আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সর্প বিষয়ক কর্মশালা- ২/ চন্দ্রবোড়া

শিশুতোষ যে কোন রচনা।   সর্প বিষয়ক কর্মশালা- ১ / ফিতাসাপ সর্প বিষয়ক কর্মশালা- ২ _____________ চন্দ্রবোড়া সাপের ইংরেজি নাম Russell's viper। আর বৈজ্ঞানিক নাম - (Daboia russelii) এই সাপ সম্ভবত বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় সাপ। হুমায়ূন আহমেদ এর অসংখ্য উপন্যাসে এই সাপের উপস্থিতি বর্ণনা করার কারনে পাঠক কূল এই সাপ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে অবহিত। চন্দ্রবোড়া এই উপমহাদেশের সবখানেই দেখা যায়।

চন্দ্রবোড়া চার থেকে ছয় ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এদের শরীর খুব নমনীয়, তবে একটু অনুজ্জ্বল। এর গায়ের রঙ মূলত বাদামী, সাথে লাল অথবা হলুদের সংমিশ্রণ থাকে। কিছু কিছু প্রাজাতি কড়া ধুসর থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে গায়ের রঙ হলদে বাদামীর দিকে ধাবিত হয়।

অজগরের সাথে এদের চেহারার মিল আছে, তবে অজগরের তুলনায় এরা অনেক ছোট। ভাইপার প্রজাতির অন্যান্য সাপের মত এরা নিশাচর, তবে দিনের বেলা এরা ঝোপে-ঝাড়ে ঘুরে বেড়াতে ভালবাসে। শীতকালে এরা এক জায়গায় অনেক দিন থাকে। এই সময়টা তাদের সঙ্গমকালিন সময়। শত্রদের সতর্ক করতে এরা এক ধরনের হুইসেলের মতো আওয়াজ করে।

চলার পথে এরা প্রেসার কুকারের মত হিস হিস শব্দ করে চলাচল করে। এই সাপ বিষাক্ত। এবং এদের আচার আচরণ আগে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। যেকোনো কারনে, যেকোনো সময় এরা ছোবল দিয়ে দিতে পারে। এরা গাছে গাছে থাকতে খুব একটা পছন্দ করে না।

বরং সমতল এদের ভীষণ প্রিয়। এরা মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়ার চেয়ে বাইরে বাইরে ঘুরতেই বেশি পছন্দ করে। চন্দ্রবোড়া' র প্রিয় খাবার হল কাঠবেড়ালী আর টিকটিকি। মে থেকে মধ্য আগস্টের ভেতর এই সাপের ডিম থেকে বাচ্চা হয়। একসাথে ৬-৯৬ টি বাচ্চা থাকতে পারে।

২-৩ বছর বয়সেই এরা যৌন সক্ষমতা অর্জন করে। এই সাপ বিষাক্ত, তবে অনেক সময় এরা ব্লাঙ্ক কিস দিয়ে থাকে। অর্থাৎ কামড় দ্যায় কিন্তু বিষ নির্গত করে না। দাগ ও রঙ দেখে বোঝা যায় কোনটাতে বিষ নির্গত করা হল, কোনটা ব্লাঙ্ক কিস। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।