আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচারকের কাঠগড়ায় জবানবন্দী

সকল আশংকার অবসান ঘটিয়ে আমাকে বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে বান্দরবান পার্বত্য জেলার আমলী আদালতে মাননীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ সাহেবের আদালতে রবিদয় তঞ্চঙ্গ্যা প্রু বাদী হয়ে সি.আর- ৫০/১৩, প্রসেস নং-১৮৭/১৩,তাং-২৮/৫/১৩ মূলে ৫০১/৫০২ ধারার অপরাধের অভিযোগে মামলা এবং আগামী ২৭/৬/২০১৩ইং তারিখে আদালতে হাজির হবার সমন জারী করা হয়েছে। আমাকে ‘ভোলারকন্ঠ’ প্রতিবেদক বলে সন্দেহ এবং মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এই মামলা করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আমি ভোলারকন্ঠ মাসিক পত্রিকার একজন কলামিস্ট মাত্র। কে বা কারা পাঠিয়েছেন এই প্রতিবেদন তার জন্য আমাকে সন্দেহ করেই এই মামলা করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন যাবত আমার বিরুদ্ধে সরকার এবং এলাকার স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহল থেকে পায়তারা চলছে। এই রবিদয় তঞ্চঙ্গ্যা প্রু তাদের দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সে যেখানে মানহানী করার অভিযোগ এনে আরেক জনকে মানহানী করে চলেছে। বাহবা পাবার জন্য একজন লেখক কে কাঠগড়ায় দাড় করাচ্ছে,আলীকদম থেকে বান্দরবান নিয়মিত যাতায়াত এবং ল’ইয়ারের সম্মানীসহ যে অর্থের অপচয় করানো হচ্ছে তা তার মত চোরাচালানীর পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব কিন্তু আমার মত বেকার উপার্জ্জনহীন লেখকের পক্ষে দিশাহীন, ভাষাহীন অবস্থ। এ দুঃখ, এ বিচার কার আদালতে দেব? এখানে বাদী সর্ম্পকে কিছু না বললে নয়।

ছেলে বেলায় এই প্রু বাবুর সাথে একই ক্লাশের ছাত্র ছিলাম। সে আমার খেলাধূলার সাথী ছিল। তাকে স্কুলে প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়তে দেখিনি। দেখিনি অন্য কোথাও পড়ালেখা করতে। বাড়ী থেকে নিজের গরু চুরি করে অন্যত্র পালিয়ে যায়।

সোয়ালকে আত্মীয়ের বাড়ীতে দিনমজুরী করে মাস বছর কাটাতে থাকে। সবার ছোট বলেই তার মায়ের খুব প্রিয় ছিল এই প্রু। মায়ের মৃত্যুকালীন এই প্রু আলীকদমে ছিল না। তাই তার মা আমাদের সামনে খুব অভিমান করেছিলেন। ৯০ সালের দিকে সোয়ালক থেকে আলীকদমে এসে বাড়ীতে না গিয়ে চাচা কালায়া তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ীতে অবস্থান নিয়ে পিতার সম্পত্তির অংশ দাবী করে।

তাকে আমিই বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। আমার টাকা খরচ করে তাকে বান্দবান ও ওয়াজ্ঞা তঞ্চঙ্গ্যা সম্মেলনে নিয়ে যায়। এখানেই সেই নেতৃত্বের সাধ পেয়ে যায়। গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে আমাদের মধ্যে ফাটল করে দিয়ে নিজের আসন পাকাপোক্ত করে নেয়। বিগত সম্মেলনে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা থেকে মৃত ও জীবিত মিলে মোট এগার জনকে নাকি ‘এওয়ার্ড’ দেয়া হয়।

এই এগার জন এওয়ার্ড প্রাপ্তদের মধ্যে আমাকেও একজন গন্য করা হয় বলেই পরে জেনেছি। কিন্তু ধূর্ত এই প্রু আমার অগোচরে তার আত্মীয় স্বজন নিয়ে সেই তঞ্চঙ্গ্যা সম্মেলনে যোগদান করে। এদিকে সংস্থার নেতারা আমাকে না দেখে দারুন অসন্তষ্ট। এই প্রু কে প্রথমবার আমিই মেম্বারের প্রতিদ্বন্ধিতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। গাজাঁ পান করে বড় মাস্তুল নিয়ে যে লোক পাথর ভাঙার মজুরী করতো তার বর্তমান হোন্ডার মডেল বদলানো, ব্যয়বহুল জীবন দেখে অবাক লাগে! সে এতটাকা উপার্জ্জন করে কিভাবে? শুনেছি একবার হেরোইন প্যাকেট নিয়ে চট্টগ্রামে বিক্রয় করতে নিয়ে গিয়েছিল।

চট্টগ্রামে সিআইডি না কার তাড়া খেয়ে পালিয়ে এসেছিল। আরাকান রোড দিয়ে আসতে পারেনি। চট্টগ্রাম থেকে কালুরঘাট, সেখান থেকে চন্দ্রঘোনা তারপর রাজস্থলী এবং বান্দরবান হয়ে আলীকদমে চলে আসে। আমার সন্দেহ লাগে, সে নিঃশ্চয় চোরাচালানীদের সাথে সংশ্লিষ্ট। রবিদয় তঞ্চঙ্গ্যা তার পিতামাতা দেয়া নাম নয়, স্বঘোষিত নিজের নাম।

আমার বিরুদ্ধে এই প্রু বাবুর দায়ের করা মামলার আসল রহস্য আমাকে যে বলতেই হবে। সম্প্রতি আমাদের পাড়ার ঘটনা। আমার প্রতিবেশী রইচরণ তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ী। সেদিন সে মদ খেয়ে মাতাল। তার বাড়ীর পাশে ঝি জামাইয়ের বাড়ী।

তার কাছে কাঠ পরিবহন বাবদ টাকা পাওনা আছে জনৈক কাঠ ব্যবসায়ী। সেই কাঠ ব্যবসায়ী সেই পাওনা টাকা চাইতে এসে দেখে দেনাদার নেই, তাই তার স্ত্রীর সাথে কথা বলছিল। এদিকে মাতাল অবস্থাই রইচরন তঞ্চঙ্গ্যা তার মেয়ের কাছে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করে, সেই বাঙালীটা কে? এইভাবে কয়েকবার চিৎকার করার পর কোন শব্দ না পেয়ে দেখতে নাকি যাচ্ছিল। এই দেখতে যাওয়াতে সেই ব্যবসায়ী রইচরনকে গলায় ধরে ফেলে, আমি কে, চিনস্ না কেন? সম্ভবত রইচরন নিজেকে ছাড়িয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে সেই ক্ষুব্ধ হয় এবং দূরে গিয়ে মোবাইলে কয়েকজনকে মিথ্যা খবর দেয়, একজনের স্থানে বহু শব্দ ব্যবহার করে অর্থাৎ আমাকে চাকমারা আক্রমণ করছে বলে চিৎকার করে। এটা বাস্তব মনে করে কয়েকটা মোটর সাইকেলে ৬/৭ জন এসে রইচরন কে এলোপাথারী কিলঘুষি লাথি মেরে ধরাশায়ী করে।

পা দিয়ে গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা কালে তার ছেলেমেয়েরা বাঁচানোর জন্য এলে তাদের কে লাঠি কিলঘুষি মেরে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় আমি বাড়ীতে এলে তা জানতে পারি । আমার বাড়ীর পূর্ব দিকে তার বাড়ী। সেখানে গিয়ে দেখলাম কেউ নেই। জানলাম তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

অতপর পানবাজারে এসে বিস্তারিত জানলাম। যে এইগুলি নিয়ে মাথা ঘামায় সেই প্রু তঞ্চঙ্গ্যাকে মোবাইলে ঘটনাটা জানালাম, সেই জানাল, আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। থানার ওসি সাহেবকে জানালাম। অতপর আলীকদম সেনানীবাসের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আলমগীর কবির কে ঘটনার কথা জানালাম। পরে জানলাম, স্থানীয় ভাবে তা বিচার হবে।

আমিও তা চাই। কিন্তু বিচারক যে আসামীদের মনোনীত তা আমার বোধজ্ঞান ছিল না। অনেকটা ‘বিচার মানি কিন্তু তাল গাছটা আমার’ মত অবস্থা। পাড়ার প্রতিবেশী এবং কার্বারী অনুপস্থিতিতে কার্বারীর সন্তান হিসেবে আমার উপস্থিতি প্রয়োজন বলে মনে করে গেলাম। পানবাজারে জনৈক মেম্বারের অফিসে সে বিচার শুরু হল।

বিচারক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বান্দরবান জেলা শাখার সদস্য ও প্রাক্তন মেম্বার জনাব মোজাম্মেল হক এবং প্রু তঞ্চঙ্গ্যা। আমাকে দেখে প্রুর ভীষণ বিচলিত এবং কৌতুহল। বাহিরে গিয়ে কোথায় নাকি মোবাইল করছে, সে এখানে কেন? বিচারের পরিবেশও সন্দেহ জনক। বাদীরা মাটিতে বসা আর আসামীরা বিচারকদের আশেপাশে বসা। আমি পর্যন্ত ভীত শংকিত অবস্থা হলাম।

তথাপি আমার ব্যাপারে জোন কমান্ডার এবং ওসি যখন জানেন তখন আর যাই হোক এর শেষ দেখতেই হবে। বাদী সেই ভীত শংকিত রইচরন আর তার ছেলেমেয়েদের কে জিজ্ঞাসা করা হলেও বিবাদীদেরকে তেমন জিজ্ঞাসা করা হল না। এতে চিকিৎসার খরচ ৫ হাজার টাকা ধার্য্য হল মাত্র। বাইফোর্স করে জিজ্ঞাসা করল, তোমরা বিচার মানছ? তারা ভয়ে মাথা নাড়তে বাধ্য হল। আমি সাথে সাথে প্রতিবাদ করলাম।

তারা মানলেও আমি এই বিচার মানলাম না। কিন্তু প্রু ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় মোজাম্মেল হক মেম্বারকে আমার কথার মনোযোগ আকর্ষণ করাতে পারলাম না। সেখানে যে পরিবেশের লোক সেই পরিবেশের কথাই বললাম। এখানে মুরুং কাং বা তঞ্চঙ্গ্যাদের পাড়া ‘বন’ লংঘন করা হয়েছে। ভূলেও বলিনি নিষিদ্ধ এলাকায় অনধিকার প্রবেশে ১৪৪ ধারা লংঘন করা হয়েছে।

তারা আমার কথা উপহাস করে উড়িয়ে দিল। আগে আদিবাসী পাড়ায় কিছু বিধি নিষেধ ছিল মুরুংরা বলে খাং আমাদের বলে পাড়া বন। এটা লংঘন করলে জড়িমানা দিতে হয়। পাড়ায় কারো সাথে সমস্যা হলে প্রথমে কার্বারীকে অবহিত করতে হয় । কার্বারী যদি বিচার না করেন কিংবা সমাধান করতে না পারেন তবে অন্য কথা।

এই ছাড়া সেই শান্তিবাহিনী আমলের ঘটনা। পাড়ায় অপরিচিত এমনকি আত্মীয় স্বজন আসলে ও থানা কিংবা সেনাবাহিনীকে খবর দিতে হয়। এই প্রথা কলেজ ্ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন হলে কিংবা শহরে বিভিন্ন গলিতে আজো বলবৎ আছে। সম্ভবত বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে হয়ত এই বিধি নিষেধ বা নজরদারী চলছে। বন বিভাগে ও এই বিধি নিষেধ চালু আছে।

একটি নির্ঝর-নির্ঝরিনীর প্রবাহেই তো স্রোতস্বিনীর সৃষ্টি হয়। সেই আদি-অনতিকালের পাড়া বন কিংবা মুরুংদের পাড়া কাং থেকে ১৪৪ ধারা উতপত্তি বলেই আমার ধারনা যদিও আইন বিষয়ে আমার কোন অধ্যাপনা নেই। রাজতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে একজন কার্বারীর সন্তান হিসেবে সবাই উপহাস করলেও আমাকে যে এমন কথা বলে যেতেই হবে। আমাকে ্উপহাস করায় অপমানে ই- মেইল করে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জ্ঞাত করি। যা জেলা প্রশাসন থেকে সরেজমিনে তদন্তের জন্য সেনানীবাসে ও থানায় পাঠানো হয়।

আগের মত আর সেনানীবাসের জোন কমান্ডারের সাথে যখন তখন সাক্ষাত করা যাচ্ছে না। নবাগত জোন কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাতের চেষ্টা করেছি অনেকবার কিন্তু সম্ভব হচ্ছিল না তাই আমি আমার বন্ধুবান্ধবদের প্রায় বলি, যিনি এলাকার শীর্ষ নিরাপত্তাকারী তিনি যদি আমাকে অবজ্ঞা করে সাক্ষাত না করেন, আমার নিরাপত্তা কোথায়? অনেক দেন দরবারের পর জোন কমান্ডারের সাক্ষাতের এপয়েন্টমেন্ট পেলাম। কিন্ত আরপি গেইটে ওয়ারেন্ট অফিসার সার্জেন্টের প্রতিবন্ধতা, কি বিষয়ে আলোচনা তা বলতেই হবে। সৌজন্য সাক্ষাতকার তাও বিশ্বাস করে না। জেলা প্রশাসনের কাছে ই-মেইলে রিপোট করার কারণে বর্তমানে সেনা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে আমি কেমন জানি চক্ষুশুল হয়ে গেছি।

জেলা প্রশাসন থেকে যে তদন্ত করা প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে তাতে নিরাপত্তাতো নয় তার বিপরীতটাই করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান মেম্বারদের আতংক, তাদের চাল গম কেলেংকারী, অপরাধ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সম্পত্তি নিয়ে লোভ রয়েছে এক শ্রেণী স্বার্থান্বেষী মহলের। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত লেগেই আছে। যার কারণে এই প্রু কে ব্যবহার করে আমাকে মিথ্যা মানহানী মামলায় জড়ানো হল।

আলীকদমে সম্প্রতি দূর্বলের প্রতি সবলের নির্যাতনের ঘটনা, নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা এবং ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে লেখা ঘটনা নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে তুষের অনলের মত জ্বলছে। তারা যত চক্রান্ত করছে তত আমি কঠোর মনোভাব পোষণ করে লেখে যাচ্ছি। আমি তাদের চক্রান্তে আমার বাবার রোষানলের শিকার হয়েছিলাম। তাদের চক্রান্তে আমার বড় ভায়ের রোষানলের শিকার হয়েছিলাম, যে নাকি মদ পান করে কত বার দা নিয়ে তাড়া করেছে তার কোন হিসেবে নেই। আমার আপনজনদের সবাইকে পর করে দিয়েছে এই চক্র।

আজকে নিঃস্ব ও একাকী চলাফেরা করা মনের কত যে দুঃখ তা ভাষায় বলাবাহুল্য মাত্র। একদিকে স্বার্থলোভী সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালী। অন্যদিকে সামাজ্যবাদী দালাল চক্র। আমাকে নানা ভাবে ব্লাক মেইলিং করার চেস্টা করেছে সেই নারী দিয়ে কিংবা অর্থ দিয়ে। সেই ব্লেক মেইলিং এ যখন আটকানো সম্ভব হচ্ছে না তখন চলছে সর্ব মহলে নানা পায়তারা।

আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি নিরপেক্ষ থাকার জন্য। বর্তমানে আমার সাথে আমার বড় ভায়ের তেমন সর্ম্পক নেই। বাবার মৃত্যুর পর বাড়ী ভিটা ও জায়গা জমি বন্টন নিয়ে চলছে স্বার্থের দ্বন্ধ। পক্ষান্তরে আমাদের জায়গা দখলের পাঁয়তারা চলছে। বাদী হিসেবে হোক কিংবা বিবাদী হিসেবে আমাকে কাঠগড়ায় ধর্নার চেষ্টা লেগেই আছে।

বাড়ীর পার্শ্বে পাহাড়টি প্রায় ৪০ বছর আগে দখল। ৩০ বছর আগে ২৫একর হটিকালচার লীজ নেয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। অনেক টাকা ও অপচয় করেছি। কিন্তু প্রশাসন থেকে আমাকে এই লীজ অনুমোদন করা হয়নি। আজো আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পেন্ডিং আছে।

কিন্তু জায়গা দখল হতে হতে নিঃশেষ হবার পথে। স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় রবিদয় তঞ্চঙ্গ্যা প্রুর মত অন্য তালতো ভায়েরা জোরপূর্বক গাছ কেটে ব্রিক ফিল্ডে জ্বালানী সরবরাহ করেছে। এই তালতো ভাইদের লাঞ্চিত হবার ঘটনার প্রতিবাদেই আজ আমাকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হচ্ছে। যে মুহুর্তে আদালতের সমন পেলাম সেই মুর্হুতে বাদী রবিদয় তঞ্চঙ্গ্যা প্রুর বড় ভাই আমার মেঝভগ্নী পত্নী বুলু তঞ্চঙ্গ্যা কার্বারী আমার বাড়ীর পার্শ্বে পূর্বদিকের আমাদের পাহাড়ে আমের চারা লাগাচ্ছে। কইতে পারছি নে, সইতে ও পারছিনে অবস্থা।

ইনি শুধু কার্বারী নন, বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা, আলীকদম উপজেলা শাখার সভাপতি। জটিনমালা তঞ্চঙ্গ্যা নামে আমার এক বিধবা তালতো বোন যখন এই পাহাড় দখল করে বাড়ী নির্মাণ এবং চারা লাগাচ্ছে তখন বিচার চেয়ে এই দুলাভায়ের কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছিলাম। কিন্তু সবাই স্বার্থপর। তদন্তে এসেই তারও এই জায়গার প্রতি লোভ এসে যায়। অনেকটা বানরের রুটি বন্টনের মত।

এই পাহাড় দুই ভায়ের নামে সম্পত্তি। মদ পান করে মাতাল হয়ে আমার ভাই তো প্রায় চিৎকার করে বলে এই জায়গা আমার আমার। আমার অজ্ঞাতে সেই এই জায়গা মেঝ দুলাভাই রুটি বন্টনের বানর বিচারক বুলু তঞ্চঙ্গ্যা কার্বারীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমার বাবা মৃত্যু হবার পর অনেক প্রতিবেশী আমাদের বাড়ীতে শবদাহ পাহারা দেয়ার জন্য এসেছে। তাদের এক গ্রুপের সাথে রাতে আমি তাস পিটাচ্ছি।

আমার বড় ভাই মদ পান করে মাতাল হয়ে এসে চিৎকার করে সবার সামনে আমাকে অনুসন্ধান করে। সে কোথায়? তারে আমি খাবো। আমি তাস ছুড়ে ফেলে দিয়ে ছেলেদের সামনে বললাম, সে আমাকে খেতে চাচ্ছে কেন? আমি কি দোষ করেছি? নিঃশ্চয় তার পকেটে টাকা নাই। পরে জানলাম, এই দুলাভায়ের কাছে টাকা চাইতে গিয়েই দুলাভাই আমার বিরুদ্ধে উল্টা পাল্টা শুনিয়ে দিয়েছে। টাকা না পাওয়াতেই আমার উপর এই রাগ।

সবার সামনে থেকে আমি আড়াল হলাম। শ্রদ্ধেয় ভিক্ষু সংঘের কাছে স্বাভাবিক অবস্থায় পিতৃ ক্রিয়া সম্পাদন করলাম। দুই ভায়ের নামে একই হোল্ডিং এর জায়গা। তা উভয়ের সম্মতি ছাড়া তো বিক্রয় করা যায় না। আমার ভগ্নী পত্নী ছেলেদেরকে দক্ষিণ কোরিয়া পাঠিয়েছে।

এই ছেলেদের টাকা পাঠাচ্ছে বলেই আর আমাকে তোয়াক্কা করছে না। আমার দূর্বলতার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। কত টাকা দিয়ে এই জায়গা ক্রয় করেছে তা আমাকে জানানোর প্রয়োজনবোধও করলো না। এই হোল্ডিং এর মালীকানা অংশ আমি ও একজন। সে তো পাত্তাই দিচ্ছে না।

ছোট ভাই অর্থাৎ আমার তালতো ভাই রবিদয় তঞ্চঙ্গ্যা প্রু করেছে আমার বিরুদ্ধে মানহানী মামলা আর তার বড় ভাই অর্থাৎ আমার দুলাভাই বুলু তঞ্চঙ্গ্যা কার্বারী করছে আমার জায়গা দখল, এই ব্যথা কারে জানাই। এই অনিত্য সম্পত্তির প্রতি মানুষের এত লোভ কেন? মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আমার জায়গা জমি দখল করে নতুন ভাবে আমাকে উদ্ভাস্তু করার অপচেষ্টা চলছে। আমি ভিলেজ পলিটিক্সের শিকার। তাই এই মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পাবার জন্য মিডিয়া, মানবাধিকার ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.