দেশ ও জাতি গঠনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে দেশের শীর্ষ সুশিল ব্যক্তিবর্গ কিংবা সরকারের বিশেষ কোন আস্থাভাজন কর্মকর্তা। যাদের জ্ঞান গরিমার মাধ্যমে দেশের নেতৃত্ব মহল তাদের সঠিক সন্ধান খুঁজে পাই। পাশাপাশি দেশের দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্ত থেকে শান্তির পথ আনয়ন করে সেই মহান ব্যক্তি যারা নি:স্বার্থ দ্বিধাহীন নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সরকারকে সাহায্য করেই চলেছেন যার কথা না বললেই নয় তিনি হলেন আমাদের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন পিএসসি। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন পিএসসি, তিনি এখন রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বিভিন্ন প্রকার পার্বত্য ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে স্থানিয় প্রশাসন সমন্বয়ের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্টার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অতএব, তিনি এই সংকটপূর্ণ সময়ের সরকারের একজন প্রধান সহায়ক হিসাবে সবার কাছে প্রতিয়মান ।

সম্প্রতি রাঙ্গামাটিতে সহিংস ঘটনা-পরবর্তী শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মঙ্গলবার শহরে পাহাড়ী-বাঙালী সমন্বয়ে একটি শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে সেগান ছিল পাহাড়ী বাঙ্গালী ভাই ভাই আমরা সবাই শান্তি চাই। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেনের প্রচেষ্টায় জেলা প্রশাসন এই আয়োজন করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি। র‌্যালিটি তে ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশিষ রায়, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার, উপজেলা চেয়ারম্যান মুছা মাতব্বর, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম ভুট্টো, পুলিশ সুপার মাসুদ উল হাসান, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য উষাতন তালুকদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

পৌরসভা চত্বর থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শেষ হয়। র‌্যালিটিতে সর্বস্তরের পাহাড়ী-বাঙালী জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। র‌্যালিটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে এক জরুরী মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, পাহাড়ে একটি মহল অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য লেগে আছে। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ এখানে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে।

গুজবে কান না দিয়ে সকলে আগের মতো শান্তিতে থাকার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। রাঙ্গামাটি শহরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা তুলে নিয়েছে। এর পরও শহরবাসী যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও শহরে টহলরত রয়েছে। এদিকে শহরের স্কুলগুলোতে আগের মতো ক্লাস শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার করেণে রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ ও টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এখনও খোলা হয়নি।

এ ছাড়া রাঙ্গামাটির সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। অতএব পার্বত্য চট্রগ্রামে আবার ফিরে এসেছে গণমানুষের প্রাণ চাঞ্চল্য ও কর্মজীবনের গতিশীলতা সবাই চাই এভাবে পারহোক পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর সকল মানুষের ভ্রাতৃবোধ ও সহানুভূতি। দূর হোক সকল ষড়যন্ত্রের অপশক্তি। সুতরাং, আমাদের শ্রদ্ধাভাজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারোয়ার হোসেন তারই মাধ্যমে যেন পার্বত্য চট্রগ্রামে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয় এই প্রত্যাশা আমরা সকলেই করি। তাহার স্বাস্থ্য, সুন্দর ও দীর্ঘ জীবন কামনা করি।

।