বিজ্ঞানী শিমুল বঙ্গদেশে আজ নতুন আইন পাশ হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সাথে সাথে সকল প্রার্থীরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যাবেন। যারা পাশ করবেন তাদের টানা পাঁচ বছর সংসদ ভবনে কাটাতে হবে। পাঁচ বছর হওয়ার একদিন পূর্বেও ভবন ত্যাগ করা যাবেনা। যারা যারা নির্বাচনে ফেল করবে তারা সবাই বাধ্যতামূলক জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে।
সবাই যার যার অঞ্চল ঘুরে অনুন্নত জায়গার সন্ধান করবে এবং সেগুলোর আলোকচিত্র সংসদ ভবনে পেশ করা হবে। তারপর সংসদে বসে সংসদ সদস্যরা অনুন্নত জায়গা উন্নয়নের জন্য বিল পাশ করবে।
নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে এই আইনের বলে কোন বিরোধীদল থাকবেনা। যারা পাশ করবে, তারা সবাই হবে সরকারীদলের। আর যারা ফেল করবে তারা হবে জনগণের বাধ্য প্রতিনিধি।
অর্থাৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানেই হবে জনপ্রতিনিধি হয়ে যাওয়া। সুতরাং, দুই ক্যাটাগরির জনপ্রতিনিধি তৈরি হবে। কেউ পাশ করা প্রতিনিধি। আর কেউ হবে ফেল করা প্রতিনিধি।
ফেল করা প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণেরা মিলে তাদের এলাকার সকল অনুন্নত জায়গার চিত্র ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাশ করা প্রতিনিধিদের দেখাবে।
তখন পাশ করা প্রতিনিধিরা সেসব এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেবে।
উন্নয়নের কাজে সকল জনপ্রতিনিধিদের আত্মীয়-স্বজনরাও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছে। তাদের যে সব অতিরিক্ত অর্থ-সম্পদ আছে সেগুলো নিজ নিজ এলাকার গরীব লোকদের বিলিয়ে দিতে পারবে। আর যদি দিতে না চায়, তাহলে গরীব জনগণ টাকা-পয়সা, অর্থ-সম্পদ সবকিছু ছ্যাঁচড়া আত্মীয়-স্বজনগুলোকে প্যাদানি দিয়ে নিয়ে যাবে।
যেখানে যেখানে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের দরকার হবে সেগুলোর অর্ধেক খরচ জনপ্রতিনিধিরা বহন করবে ও বাকি খরচ সরকারী কোষাগার থেকে দিতে হবে।
শ্রম সহায়তায় দেশের সকল বেকার সম্প্রদায় যুক্ত থাকবে।
বিশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যারা যারা নতুন সংসদীয় আইন মানবে না তাদেরকে দুই বিবির সাথে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করা হবে। যতদিন না বঙ্গদেশ ডিজিটাল হয়, ততদিন পর্যন্ত এই আইন বলবৎ থাকবে।
বিদ্রঃ এটি নিছক কল্পনা মাত্র। এই ধরনের নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যেমন সম্ভব না, তেমনি আমাদের বঙ্গদেশ দুই পণ্ডিতের উপস্থিতিতে ডিজিটাল হওয়া সম্ভব না।
অনেক কিছু প্লাস-মাইনাস করলে ফলাফল শুভ হইতে পারে। আর আমারে জাতীয় বিজ্ঞানী ঘোষণা করিতে হইপে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।