা মাঠে কাজ করেন। কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই দেখা যায় কৃষকেরা ন্যায্য মুল্য পান না। একবার এক ভদ্রলোককে খুব শৈল্পীক গালি দিতে দেখেছিলাম।

তার এক কর্মচারী কাজে ফাঁকি দেয়ায় তিনি তাকে ডেকে আনেন। শান্ত কন্ঠে বলেন, তুমি যে কাজে করছো না, বেতন তো ঠিকই নিবে। এই বেতন কি হারাম হবে না? কর্মচারী ভ্যাবাচেকা খেয়ে উত্তর দেয়, জি, হারাম হবে। ভদ্রলোক এবার কর্কশ কন্ঠে বলেন, আর হারাম খেয়ে যে সন্তান পয়দা করবা সেটা হবে হারামজাদা। আমার বিশ্বাস তুমি চাও না তোমার সন্তানেরা হারামজাদা হোক।

ঠাকুরগাওয়ের কৃষকদের অবস্থা দেখে এই ঘটনাই মনে পড়ল। এই চালকলমালিক, এই মজুতদার বা পুজিবাদি সমাজের পুজিপতিদেরো নিশ্চিত কেউ একদিন ডেকে বলবে, এইসব তো হারাম খাচ্ছো বাপধনেরা। হারাম খেয়ে যাদের পয়দা করছো তারা হচ্ছে হারামজাদা। সে খেয়াল আছে তো? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।