আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাদের সিদ্দিকী: রাজাকারের হাটে বিক্রিত আত্মার হেটে বেড়ানো মুক্তিযোদ্ধার লাস!

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। "বুদ্ধিজীবীরা আগেও সুবিধা নিতেন, কিন্তু একটি মুখোশ মোটামুটি থাকতো। লজ্জাটুকু তাতে মোটামুটি ঢাকা পড়তো। সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্য, সেই মুখোশটা খসে পড়ছে ক্রমশ। বুদ্ধিজীবীরা ধীরে ধীরে ন্যাংটো হতে শুরু করেছেন।

ভালোই হল একদিক থেকে। ভাড়ায়, হয়তো খুব কম মূল্যে এদের আরো নানান কাজে খাটানো যাবে! জীবিকার জন্য এদের দিয়ে যে কোনো কিছুই করানো সম্ভব। " কথা টা আমার না ওনার আমি একমত। "বুদ্ধিজীবীরা ধীরে ধীরে ন্যাংটো হতে শুরু করেছেন। ভালোই হল একদিক থেকে।

ভাড়ায়, হয়তো খুব কম মূল্যে এদের আরো নানান কাজে খাটানো যাবে! জীবিকার জন্য এদের দিয়ে যে কোনো কিছুই করানো সম্ভব। " কথাটি সবচেয়ে বেশী সত্য কাদের সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে তা আর কারো অজানা নয়। মুক্তি যোদ্ধার আব্রু ছেড়ে রাজাকারের দল জামাতের তাবেদার হলেন.. টাকার লোভে.. তিনি টাকা নেন দীগন্ত টিভী থেকে। নিজে স্বশরীরে গিয়ে নিয়ে আসেন, যদি জামত বেইমানি করে? রাজাকারের টাকা খেলেও তাদের ঠিক বিশ্বাস করতে পারেন না এখনো। সে কথা, পরে না হয় আলাপ হবে।

টাকা খাওয়ার ঘটনা ওনার শহুরে র্জীবন শুরূর দিন থেকেই শুরু। শুধু নিজে নয় ওনার মা ও নাকি জড়িত ছিল। আর তা নিজেই প্রকাশ করলেন সোমবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ এ প্রকাশীত আমার দেশ নামের একটি স্বল্প প্রচলিত দৈনিকে অনেকের চোখে হয়তো পরেনি। Click This Link তিনি ঐলেখাতে বলেছেন (আন্ডার লাইন করা অংশগুলো ভালো করে দেখুন ও [ ] এর ভেতরের মন্তব্য লক্ষ্য করুন): "সেই ’৬৩-’৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ ধনী জহুরুল ইসলামের সঙ্গে এক ক্লাবঘর করা নিয়ে পরিচয়। দরকার ছিল ৪০০ টাকা, ২০০ টাকা সংগ্রহ হয়েছিল।

সেই সময় তিনি বই, পুস্তক ও ক্লাবের জন্যে ২০০ টাকার জায়গায় ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়েছিলেন এবং প্রতি মাসে আরও ২০০ টাকা দিতেন আজীবন। এরপর যখন রাজনীতিতে শরিক হই, তখনও সহযোগিতা করতেন। [জহুরুল ইসলাম সাহেব বই, পুস্তক ও ক্লাবের জন্যে ২০০ টাকার জায়গায় ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়েছিলেন ভাল কথা দিতেই পারেন। কিন্তু এবং প্রতি মাসে আরও ২০০ টাকা দিতেন আজীবন কার জন্য উল্লেখ না করে চেপে গেলেন। এরপর যখন রাজনীতিতে শরিক হন, তখনও সহযোগিতা করতেন।

এ কথাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় সব কিছু। ] মুক্তিযুদ্ধের সময় কোনো যোগাযোগ ছিল না, কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই টাঙ্গাইল গিয়ে দেখা করেন। ’৭২-এর মার্চে যখন বাবর রোডে আসি, সেখানেও তিনি ছুটে আসেন। তার কথাবার্তা ছিল অমায়িক। সব সময় ‘ভাই’ বলে ডাকতেন।

আমি কখন কোথায় থাকি, তার ঠিক-ঠিকানা নেই, তাই স্বাধীনতার পর প্রতি মাসে মা’র হাতে চুপি চুপি বড় আদবের সঙ্গে ২৫ হাজার করে টাকা দিয়ে যেতেন, যা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমিও জানতাম না। [স্বাধীনতার পর উনি ফেরার ছিলেন? জানতাম না কেন ছিলেন উনিই জানেন। প্রতি মাসে ওনার মা’র হাতে গোপনে ২৫ হাজার করে টাকা দিয়ে যেতেন জহুরুল ইসলাম সাহেব, কিন্তু তা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওনার মা ওনাকে জানননি, কেন? বঙ্গবন্ধু হত্যার আগ পর্জন্ত না জানানোর কারন কি ছিল? কোনো তথ্য গোপোন না ইমোসনাল ব্লাকমেইলিং? ভাবার কারন আছে বৈকি। গোপনে মাসে এত টাকা দিতেন বিনা কারনে নয় নিশ্চয়। তিনি নিজেই বলেছেন, তখন ২৫ হাজার টাকায় মোহাম্মদপুরে দুইটা বাড়ি কেনা যেত।

মাসে বাসা খরচ লাগত তিন-চার হাজার। মাননীয় মন্ত্রীদের বেতন ছিল দুই হাজার। ] দীর্ঘ ১৬ বছর নির্বাসনে কাটিয়ে ’৯০-এ দেশে ফিরলে একটি টয়োটা গাড়ি পাঠিয়ে দেন। কারটি দেখে মনে হয়েছিল ’৬৯-এ আগরতলা মামলা থেকে মুক্তি পেলে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতেও অমনি করে দুটো কার পাঠিয়ে ছিলেন। তার আত্মা ছিল বিশাল।

খুব একটা প্রতিদানের প্রত্যাশা করতেন না। [ওনাকে গাড়ি বাড়ি টাকা দেয়ায় "তার আত্মা ছিল বিশাল। " বল্লেন। আরো বল্লেন "খুব একটা প্রতিদানের প্রত্যাশা করতেন না। " তার মানে ইসলাম সাহেব, খুব একটা না হলেও প্রতিদানের প্রত্যাশা করতেন।

শত হলেও ব্যবসায়ী লাভের হিসাবটা ভালই বুঝেন। সেই প্রতিদানের গোপন কাহিনীও জানা দরকার নয় কি?] ’৯১-এর ১২ অথবা ১৩ জানুয়ারি তাকে ফোন করেছিলাম, ‘ভাই কার দিয়ে কী করব? ওটা তো ইটা ক্ষেতে যাবে না?’ তিনি বললেন, ‘আমার কাছে এখন যে কোনো জিপ নেই, তবে দু-চার হাজার কিলোমিটার চলা কোনো গাড়ি হলে কি কিছু মনে করবেন?’ নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। কী মনে করব? ১৬ জানুয়ারি ঝিনাইদহ থেকে বন্দী হয়ে যশোর কারাগারে যাই। সেখানে তিন দরজার একটা রকি জিপ নিয়ে আমার স্ত্রী হাজির। ঢাকা-ভ-৭৭০০ রকি জিপে বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে যাইনি।

" [ পরে দাম কমে যাওয়ায় নিজ থেকে ইসলাম সাহেব কিছু দিচ্ছিলেন না তাই নির্লজ্যের মত জিপ চাইলেন আর পেলেন পুরান জিপ। ] দাম কমে গেছে বুঝতে পেরে ভিড়ে যান জামাতের দলে। বাঘা সিদ্দিকী জামাতের পোষা বিড়াল হয়ে মিয়াও মিয়াও করে বেড়াচ্ছেনা আর বিড়াল যেমন গরাগরি খায় তেমনি উনিও গরাগরি খাচ্ছেন আজকাল রাস্তা ঘটে। কি লজ্জা! কি লজ্জা! শয়তানের কাছে আত্মা বিক্রি করে শক্তি সাধনার কথা অনেক বইয়ে পরেছি, আর উনি রাজাকারের কাছে আত্মা বিক্রি করে কোন শক্তি সাধনা করছেন তা জানিনা। কিন্তু বেশ বুঝতে পারছি উনি এখন রাজাকারের হাটে বিক্রিত আত্মা ও হেটে বেড়ানো মুক্তিযোদ্ধার লাস ছারা কিছু নন! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.