আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হারামজাদা আজ সারাদিন তোর বাথরুম ইউজ করব



বউহীনরা এখানে প্রবেশের দরকার নাই। ঝগড়াটে স্বামী স্ত্রী হিসেবে আমার আর তিনার কোন জুরি নাই। দুই পক্ষের শ্বশুর শ্বাশুরি থেকে শুরু করে নিকট ও দুরের সবাই মোটামুটি জানে যে আমাদের দু'জনার মধ্যে এ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি পাতিলের ন্যায় লেগেই থাকে। এলুমিনিয়ামের হাড়ি পাতিল যেমন একটার সাথে আরেকটা লাগলেই শব্দ হয় আমার কোকিল কন্ঠীও তেমন একটুতে একটু হলেও কণ্ঠভুলে ক্যা ক্যা করে উঠে। আর তিনি যদি রেগে যান এফএম একবার চালু হলে আর রক্ষা নাই ননস্টপ পরবর্তী ২ঘটনা চলতেই থাকবে অথবা আমার রগের থার্ম মিটার যতক্ষণ না বাস্টিং লেভেলে পৌছবে তত সময় রেডিও চলতেই থাকবে।

আর অনেক ক্ষেত্রে তার রেডিও চলে আমার মেজাজের চরম সীমায় নেয়ার জন্য। আর আমি বেচারা অপেক্ষায় থাকি কতক্ষণে তার মুখ বন্ধ হবে, আর তাতেই তার মেজাজ বাড়তে থাকে। ওর উদ্দেশ্য থাকে আমার মেজাজ খারাপ করা আর আমার উদ্দেশ্য থাকে দেখি সে কত সময় বাজতে পারে তাই তার কথার উত্তর আমি ভুলেও দিতে যায় না সচারচর কারণ আমি রেগে যাওয়া মানে তিনার মুখে হাসির ঝলক। মুখে কাল বৈশাখীর কাল মেঘ ঝেড়ে শৎতের স্বর্ণউজ্জল রৌদ্র খেলা করে। আর স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলে বলে- তুমি আমার মেজাজ খারাপ করেছো আমিও এখন তোমারটা করলাম, এখন আমার শান্তি।

তো কদিন আগে বাসার সহকারী মহিলাটি না থাকায় সকালে নাস্তার সময় বলল আজ একটু তাড়াতাড়ি ফিরে আসার সময় দুধওয়ালীর বাড়ী থেকে দুধটা নিয়ে এসো তা না হলে কিন্তু তোমার ছেলেই না খেয়ে থাকবে। আমি উত্তর করলাম থাকুক, আমার ছেলে নিয়ে তোমার চিন্তু না করলেই হবে। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর- মানে ছেলেকি তোমার একার, তোমার যা বলছি তুমি তাই করবা। খেতে খেতেই বললাম মাত্র- ঘরে বসে থকতে থকতে তো কদিন পর আমার বাড়ীওয়ালাকে দরজা বদলানোর জন্য বলতে হবে তা না হলে তো তুমি বাইরে যেতে পারবে না-- বলতে দেরি আর রেডিও চালু হতে দেরি না, যেহেতু আমার উদ্দেশ্য ছিল তাকে রাগানো তাই কোন কথার উত্তর না করে শুধু শুনতে থাকলাম বোবা প্রাণীর ন্যায়। আর তাতে তার মেজাজা গরম থেকে অতিব গরম হতে থাকল।

প্যান্ট শার্ট কখনও তাকে বের করতে বলি না, সেদিন চাইলাম তার মেজাজ গরম করার জন্য, উত্তর দিল তোমারটা কি আমি পড়ি যে আমি বের করে দিব, হালকার উপর বললাম কোমড়ে লাগলে তো--- এবার গরম তেলে কাঁচা বেগুন ফেলার মত অবস্থা তারপর - - - -- - - - - -- - - -। আমি সেদিকে কোন পাত্তা না দিয়ে রেডি হয়ে বের হওয়ার সময় বললাম দয়া করে দরজাটা লগিয়ে দিন। দরজা খুলে সামনে দাঁড়িয়ে বলল- হারামজাদা আমার মেজাজ গরম করে হাসি মুখে বিদায় না---[b] আর সারাদিন তোর বাথরুম ব্যবহার করব। [/b]কারণ ও জানে সন্ধ্যায় ফিরে আমার বাথরুম কেও ব্যবহার করেছে বা ভেজা দেখলেই আমার মাথা খারাপ। আর উনি যখন আমাকে কোন অবস্থাতেই রাগাতে পারে না তখন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে রাগাতে চেষ্টা করে থাকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।