বিএনপি দাবি পূরণে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দেয়ার পর রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া নির্বাচন চান না, ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করছেন।”
“শনিবারের সমাবেশে তিনি নির্বাচন সংলাপের পথ ছেড়ে হেফাজতের ১৩ দফা সমর্থন করলেন, যেখানে নির্বাচন বা তত্বাবধায়ক সরকারের কোনো ইস্যু নেই।”
সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া জাতিকে ‘বিপদে ফেলছেন’ বলেও মন্তব্য করে তথ্য মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি, সংলাপ প্রত্যাখান, হেফাজতে ইসলামীর ১৩ দফা দাবির প্রতি সমর্থনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া নির্বাচন ছাড়াই বাংলাভাই বা তালেবানি বা হেফাজতি মার্কা রাষ্ট্র কায়েম করতে চান।”
প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে শনিবার মতিঝিলে এক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, “আলেম-উলামাদের অবরোধ ও আমাদের সমাবেশ কর্মসূচি বানচাল করে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ফিরিয়ে নিতেই আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এই সংলাপ নাটক করছেন।”
নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেন বিরোধীদলীয় নেতা।
৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রত্যাহার করে সংলাপের ডাকে সাড়া দেয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শর্ত প্রত্যাহার করলে খালেদা জিয়ার পছন্দমত জায়গায় নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিষয়ে আদালতের রায় জানার পরও খালেদা জিয়া শর্ত দিচ্ছেন মন্তব্য করে ইনু বলেন “তিনি হয় মুর্খ, না হয় জ্ঞানপাপী, বলতে বাধ্য হলাম।”
শনিবার বিএনপির সমাবেশে যেসব দাবি তোলা হয়েছে তাতে জামায়াত ইসলামের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেয়া হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।