আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লুলের দশদিন কিন্তু............ একদিন ই যথেষ্ট (হালকা বড়দের)

সসবসময় ভাবি যে সময় পেলেই ব্লগ লিখব, কিন্তু সেই সোনার হরিণ সময়টাই পাচ্ছিনা, এক বছরের বেশি হয়ে গেলো তাও আমি এক নিষ্কর্মা ব্লগার..... বাংলার আনাচে কানাচে লুলু সম্রাটরা ছড়িয়ে আছে তাদের লুলুপনার মশাল উড়িয়ে। আজ এমন এক লুলুকেই নিয়ে লেখাটা। কালাম আমাদের গ্রামেরই সূর্যসন্তান, মানে লুল জগতের সূর্য। বাপের যেমন বিস্তর টাকা তেমনই তার লুলামীর ব্যপকতা বলার অপেক্ষা রাখেনা। লুল হিসেবে তার যতই প্রশংসা করিনা কেন আমার কাছে মনে হয়, কমই করতেছি।

একসময় ভাবতাম চেহারা সুন্দর হলে লুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়, কিন্তু কালাম আমার সেই ধারণা অনেক আগেই ভূল প্রমাণ করে। তার কথা হলো, চেহারা লাগেনা, নিজেকে উপস্থাপন করতে পারলেই হলো, তাইলেই তুমি নারী হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারবা অনায়াসে??? আমাদের কালাম স্কুল বয়স থেকেই প্রেমের ব্যপারে পরিপক্ক(সাধারণত বিখ্যাত লুলরা কচি বয়স থেকেই প্রতিভা দেখাতে থাকে)। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্য যে স্কুলে থাকা অবস্থায় সে পাঁচ জনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে চারজনের ব্যাপারে সফল (সাকসেস রেট অনেক হাই)। এদের একজনকে আবার আমি কিন্চিৎ লাইক করতাম কিন্তু কি আর করা হাজার হোক বন্ধু, আর আমাদের মতো হিরোরা আবার বন্ধুর জন্য জান কোরবান করতে পারে। যত দিন যায় ততই তার লুলামি বাড়তেই থাকে।

কিন্তু অবশেষে তার পিতা বাধ্য হলেন তার বিয়ে দিয়ে দিতে, যা তার লুলামি জগৎকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে । সুন্দরী একখানা কন্যার সাথেই কালামের বিবাহ হলো (শালা লুলদের ভাগ্য এত ভালো কেন??? সে ও সুন্দরী বউ নিয়ে, সংসার শুরু করে দিলো। আমরাও খুশি, যাক লুলমি তাহলে কমলো। কিন্তু কথায় বলে না, ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাংগে.......তেমনি লুল বিয়ে করলেও লুল ই থাকে। আমাদের লুল কালাম বিবাহের বছরখানেক পর থেকেই আবার তার লুলামি চালিয়ে যায়।

ঘরে সন্তান আসে, একটি ছেলে হয়, তারপর মেয়েও হয়, তারপরও আমাদের কালাম লুলামি ছাড়েনা। পার্শবর্তী দুই গ্রামে দুই মেয়ের সাথে লুলামী সম্পর্ক শুরু হলো। কিন্তু চোরের যেমন দশদিন তেমনি গৃহস্তেরও কিন্তু একদিন। অবশেষে সেই গ্রামবাসীরা জোর করে কালামের সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়। মানুষের এক বউ নিয়াই জীবন তেনা তেনা আর কালামের তো তিন বউ প্রথম বৌ তো মামলা করে দেবার হুমকি দিলো, বিনা অনুমতিতে বিবাহ করার জন্য।

বেচারা পারলে এখন লুলামির ১৮০ ডিগ্রী দুর দিয়া চলাফেরা করতেছে। একদিন শুনলাম, বউদের অত্যাচারে সে ভ্যসেকটমি (খোঁজা) করাইয়া আসছে। ঐদিন আমি কইলাম, হিনা রাব্বানিরে দেখছনি, কি কাম করতাছে? আমারে কয়, "দোস্ত আর দেখাইও না কোনো রাব্বানি আর হিনা, তিন বউ নিয়া এমনিতেই মুশকিল আমার জিনা"। পূর্বের লেখার একখান লিন্কু View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।