আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাম্পত্য জীবনঃ---শিশু শেখে দেখে দেখে

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। নিত্যদিনকার সংসারে দাম্পত্য কলহ অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এটি যখন প্রকাশ্যে শিশু সন্তানদের সামনে ঘটতে থাকে তখন সেটি সীমা ছাড়ায়। এটি ঐ শিশুটির উপর দারুণ প্রভাব ফেলে। প্রভাবিত করে শিশু মনকে, তার আচরণে, তার ভবিষ্যৎ জীবনে।

শিশুদের মন সাদা কাগজের মতো। সে যা দেখে তারই ছাপ গিয়ে পড়ে তার মনের উপর। ফলে পরবর্তী জীবনে সে তা-ই অনুকরণ করতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে - বাচ্চাদের শেখার পদ্ধতি হচ্ছে ‘দেখন শিখন প্রক্রিয়া’ বা অবজারভেশন লার্নিং। অর্থাৎ তারা যা দেখে তার থেকেই শিখে থাকে।

তাই বাচ্চারা যখন বাবা-মাকে উচ্চস্বরে কথা বলতে বা ঝগড়া করতে দেখে কিংবা এটা-সেটা ভাঙচুর করতে দেখে, তখন তারাও সেটা শিখে ফেলে। আর বাচ্চাদের শিখন প্রক্রিয়াটাও হয় খুব দ্রুত। ফলে পরবর্তী সময়ে স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে যেকোন সময়ে বাচ্চারা সেটি প্রয়োগ করতে থাকে। আর বাচ্চাদের এহেন আচরণে বাবা-মাদের পড়তে হয় লজ্জায়-অপমানে। বাবা-মা তখন সন্তানকে শাসনের জালে বাধতে চেষ্টা করেন বৈকি কিন্তু সফলকাম হতে পারেন না।

শুধু যে অশোভন আচরণ বা গালাগাল শেখে তা-ই নয়, এটি তার ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে। এমনকি তার সঠিক মনো:বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ভবিষ্যৎ জীবনেকেও জটিল করে তোলে। সচেতন বা অসচেতন বাবা-মা চাইলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে বেরুতে পারেন না। যতক্ষন পর্যন্ত শিশুটির বাবা-মা নিজেরা সংশোধিত হচ্ছেন না, ততক্ষন পর্যন্ত এটি সম্ভব নয়। মা-বাবার পরস্পরের প্রতি যদি শ্রদ্ধাবোধ না থাকে তাহলে শিশুটির ভেতরও শ্রদ্ধাবোধ আসবে না।

মা-বাবা যদি বদমেজাজি হন, তাদের সন্তানটিও হয়ে পড়ে রগচটা, বদমেজাজি। অথচ আমরা সবাই চাই যে আমাদের সন্তানটি যেন হয় ভদ্র-নম্র স্বভাবের; সুন্দর আদব-কেতা নিয়ে যেন বেড়ে ওঠে মার্জিত রুচির এক সুনাগরিক হিসাবে। এই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য পরিবার তথা বাবা-ময়েরই মুখ্য ভূমিকা থাকে। বস্তুত বাবা এবং মায়ের ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেক বাবা-ময়েরই উচিত সন্তানের ভালোর জন্য তাদের সামনে প্রকাশ্যে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত না হওয়া।

উচিত বাচ্চাদের সামনে সংযত আচরণ করা। মা-বাবা যদি বদমেজাজি হন, তাদের সন্তানটিও হয়ে পড়ে রগচটা, বদমেজাজি। অথচ আমরা সবাই চাই যে আমাদের সন্তানটি যেন হয় ভদ্র-নম্র স্বভাবের; সুন্দর আদব-কেতা নিয়ে যেন বেড়ে ওঠে মার্জিত রুচির এক সুনাগরিক হিসাবে। এই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য পরিবার তথাবাবা-ময়েরই মুখ্য ভূমিকা থাকে। বস্তুত বাবা এবংমায়ের ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

----সুত্রঃ ---- নাজিয়া কাইয়ুম -----দৈনিক আজাদী ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।