বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
বেশুমার সলাত ও সালাম আলাহ পাক এর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিয়্যিন, শাফীউল মুয্নিবীন, রহমাতুলি−ল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম হুজুর পাক (সাঃ) এর খিদমতে,
যিনি ইরশাদ করেন , “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যিনি কোরআন শরীফ এর তা ’লীম গ্রহন করেন এবং কুরআন শরীফ এর তা’লীম”দেন। (বুখারী শরীফ,মিশকাত শরীফ)
মুলতঃ কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক এর কালাম। মহান আল্লাহ পাক এর যেরূপ মর্যাদা-মর্তবা, তার কালাম কুরআন শরীফ এরও রয়েছে মর্যাদা, মাহাত্ম ও ফযীলত।
ছহীহ্ শুদ্ধভাবে তাজভীদ অনুযায়ী কুরআন শরীফ তিলাওয়াত বা পাঠ করার মধ্যে অশেষ ফজীলত ও বরকত রয়েছে,অপরদিকে কুরআন শরীফ এর একটি হরফও যদি অশুদ্ধ বা তাজভীদের খিলাফ বা বিপরীত পাঠ করা হয় তবে ছওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ্ এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে কুফরী পর্যন্ত পৌছার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তাজভীদের সাথে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করার হুকুম স্বয়ং আল্লাহ পাক অনেক আয়াতেই করেছেন।
যেমন- মহান আল্লাহ পাক সূরা মুয্যাম্মিল-এর ৪ নং আয়াত শরীফে বলেন- “ কুরআন শরীফকে তারতীবের সহিত ও পৃথক পৃথকভাবে স্পষ্ট করে পাঠ করুন। ”
আল্লাহ পাক সূরা ফুরক্বানের ৩২ নং আয়াত শরীফে র্ইশাদ করেন-
“আমি কুরআন শরীফ তারতীলের সহিত (থেমে থেমে) পাঠ করে শুনায়েছি । ”
সূরা ইউসুফের ৩ নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক আরো বলেন- “নিশ্চয় আমি কুরআন শরীফ অবতীর্ণ করেছি আরবী ভাষায়। ”
এ প্রসংগে মহান আল্লাহ পাক সূরা বনী ইস্রাইল এর ১০৬ নং আয়াত শরীফে আরো বলেন- “আমি কুরআন শরীফকে যতি চিহ্নসহ পৃথক পৃথকভাবে তিলাওয়াত করার
উপযোগী করেছি যাতে আপনি একে লোকদের নিকট ধীরে ধীরে পাঠ করেন এবং আমি একে যথাযথভাবে নাযিল করেছি । ”
উপরিউক্ত আয়াতসমূহের সারমর্ম হলো-“পবিত্র কুরআন শরীফ তাজভীদের সাথে, ধীর-স্থিরভাবে থেমে
থেমে, যেভাবে আল্লাহ পাক নাযিল করেছেন, ঠিক সেভাবে অর্থাৎ আরবী ভাষার কায়দা অনুযায়ী সহীহ্- শুদ্ধ, সুন্দর ও স্পষ্ট করে পাঠ করা।
”
এ প্রসংগে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- “হযরত হুযাইফা রাদ্বিআল্লাহ তাআ’লা আনহু হতে বণির্ত ,সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক (সাঃ) বলেন,
” তোমরা আরবী লাহান ও আওয়াজে কুরআন শরীফ পাঠ কর । ”(মিশকাত শরীফ)
তাজভীদ অনুযায়ী তারতীলের সাথে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা ফরজ। তাই তাজভীদ শিক্ষা করা
প্রত্যেকের জন্যই ফরজ ও ওয়াজিব ।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- “এমন অনেককুরআন শরীফ পাঠকারী আছে যাদের উপর লা’নত বর্ষণ করে,
অর্থাৎ তাজভীদ অনুযায়ী সহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত না করার কারণে তাদের উপর লা’নত বর্ষিত হয় ।
এছাড়াও অশুদ্ধ কুরআন শরীফ তিলাওয়াত নামাজ বাতিল হওয়ার অন্যতম কারণও বটে।
অথচ নামাজ
বান্দার ইবাদাতসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। যে নামাজ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক কালামে পাকে ইরশাদ করেন-
অর্থঃ “ঐ সকল মু’মিনরাই সফলতা লাভ করেছে, যারা খুশু-খুযুর সাথে নামায আদায় করেছে । ”
আর এ প্রসংগে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক (সাঃ) বলেন,
“নামাজ দ্বীনের খুঁটি, যে ব্যক্তি নামাজ কায়িম করলো, সে ব্যক্তি দ্বীন ক্বায়িম রাখলো । আর যে ব্যক্তি নামাজ তরক করলো সে ব্যক্তি দ্বীন ধ্বংস করলো । ”
সুতরাং এ নামাজকে যদি সহীহ্ শুদ্ধভাবে আদায় করতে হয়, তবে অবশ্যই শুদ্ধ করে ক্বিরআত পাঠ করতে হবে।
অর্থাৎ তাজভীদ অনুযায়ী সহীহ্-শুদ্ধভাবে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে হবে। কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ফায়দা ও ফযিলত। যে যত বেশী কুরআন শরীফ
তিলাওয়াত করবে সে তত বেশী ফায়দা পাবে। মহান আল্লাহ পাক এর রেজামন্দী হাসিল করতে পারবে।
আমি আপনাদের সাথে আজ তেমনি একটি ই-বুক সহিহ কোরআন শিক্ষা শেয়ার করলাম।
এটি অনুশিলন করে কেউ একজনও যদি সহিহ কোরআন পাঠ শিখতে পারেন তাহলেই আমার এ প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে বলে মনে করি। নীচের ডাউনলোড বটম এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড লিংক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।